হার্টের সমস্যা বোঝার উপায়-হার্ট দুর্বলের লক্ষণ ও প্রতিকার।
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুগণ। আপনি হয়ত হার্টের সমস্যা বোঝার উপায় এই সম্পর্কে অনেক খুজাখজি করেছেন। কিন্তু সঠিক তথ্য খুজে পাননি। এখানে আমরা আপনাকে হার্টের সমস্যা বোঝার উপায় সহ আরও কিছু দিক তুলে ধরার চেষ্টা করব।
আপনি যদি আপনার মূল্যবান সময়ের কিছুটা ব্যয় করেন আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত থাকেন , তাহলে আশা করি আপনি হার্টের সমস্যা বোঝার উপায়-হার্টের সমস্যার লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে যথেষ্ট পরিমাণে জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন ।
হার্ট বিট নরমাল কত
আমাদের শরীরে মৌলিক চারটি উপাদানের মধ্যে একটি হল হার্টবিট বা হৃদস্পন্দন। হার্টবিট বা হৃদস্পন্দন বলতে আমরা সাধারণত বুঝি হৃদপিণ্ড ঠিকমতো কাজ করছে এবং আমাদের সমস্ত শরীরে অক্সিজেন যুক্ত রক্ত ও খনিজ পদার্থ সরবরাহ করছে। হার্ড বিট পরিমাপের জন্য আমাদের শরীরে বেশ কয়েকটা পয়েন্ট আছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো হাতের কব্জি।
হার্টবিট মাপার জন্য আমাদেরকে এক মিনিটের স্পন্দন শুনতে হবে অথবা ১৫ সেকেন্ডের জন্য হার্টবিট নির্ণয় করে তাকে চার দ্বারা গুণ করলে হার্টবিট পাওয়া যাবে । হার্ট মাপার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হলো ঘুম থেকে ওঠার পর। চলুন আমরা হার্টবিটে পরিমাণ সম্পর্কে জানি। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে একজন সুস্থ স্বাভাবিক বিশ্রামরত প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের হার্টবিট ৬০ থেকে ১০০ বিপিএম(বিট পার মিনিট) এবং একজন প্রাপ্তবয়স্ক প্রশিক্ষিত ভালো অ্যাথলেটারের বিশ্রামের হার্টবিট ৩৭ থেকে ২৮ বিপিএম হবে।
হার্টবিট ১০০ বি পি এম এর বেশি হলে তাকে ট্যাকিকার্ডিয়া এবং বিশ্রামের সময় হার্টবিট ৬০ বিপিএম এর নিচে হলে তাকে ব্রাডিকার্ডিয়া বলা হয়। ঘুমন্ত অবস্থায় ৪০ থেকে ৫০ বি পি এম এর হার্টবিটকে সাধারণ ও স্বাভাবিক গণনা করা হয়।যখন হার্টবিট নিয়মিত ভাবে স্বাভাবিক হয় না তাকে অ্যারিথমিয়া বলা হয়। বয়স ভেদে হার্টবিট এর তালিকা দেয়া হোক।
হার্ট দুর্বল লক্ষণ
হার্ট আমাদের একটি অবিচ্ছেদ অংশ যেটা সারাজীবন কাজ করতে থাকে। হার্ট যতদিন ঠিকমতো কাজ করে ততোদিন আমরা সুস্থভাবে চলাচল করতে পারি। তাই হার্টের সমস্যা বোঝার উপায় জানাটা জরুরী। কোন কারনে হার্টের কার্যক্রম ব্যাহত হলে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি। এসব কিছু জানার পরও কি আমরা আমাদের হার্টের যত্ন নিয়ে থাকি, এই প্রশ্নের উত্তরে আমরা সকলে হয়তো উত্তর দেবো না।
বর্তমান সময়ে আমাদের বিভিন্ন ধরনের বদ অভ্যাস আমাদের হার্টের সমস্যার জন্য দায়ী ৩০ থেকে ৪০ বছর পরে আমাদের হার্ডে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় এবং 45 বছর বয়স পর আমাদের হৃদরোগের শিকার হতে হয়। বিভিন্ন কারণে আমাদের হার্ট দুর্বল হয়ে যাচ্ছে চলুন আমরা হার্ট দুর্বলের লক্ষণগুলো জেনে নেই।
