কাঁঠালের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুগণ । আপনি কাঁঠালের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে হয়ত অনেক খুজাখুজি করেছেন। কিন্তু সঠিক তথ্য পাননি। আশা করি আপনি যদি আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমাদের আর্টিকেলটি পড়েন তাহলে কাঁঠালের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা সহ কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খাওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে একটা ক্লিয়ার ধারণা পাবেন।
আপনি যদি কিছুক্ষন অপচয় করে আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত থাকেন তাহলে, কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খাওয়ার সঠিক সময় এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আশা করি, আমরা আপনাকে এমন কিছু পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করব যার মাধ্যমে আপনি উপকৃত হবেন ইনশাআল্লাহ।
ভূমিকাঃ
কাঁঠাল শব্দটি এসেছে পর্তুগিজ জ্যাকা থেকে, যা ঘুরেফিরে মলালাম ভাষার শব্দ চক (মালায়ালাম: চাক্কা পাজম) থেকে উদ্ভূত হয়েছে ।কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল। কাঁঠালের প্রচলিত ইংরেজি নাম "Jackfruit"। কাঁঠালের বৈজ্ঞানিক নাম Artocarpus heterophyllus)।
মোরাসিয়া পরিবারের আর্টোকার্পাস গোত্রের একটি ফল।এটি স্বাদ এবং গন্ধের জন্য অনেকের কাছেই প্রিয়। শুধু কাঁঠালই নয়, কাঁঠালের বিচিও খাওয়া হয়। এটিও উপকারী। এখন আমরা কাঁঠালের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা সহ বিস্তারিত জেনে নিব। তাহলে আসুন আর দেরি না করে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
কাঁঠালের পুষ্টিগুণ
কাঁঠাল বহুল পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি ফল। এই ফলটি আমাদের স্বাস্থ্যে জন্য খুবই উপকারি। পুষ্টি সমৃদ্ধ ফলটির প্রতি ১০০ গ্রাম পুষ্টিমান হিসেবে থাকে
- কার্বোহাইড্রেট ২৪ গ্রাম,
- বায়াটারি ফাইবার ২ গ্রাম,
- প্রোটিন ১ গ্রাম,
- ভিটামিন এ ২১৭ মি.গ্রা.
- ভিটামিন সি ৬.৭ মি.গ্রা.
- ক্যালসিয়াম ৩৪ মি.গ্রা.
- ম্যাগনেসিয়াম ৩৭ মি.গ্রা.
- ফসফরাস ৩০৩ মি.গ্রা.
- ক্যালরি পাওয়া যায় ৯৪ মি.গ্রা.
- খনিজ পদার্থ ১.১ গ্রাম বা কিলোক্যালরী ৪৮,
- আমিষ ১.৮ গ্রাম,
- শর্করা ৯.৯ গ্রাম,
- ক্যালসিয়াম ২০ মি.গ্রা
- লৌহ ০.৫ মি.গ্রাম,
- ভিটামিন বি ১ ০.১১ মি.গ্রা.
- ভিটামিন বি২ ০.১৫ মি.গ্রা.
- ভিটামিন সি ২১ মি.গ্রা.
