স্মার্ট কার্ড আবেদন ফরম- স্মার্ট কার্ড চেক করার সহজ ২টি নিয়ম

স্লিপ নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করার নিয়মাবলীআসসালামু আলাইকুম বন্ধুগণ। আপনি হয়ত স্মার্ট কার্ড আবেদন ফরম এই সম্পর্কে অনেক খুজাখজি করেছেন। কিন্তু সঠিক তথ্য খুজে পাননি। এখানে আমরা আপনাকে স্মার্ট কার্ড আবেদন ফরম- ও চেক করার সহজ ২টি নিয়ম এটাসহ আরও কিছু দিক তুলে ধরার চেষ্টা করব।
স্মার্ট কার্ড আবেদন ফরম- ও চেক করার  সহজ ২টি নিয়ম
 আপনি যদি আপনার মূল্যবান সময়ের কিছুটা ব্যয় করেন আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত থাকেন , তাহলে আশা করি আপনি স্মার্ট কার্ড আবেদন ফরম সম্পর্কে যথেষ্ট পরিমাণে জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন ।

ভূমিকাঃ

স্মার্ট কার্ড বর্তমান সময়ে অত্যন্ত জরুরি ও মূল্যবান জিনিস। স্মার্ট কার্ড ইলেকট্রিক চিফ যুক্ত কার্ড যেখানে একজন ব্যক্তির যাবতীয় তথ্য সংযুক্ত থাকে। বর্তমান সময়ে এমন কোন ক্ষেত্রে নেই যেখানে এক্সপার্ট কার্ডের প্রয়োজন হয় না আপনি যেখানেই যান যে কাজই করেন না কেন স্মার্ট কার্ড আপনার থাকা লাগবে। আপনি হয়তো প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে গেছেন কিন্তু আপনার আইডি কার্ড হয়নি এক্ষেত্রে আপনি আপনার সকল তথ্য প্রদান করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন এবং অনলাইনে মাধ্যমে আপনি আপনার স্মার্ট কার্ড ডাউনলোডও করতে পারেন।

স্মার্ট কার্ড কি?

বর্তমানে আমরা প্রায় সবাই স্মার্ট কার্ড কথাটির সাথে পরিচিত। আমরা প্রাপ্ত বয়স্ক যারা আছি তাদের প্রায় সবার একটি জাতীয় পরিচয় পত্র ছিল। এই জাতীয় পরিচয় পত্রকে বলা হত আইডি কার্ড। কিন্তি এখন আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশে বাস করছি। তাই আমাদের আইডি কার্ডও ডিজিটাল হওয়া চাই। আর এই চাওয়া থেকেই আমাদের জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম হয়েছে ডিজিটার স্মার্ট কার্ড। 

সহজ কথায় বলতে পারি ,জাতীয় পরিচয় পত্রের ডিজিটার সংস্করণটাই হল স্মার্ট কার্ড। এই কার্ডটি মূলত ইলেক্ট্রনিক চিপলাগানোমেশিন রিডেবল কার্ড । এই স্মার্ট কার্ড নকল করা প্রায় অসম্ভব। এই স্মার্ট কার্ড এ একজন নাগরিকের যাবতীয় তথ্য সংরক্ষিত থাকে। এই স্মার্ট কার্ড এর সাহায্যে একজন নাগরীক নানা ধরণের সেবা গ্রহণ করে থাকেন।

স্মার্ট কার্ড আবেদন ফরম

বাংলাদেশে প্রথম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে জাতীয় পরিচয় পত্র বিতরণ শুরু হয় ২০০৮ সাল। জাতীয় পরিচয় পত্র পরবর্তীতে ডিজিটাল যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ডিজিটালাইজড করা হয় এবং এটা শুরু হয় ২০১৬ সালে। স্মার্ট কার্ড মূলত ইলেকট্রিক চিপস যুক্ত মেশিন রিডেবল কার্ড যেখানে আপনার যাবতীয় তথ্য বহন করে।
স্মার্ট কার্ড আবেদন ফরম-

 যেমন আপনার পাসপোর্ট থেকে শুরু করে ড্রাইভিং লাইসেন্স , ক্রেডিট কার্ড এমনকি জমি মালিকানা নিবন্ধন সংক্রান্ত কাজে নাগরিক ব্যক্তিগত তথ্য যাচাই করা সম্ভব। এই স্মার্ট কার্ড এর জন্য আপনি এখন দেশের যেকোনো স্থান থেকে সম্পূর্ণ অনলাইন বাংলাদেশের স্মার্ট আইডি কার্ডের আবেদন করতে পারবেন। 
আপনি যদি বাংলাদেশের জন্মগ্রহণ করেন এবং নাগরিক সমাজ থেকে থাকে তাহলে আপনি বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় পরিচয় পত্রের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দরখাস্ত করতে পারেন। আপনার যদি স্মার্ট এনআইডি কার্ড না থাকে যদি মনে করেন আপনার স্মার্ট এনআইডি কার্ড প্রয়োজন এবং আপনি প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে গেছেন তাহলে আপনি নিম্নোক্ত ভাব অনুসরণ করে আপনার এনআইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন। চলুন তাহলে জেনে নেই কিভাবে এনআইডি কার্ড এর জন্য আবেদন করতে হয়।