অনিয়মিত হৃদস্পন্দনঃ যদি হঠাৎ করে আপনার হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া মোটেও মজার বিষয় নয়। আমাদের স্বাভাবিক হৃদস্পন্দন ৬০-১০০ হয়েথাকে। কোন কারণে হৃদস্পন্দন এর বেশী বা কম হলে বুঝবেন আপনার হার্ট ঠিকমত কাজ করছেনা। অদূর ভবিষ্যতে আপনার জন্য বিপদ অপেক্ষা করছে। তাই হৃদস্পন্দন বেশি বা কম হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
দুর্বলতা ও ক্লান্তিঃ শারীরিক পরিশ্রমের পর দুর্বলতা আসটাই স্বাভাবিক , কিন্তু কোন কাজ না করে বিশ্রামে থেকে যদি আপনি ক্লান্তি ও দুর্বলতা অনুভব করেন তাহলে বুঝবেন আপনার হার্ট ঠিকমতো কাজ করছে না। হৃদপিণ্ড পাম্প করে আমাদের সর্ব শরীরে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত সরবরাহ করে , যদি আমাদের দেহে সঠিকভাবে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত সরবর না হয় সে ক্ষেত্রে আমরা প্রান্তীয় অনুভব করি। হার্ট দুর্বল হয়ে গেলে এবং হার্ট ঠিক মতো কাজ করে না এবং আমাদের দেহে সর্বত্র অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত সরবরাহ করতে পারেনা তখন আমরা ক্লান্তি এবং দুর্বলতা অনুভব করি। এমত অবস্থায় আমাদের চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
বুকে ব্যথাঃ হার্টের রোগের অন্যতম বড় লক্ষণ হচ্ছে বুকে ব্যথা। আপনার হার্ট অ্যাটাক হলে বা ধমনী বন্ধ থাকলে আপনি বুকে ব্যথা , টান বা চাপ অনুভব করবেন। এই ব্যথা বা চাপকে বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন, কোন লোকের মতে এটি মনে হয় বুকের উপর জলজ্যান্ত হাতি বসে আছে এ অনুভবটা কয়েক মিনিটের বেশি সময় ধরে চলতে পারে। এই ঘটনাটি সাধারণত আপনি যখন পরিশ্রম করছেন তখন অথবা বিশ্রাম করছেন এমন সময়ও হতে পারে। বুকে ব্যথা ছাড়াও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে এটা সাধারণত মেয়েদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়।
শ্বাসকষ্টঃ হার্ট দুর্বলের অন্যতম একটি বড় লক্ষণ হলো শ্বাসকষ্ট। হার্টের রোগীরা সাধারণত শ্বাসকষ্টই ভোগে থাকেন। হার্ট দুর্বল হলে আরো ঠিকমতো কাজ করতে পারে না হলে শ্বাসকষ্টের সৃষ্টি হয়। তাই শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিলে এটিকে অবহেলা না করে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
শরীরে বিভিন্ন স্থানে ব্যথাঃ হার্ট দুর্বলের আরেকটি অন্যতম লক্ষণ হচ্ছে শরীরের বিভিন্ন স্থানে। তাই যদি আপনার শরীরের ঘাড় গলা চোয়াল ওপরের পেট পেট ব্যথা মাথা ঘোরা কিংবা অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মত সমস্যা থাকে তাহলে বুঝবেন এটি আপনারা হার্ট রোগের পূর্বাভাস। তাই অতি সাধারণ সমস্যা গুলো উপেক্ষা না করে গুরুত্ব সহকারে নিন এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
হার্টের সমস্যা বোঝার উপায়