- ক্যারেটিন ৪৭০০ মাইক্রোগ্রাম
- আশ ০.২ গ্রাম
- চর্বি ০.১ গ্রাম
- জলীয় অংশ ৮৮ গ্রাম।
কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা
কাঁঠাল অতি পুষ্টিকর ফল। কাঁঠালে আমাদের শরীরের জন্য উপকারি বিভিন্ন ধরণের পুষ্টি উপাদান আছে। চলুন আমরা কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খাওয়ার সঠিক সময় এ কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিই।
ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার ভয় নেইঃ কাাঁঠাল অনেকটাই মিষ্টি ফল। আমরা অনেকে মনে করি কাঁঠাল খেরে ডায়াবেটিস বেড়ে যাবে ,কিন্তু আসলে সেটা নয়, চিকিৎসকেরা বলেন ,পরিমিত পরিমানে কাঠাল খেলে ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার ভয় নেই। কাঁঠলের ুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরে শক্তি জোগায় । তাই ডায়াবেটিসের ভয় এড়িয়ে নিয়মিত কাঁঠাল খান পরিমাণ মত।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়েঃকাঁঠাল অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। কাঁঠালে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে। তাই কাঁঠাল সঠিক পরিমাণ খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্রুত বৃদ্ধি পাই। এটি ক্যান্সার ও টিউমারের বিরুদ্ধেও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম।
পাইলস ও ক্যান্সার দূরে রাখেঃপাইলস খুবই কষ্ট দায়ক একটি রোগ। এর কষ্ট সেই বুঝে যার পাইলস হয়েছে। আপনি এই যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পেতে পারেন নিয়মিত কাাঁঠাল খেলে। নিয়মিত কাঁঠাল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় । ফলে পাইলস বাড়তে পারে না। একই সাথে কাঁঠাল খেলে কমে কোলন ক্যান্সারের মতো মরণ ঘাতি রোগের ভয়ও।
লোহিত রক্তকণিকা বাড়ায়ঃকাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে আয়রণ থাকে। আর আয়রণ আমাদের দেহে লোহিত রক্ত কোণিকার পরিমাণ বাড়ায়। তাহলে বুঝতেই পারছেন যাদের দেহে রক্ত স্বল্পতা আছে তারা নিয়মিত কাঠাল খেতে পারেন।
কোলেস্টরল মুক্তঃকাঁঠালে যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন বি৬। উপকারী এই উপাদান ছাড়াও এতে পাওয়া যায় প্রচুর ক্যালোরি। তবে এতে কোনো রকম কোলেস্টেরল নেই। তাই কাঁঠাল খেলে উপকার মিলবে সহজেই।
ত্বক উজ্জ্বল করেঃআপনি কি আপনার ত্বক উজ্জ্বল রাখতে চান। অনেক যত্ন নিয়েও ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে পারছেন না। তবে আপনি খাবারের দিকে নজর দিন। কাঁঠালে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে , যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। সেই সঙ্গে কমায় ত্বকের বলিরেখাও। ফলে নিয়মিত কাঁঠাল খেলে ত্বক দ্রুত উজ্জ্বল হয়।
চোখ ভালো রাখেঃচোখ আমাদের অমূল্য সম্পদ। কিন্তু আমরা চোখের যত্ন করি না । চোখের দৃষ্টি শক্তি ভাল কারতে সাহায্য করে ভিটামিন এ ও বিটা ক্যারোটিন। আর কাঁঠালে এই দুইটি উপাদান থাকে। তাই আপনার দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে নিয়মিত কাঁঠাল খান।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আমাদের খাবারের ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে। কিছু খাবার যোগ-বিয়োগ করতে হবে খাবারের তালিকা থেকে। এক্ষেত্রে কাঁঠাল রাখতে পারেন আপনার খাবারের তালিকায়। এই ফলে থাকে সোডিয়াম ও পটাসিয়াম যা শরীরের ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্সকে ঠিক রাখে। ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং সেই সঙ্গে হার্টও ভালো থাকে ।
হজমশক্তি বাড়ায়ঃ আপনার হজম শক্তি ঠিক তো সব ঠিক। কোন কারণে হজমে বিঘ্নিত হলে তার প্রভাব আমাদের পুরো শরীরে পড়ে। হজমশক্তি বাড়াতে ফাইবার একটি অতি প্রয়োজনীয় উপাদান। আর কাঁঠালে আছে পর্যাপ্ত ফাইবার। তাই এই ফল খেলে হজমশক্তি ভালো থাকে এবং সহজেই পেট পরিষ্কার হয়।