সুস্থ সবল লোকটা হঠাৎ মারা গেল একথা আমরা প্রায় শুনে থাকি। কারণ ওয়ার্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এর মতে বাংলাদেশের প্রতি ৬ জনের মধ্যে ১ জন মারা যায় হার্টের বিভিন্ন জটিলতার কারণে। তাই চলুন আমরা হাড়ের সমস্যা বোঝার বারোটি উপায় জেনে নেই । যা দেখে আপনি বা আপনার প্রিয়জন সাবধান হতে পারেন এবং যত সময় হার্টের চিকিৎসা নিতে পারেন।
হার্টের রোগের কিছু ক্লাসিকাল রিক্স ফ্যাক্টর রয়েছে। যা থাকলে আপনার ক্লান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। যেমন
- বয়স 50 এর বেশি
- বাড়তি ওজন
- অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস
- হাই ব্লাড প্রেসার
- রক্তে উচ্চমাত্রায় কোলেস্টেরল এবং
- বংশগত হার্টের সমস্যা
এ সমস্যাগুলোর মধ্যে যেকোনো দুইটি যদি আপনার মধ্যে থাকে তাহলে আপনি সাবধান হয়ে যান হার্টের সমস্যায় ভুগতে পারেন। তাই এই বারটি লক্ষণ খেয়াল করে চলুন।
বুকে ব্যথা অনুভব করাঃ আমরা সাধারনত সিনেমায় দেখে থাকি যে কেউ বুকে চেপে ধরে হঠাৎ শুয়ে পড়ো কিন্তু বাস্তবে এমনটা সব সময় হয় না। আবার বুকে ব্যথা অনুভব মানেই হার্টের সমস্যা নয়। হার্টের অসুখের ব্যথা হলে বুকে নির্দিষ্ট এক জায়গায় না হয়ে সাধারণত পুরো বুক জুড়ে অনুভব করবে এবং এটি কয়েক মিনিট পর্যন্ত থাকতে পারে।
কয়েক মিনিট হাঁটাচলা করলেও কমে যাবে না। আপনার বুকে যদি চিত্র ব্যথার সাথে শ্বাস চেপে আসছে যা বুকে চাপ লাগছে অনুভব হয় ব্যথা ঘাড়ে কাঁধে অথবা শরীরে বাম হাতের দিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং শরীর ঘেমে যায় তাহলে সমস্যার লক্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি এবং এই অবস্থা ফিল করলে জরুরী ভিত্তিতে হাসপাতালে চলে যান।
বমি ভাব ও অরুচিঃ হট ফাংশন দুর্বল হয়ে পড়লে আপনার ডায়নোলজি সিস্টেমে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পৌঁছয় না। এই কারণে আপনার হজমে সমস্যা বুক জ্বালাপোড়া ভাব হবে এবং এর ফলে খাবারে অরুচি এবং কিছু খেতে গেলে বমি ভাব দেখা দিতে পারে।
এনার্জির অভাবঃ শরীরে রক্ত সঞ্চালন কমে গেলে আমাদের সারা দেহে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন ও ক্যালরি পৌছাতে পারে না। তাই হার্ট দুর্বল হওয়ার অন্যতম লক্ষণ হচ্ছে সারাক্ষণ দুর্বলতা ও এনার্জি এর অভাব ফিল করা।
ঝিমুনি ভাবঃ হার্ট দুর্বল হলে ব্রেনে ব্লাড সাপ্লাই কমে যাওয়ার কারণে আমাদের ব্রেন ফুল ফাংশন করার মত শক্তি জোগাতে পারেনা। ব্রেন অনেকটা তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় শুধু শরীরের বেসিক ফাংশনগুলো চালু রাখার চেষ্টা করে। এই কারণে আপনি বিশ্রাম এবং ভালো ঘুম হবার পরও সারাদিন ঝিমুনি ভাব ফিল করতে পারেন। দেখা গেল মনোযোগ দিয়ে কোন কাজ করতে পারছেন না।
অল্পতেই হাঁপিয়ে যাওয়াঃ শারীরিক পরিশ্রম করতে গেলে আমাদের হার্টে বেশি পরিমাণ রক্ত সঞ্চালন করতে হয় তাই দুর্বল হার্ট এর একটি লক্ষণ হচ্ছে অল্প পরিশ্রমে হাঁপিয়ে যাওয়া। যদি দেখেন সামান্য ভাট আবার সিঁড়ি দিয়ে উঠার পরে আপনি অনেক বেশি হাঁপিয়ে যাচ্ছেন এবং মুখ হাঁ করে নিঃশ্বাস নিতে হচ্ছে তাহলে দেরি না করে ,একজন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
নাক ডাকা ও নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসাঃ ঘুমের মধ্যে অল্প স্বল্প নাক ডাকা অস্বাভাবিক কিছু নয় কিন্তু আপনি যদি নিয়মিত অনেক জোরে নাক ডাকেন এবং দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে ঘুম ভেঙ্গে তাহলে এটা হার্টের অসুখের কারণে হতে পারে। কারণ আপনার ফুসফুস যথাযথভাবে অক্সিজেন সংগ্রহ করলেও আপনার হার্ট তা সারা শরীরে পৌঁছাতে পারছেন।
হঠাৎ ঘেমে যাওয়াঃ শারীরিক বা মানসিক পরিশ্রম করলে কিংবা গরমের কারণে ঘাম হতেই পারে। কিন্তু বিনা পরিশ্রমে স্বাভাবিক স্বাভাবিক ওয়েদারেও যদি অনেক ঘেমে যান তাহলে এটি অবহেলা না করে অবশ্যই একজন ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। হার্টের অসুখ ছাড়াও কিডনি কিংবা থাইরয়েড ডিসঅর্ডার ইত্যাদিতেও এই লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তবে ঘামের সাথে যদি দম আটকে আসার মত অনুভূতি এবং বুকে ব্যথা থাকে তাহলে জরুরী ভিত্তিতে হাসপাতালে চলে যান। কারণ এটি হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ।
পায়ে পানি চলে আসাঃ আমাদের শরীর থেকে টক্সিন অপসারণের কাজ করে কিডনি। কিন্তু যদি আমাদের হার্ট দুর্বল হয়ে যায় তাহলে কিডনিউ পুরোপুরি ফাংশন করতে পারে না এ অবস্থায় শরীরে ফ্লুইড বেড়ে যায় এবং যার দরুন পায়ের পাতা ফুলে যাওয়া এবং হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ। এমন কি একদিনে দুই থেকে তিন কেজি ওজন ও বৃদ্ধি পেতে পারে।
অকারণে বুক ধড়ফড়ঃ আমাদের শারীরিক কার্যক্রম অনুযায়ী হার্ট রেট কম বা বেশি হওয়ার কথা। কিন্তু হার্ট দুর্বল হয়ে পড়লে আপনি বিনা কারণে এমনকি বসে বা শুয়ে থাকা অবস্থাতেও দেখবেন আপনার হার্টবিট হঠাৎ বেড়ে যাচ্ছে।
দীর্ঘদিন ধরে কাশিঃ তিন সপ্তাহ বা তার বেশি কাশি থাকলে রক্ষা পরীক্ষা করা উচিত। যদি এরকম কিছু ধরা না পড়া সত্বেও দীর্ঘদিন ধরে আপনার কাশি থাকে এবং কফের রং সাদা বা হালকা গোলাপি হয় তাহলে এটি হার্টের সমস্যা লক্ষণ হতে পারে। কারণ হার্ট দুর্বল হলে ফুসফুসে রক্ত জমে এবং এর থেকে কাশির উদ্বেগ হয়।
অনিয়মিত হার্টবিটঃ সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় আপনার হার্টবিট একই রিদমে সবসময় চলে। কিন্তু হার্টের প্রবলেম থাকলে এই রিদম চেঞ্জ হয়ে যায়। আপনার মনে হতে পারে মাঝে মাঝে হার্টবিট মিস করছেন প্রায় আবার একই সাথে দুইবার বিট করছে। এইরকম অস্বাভাবিক হার্টবিট কে বলা হয় অ্যারিগমিয়া।
ত্বকের রং ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়াঃ হার্ড দুর্বল হয়ে গেলে ত্বকে রক্ত চলাচল অনেক কমে আসে এই জন্য ত্বকের রং ফ্যাকাশে হয়ে যেতে পারে। অক্সিজেনের অভাব এবং টক্সিন জমে যাওয়ার কারণে তোকে রং কারো কারো ক্ষেত্রে নীলচে মনে হতে পারে।