হাড় ভালো রাখেঃ হাড়ের ক্ষয় রোগ বা ভঙুরতা একটি ভয়ানক অসুখ। এক্ষেত্রে আপনাকে বাইরে থেকে দেখতে স্বাভাবিক মনে হলেও ভেতরে আপনি একেবারে জীর্ণ হয়ে যাবেন। হাড় ভালো রাখতে চাইলে খাবারের তালিকায় রাখতে হবে কাঁঠাল। কারণ ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ এই ফল আপনার হাড় শক্ত রাখতে কাজ করবে।
কাঁঠাল খেলে কি কি ক্ষতি হয়
কাঁঠাল একটি উপকারি ফল হলেও , এর কিছু অপকারিতা আছে । চুলুন কাঁঠালের অপকারিতা জেনে নেওয়া যাক ।
- কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে আমিষ থাকে। এই আমিষ হজম হতে অনেকটা সময়। ফলে যাদের হজম শক্তি দুর্বল তাদের অতিরিক্ত কাঠাল না খাওয়া সব থেকে বেশি ভালো।
- যাদের ডায়াবেটিস আছে , তাদের কাঁঠাল খাওয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত ।
- যারা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন এবং যাদের রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি , তাদের কাঁঠাল থেকে দূরে থাকায় সবচাইতে ভালো।
খালি পেটে কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা
প্রিয় পাঠকগণ এর পূর্বে আমরা কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি । আসুন এখন আমরা খালি পেটে কাঁঠাল খাওয়ার উপকার সম্পর্কে জেনে নিই।
- কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি থাকে। ফলে নিয়মিত কাঁঠাল খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
- কাঁঠালে বিদ্যমান অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ফাইবার হৃদরোগ ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।
- গর্ভ অবস্থায় প্রচুর পুষ্টি উপাদানের প্রয়োজন হয়। তাই গর্ভবতী মায়েরা গর্ব অবস্থায় নিয়মিত সঠিক পরিমাণে কাঁঠাল খেলে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির অভাব পুরন হয়।
- কাঁঠালে বিদ্যমান ক্যালসিয়াম রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া সাহায্য করে থাকে।
- সর্দি কাশি নিরাময় কাঁঠাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
- পাঠালে প্রচুর পরিমাণ ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে। এই ম্যাঙ্গানিজ শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে থাকে।
- কাঁঠালের চর্বির পরিমাণ অনেকটাই কম থাকে । ফলে কাঁঠাল খেলে আমাদের ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা খুব তাকে।
কাঁঠাল খাওয়ার সঠিক সময়
বছর ঘুরে প্রতিবারের মতো এবারও চলে এলো মধু মাস। গাছে গাছে ফলের রাজা সবুজ হলুদ আম জাতীয় ফল কাঁঠাল আরো আছে জাম জামরুল লিচু ইত্যাদি। এত সুন্দর পছন্দের পুষ্টিকর রসালো ফল, এই রসালো ফল কাঁঠাল খাওয়ার সঠিক সময় আমরা কেউই জানিনা কাঁঠাল খাওয়ার সঠিক সময় কখন চলুন জেনে নেওয়া যাক কাঁঠাল ও কাঁঠালের বিচি খাওয়ার সঠিক সময়।
খালি পেটে কাঁঠাল খেলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে খালি পেটে ফল খেলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কাঁঠাল যদি আমরা খাবার খাওয়ার পরে খাই তবে হজমের সমস্যা হতে পারে। তাই কাঁঠাল খাওয়ার সঠিক সময় হচ্ছে সকালে নাস্তার পরে ও দুপুরে লাঞ্চের মাঝে ১১ টার দিকে। এ সময় আমরা অনেকেই হালকা কিছু খাবার খেয়ে থাকি সেজন্য অন্য খাবারের পরিবর্তে কাঁঠাল খেলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়।
আপনারা যদি দুপুর রাতের খাবারের সময় কাঁঠাল খেতে চান তবে অবশ্যই নিয়মিত যে পরিমাণ খাবার খান তার চেয়ে পরিমাণে খাবারটা কমিয়ে খাবেন এবং সেই পরিমাণে কাঁঠাল খেতে পারেন। কাঁঠাল একটি উপকারী ফল হলেও খেতে হবে ক্যালরি হিসাব করে। যেমন একটি আম খেলে আমরা ২০০ ক্যালোরি পাই।
তাই যারা ওজন কমানোর চেষ্টায় থাকেন তারা যদি খুব বেশি পরিমাণে বাট্টি ক্যালরি যোগ করেন প্রতিদিনের খাবারের সঙ্গে তাহলে ওজন কিন্তু আপনার কমার চেয়ে বাড়তেই থাকবে। তাই আমাদের সকলের উচিত কাঁঠাল আমরা সঠিক সময়ে খাব এবং পরিমাণের চেয়ে কখনোই বেশি খাবোনা।
কাঁঠালের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা
কাঁঠালের উপকারিতা শুধু কাঁঠালেই সীমাবদ্ধ নেই , কাঁঠালের বিচিতেও রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণ উপকার। কাঁঠালের বিচি আমাদের উপকারের পাশাপাশি কিছু অপকারও করে থাকে। কাঁঠালের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই।
- আপনি যদি কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগে থাকেন তাহলে নিয়মিত কাঁঠালের বিচি খান। কারণ কাঁঠালের বিচিতে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে । যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে।
- দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখতে কাঁঠালের বিচির জুড়ি নেই। কাঁঠালের বিচিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে। তাই নিয়মিত কাঁঠালের বিচি খেলে দৃষ্টি শক্তি ভালো থাকে ভালো
- য়সের ছাপ দূরীকরণ কাঁঠালের বিচি অতুলনীয় ভূমিকা পালন করে।
- কাঁঠালের বিচি কোলেস্টেরল মুক্ত। তাই শরীরের ওজন কমাতে এবং পেশী গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কাঁঠালের বিচি।
- আমাদের রক্তের মূল উপাদান হচ্ছে হিমোগ্লোবিন। আরে এই হিমোগ্লোবিন আয়রনের উপর নির্ভর করে। কাঁঠালের ভিত্তিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে ফলে রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়াতে কাঠালের বিচি সহায়তা করে।
কাঁঠালের বিচির অপকারিতা
কাঁঠালের বিচির কিছু অপকারিতা রয়েছে। যা সম্পর্কে অনেকের জানা নেই। তাই এ আলোচনার মাধ্যমে আজকে জেনে নেব কাঁঠালের বিচির অপকারিতা কি।
- অতিরিক্ত কাঁঠালের বিচি খাওয়ার ফলে হজম শক্তিতে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- অতিরিক্ত কাঁঠালের বিচি খেলে উস্ক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে
- গলায় খুসখুশি কাশি হতে পারে।
- পিত্তথলিতে পাথর দেখা দিতে পারে।
- তাই পরিমাণ মতো কাঁঠালের বিচি খেলে আপনি পরিপূর্ণ উপকার লাভ করবেন। তাই অতিরিক্ত পরিমাণে কাঁঠালের বিচি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
কাঁঠালের বিচির পুষ্টিগুণ
কাঁঠালের কোষ এর মত কাঁঠালের বিচির উপকারিতা রয়েছে। কাঁঠালের বিচি ভিটামিন বি-১ ও বি-১২ এর অন্যতম উৎস।এতে রয়েছে ভিটামিন এ ও সি। এছাড়াও রয়েছে থায়ামিন, নায়াসিন, লিগন্যান, আইসোফ্ল্যাভোন এবং স্যাপোনিনের মতো ফাইটো ক্যামিক্যালস।এগুলো মানব শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁঠালের বিচিতে রয়েছে-
- খাদ্য শক্তি —-------------------------- ৯৮ ক্যালরি।
- কার্বোহাইড্রেট —--------------------- ৩৮.৪ গ্রাম।
- প্রোটিন —------------------------------- ৬.৬ গ্রাম।
- ফাইবার —------------------------------- ১.৫ গ্রাম।
- চর্বি —------------------------------------ ০.৪ গ্রাম।
- ক্যালসিয়াম —---------০.০৫ - ০.৫৫ মিলিগ্রাম।
- ফসফরাস —-----------০.১৩ - ০.২৩ মিলিগ্রাম।
- আয়রনব —-----------------------১.২ মিলিগ্রাম।
- সোডিয়াম —-------------------------২ মিলিগ্রাম।
- পটাশিয়াম —-------------------৪.০৭ মিলিগ্রাম।
শেষ কথাঃ কাঁঠালের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা
প্রতিদিন সঠিক নিয়মে কাঁঠাল খেলে আমরা খুব সজেই এর উপকারিতা পেতে পারি। আশাকরি আপনি এই আর্টিকেলটি পড়ে কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম সহ কাঁঠালের বিচি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এই বিষয়ে কিছুটা হলেও ধারণা পেয়েছেন। যদি এই বিষয়ে আপানার কোন কিছু বলার বা জানার থাকে , তবে আমাদের কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সহ কাঁঠালের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে লিখা এই আর্টিকেলটি আপনার ভাল লাগলে আপনার বন্ধুদের শেয়ার করুন। স্বাস্থ্য ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক অন্যান্য বিষয়ে আরও জানতে আমাদের ওয়েব সাইট ভিজিট করুন।
আরিফুল প্লাস এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url