হার্টের অসুখ জটিল আকার ধারণ করে যখন আপনি এ লক্ষণ গুলো অবহেলা করবেন এবং ডাক্তারের পরামর্শ ইগনোর করেন। প্রাথমিক অবস্থায় রোগ ধরা পড়লে আপনি যদি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা ও নিয়ম মেনে চলেন তাহলে এ অসুখ থেকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন
হার্টের সমস্যার লক্ষণ ও প্রতিকার
হার্ট সমস্যা বর্তমান সময়ের একটি মারাত্নক সমস্যা ।তাই আমাদের হার্টের সমস্যা বোঝার উপায় জানা দরকার। বাংলাদেশের প্রতি ৬ জনের মধ্যে ১ জন্য হার্টের সমস্যার কারণে মারা হাচ্ছে।
তাই আমাদের হার্টের সমস্যা লক্ষণগুলো মনে রাখা উচিত।
- বুকে চাপ দিয়ে ব্যথা
- শ্বাসকষ্ট ও দম ফুরিয়ে যাওয়া
- অতিরিক্ত ঘাম হওয়া
- পুরোপুরি নিশ্বাস নেয়া যায় না, দীর্ঘদিন যাবত কাশি হয়
- দুই বাহু ,চোয়াল ,ঘাড় ,পিঠ, এবং পেটে ব্যথা
- তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়া
- মাথা হালকা লাগে, মাথা ঝিমঝিম করে
- অনিয়মিত পালস রেট
- বমি বমি ভাব
- অকারণে বুক ধড়ফড়
- অস্থির আতঙ্কিত লাগে
হার্টের সমস্যার প্রতিকার
দৈনন্দিন জীবনে কিছু পরিবর্তন করে হার্টের সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়। হার্টের সমস্যার প্রতিকার প্রধান উপায় হল ঃ
- দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকা
- প্রয়োজন রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা
- অতিরিক্ত চিনি বা বাড়তি লবণ না খাওয়া
- কোলেস্টেরলের যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা
- ধূমপান মধ্যপন থেকে বিরত থাকা
- নিয়মিত পরিশ্রম করা
- নিয়মিত ব্যায়াম করা
হার্টের ব্যথা বুকের কোন পাশে হয়
হার্টের ব্যাথার বুকের মাঝখান থেকে শুরু হয়ে সারা শরীরে ছুরি পড়ে , বিশেষ করে চোয়াল গলা পিঠ কাজ থেকে শুরু করে বাম হাতের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এই ব্যথা সম্পর্কে এক একজন এক এক রকমের বলে থাকেন, কেউ বলেন যে তার বুকের উপরে বিশাল একটা পাহাড় চোড়ে আছে । এ ব্যথা সাধারণত এক থেকে কয়েক মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। বিশ্রাম নিলে বা নাইট্রোগ্লিসারিন গ্রহর করার পরে এই ব্যথা কমতে পারে।
শেষ কথাঃ হার্টের সমস্যা বোঝার উপায়-হার্টের সমস্যার লক্ষণ ও প্রতিকার।
আপনি হার্টের সমস্যা বোঝার উপায়-হার্টের সমস্যার লক্ষণ ও প্রতিকার জানলে আপনি উপকারিতা পেতে পারি। আশাকরি আপনি এই আর্টিকেলটি পড়ে হার্টের সমস্যা বোঝার উপায়-হার্টের সমস্যার লক্ষণ ও প্রতিকার আরও কিছু বিষয়ে কিছুটা হলেও ধারণা পেয়েছেন। যদি এই বিষয়ে আপানার কোন কিছু বলার বা জানার থাকে , তবে আমাদের কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
এই আর্টিকেলটি আপনার ভাল লাগলে আপনার বন্ধুদের শেয়ার করুন। স্বাস্থ্য ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক অন্যান্য বিষয়ে আরও জানতে আমাদের ওয়েব সাইট ভিজিট করুন।
আরিফুল প্লাস এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url