প্রথম ধাপ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

আপনি যদি এনআইডি স্মার্ট কার্ডের জন্য নথি ভূক্ত করতে চান তাহলে আপনার আবেদনপত্রের সাথে নিম্নোক্ত কাগজগুলো সরবরাহ করতে হবে।
  • মাধ্যমিক পরীক্ষা বা সম্মানের সনদপত্র
  • অনলাইন করা জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র
  • বাবা , মা , স্বামী বা স্ত্রীর এনআইডি কার্ডের সত্যায়িত কপি
  • ঠিকানার প্রমাণ স্বরূপ ইউটিলিটি যেমন বিদ্যুৎ , গ্যাস বা পানি বিলের কপি কিংবা বাড়ি ভড়ার রশিদ অথবা হোল্ডিং ট্যাক্স এর রশিদ।

দ্বিতীয় ধাপ অনলাইনে স্মার্ট কার্ডের জন্য আবেদন ফর্ম পূরণ

অনলাইনে এনআইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে হলে আপনাকে প্রথমে যেতে হবে বাংলাদেশ এনআইডি কার্ড আবেদন আপনি যদি প্রথম ভোটার আইডি কার্ড নিতে চান তাহলে আপনাকে আবেদন করুন বাটনে ক্লিক করতে হবে এরপর যে পেজটি ওপেন হবে সেখানে ইংরেজিতে আপনার নাম দিতে হবে। তারপর দিতে হবে আপনার জন্ম তারিখ। 

জন্ম তারিখ দেয়ার পরে আপনাকে ক্যাপচারটি পূরণ করে বহাল বাটনে ক্লিক করতে হবে। পরবর্তীতে যে পেজটি আপনার সামনে উপস্থিত হবে সেখানে আপনার সঙ্গে থাকা মোবাইল নাম্বারটি প্রবেশ করে সেন্ট এসএমএস বাটনে চাপ দিতে হবে। কিছুক্ষণ পর আপনার মোবাইলে 6 সংখ্যার একটি ওটিপি আসবে যেটি নির্ভুলভাবে কম্পিউটারে ফর্মে লিখে বহাল বাটলে চাপ দিতে হবে। তারপরে আপনাকে আপনার ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড সেট করে বহাল বাটলে ক্লিক করলে আপনার একাউন্ট তৈরি হয়ে যাবে।

এবার আপনার তৈরিকৃত অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করে প্রোফাইল অপশন এ ক্লিক করে আপনাকে আপনার এনআইডি কার্ডের জন্য ব্যক্তিগত যাবতীয় তথ্য প্রদান করতে হবে। আপনার তথ্য প্রবেশ করানোর জন্য এডিট বাটনে আপনাকে ক্লিক করতে হবে। এই ক্লিকের সাথে সাথে চলে আসবে আপনার কাঙ্খিত সেই এনআইডি কার্ডের আবেদন ফরমটি। 

এই ফর্মে আপনার ইংরেজি নাম জন্ম তারিখ এবং জাতীয়তা আগে থেকে উল্লেখ করা থাকবে। এবার আপনার কাজ হবে শুধু আপনার বাংলা নাম, জন্ম নিবন্ধন নম্বর লিখে লিঙ্গ , রক্তের গ্রুপ , জন্মস্থান বাছাই করে দিতে হবে।

তারপর আপনাকে আপনার বাবা-মার নাম বাংলায় ও ইংরেজিতে প্রবেশ করাতে হবে এবং সেই সাথে আপনার বাবা ও মার এনআইডি কার্ডের নাম্বারও দিতে করতে হবে।
আপনি যদি বিবাহিত হন তাহলে আপনার বৈবাহিক অবস্থা উল্লেখ করে স্বামী বা স্ত্রীর নাম ও এন আইডি নাম্বার লিখতে হবে।

এরপর আপনাকে মনোযোগ সহকারে একে একে পূরণ করতে হবে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা , পেশা , অসমর্থতা , সনাক্তকারী চিহ্ন , ড্রাইভিং লাইসেন্স , পাসপোর্ট ও মোবাইল নম্বর এবং ধর্ম। এখানে আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে সনাক্তকরণ অংশে আপনার এলাকার জানাশোনা কারো এনআইডি নম্বর এবং প্রিন্ট করার পর তার স্বাক্ষর অবশ্যই দিতে হবে। 

আর যাচাই-করণের জায়গায় আপনার এলাকার চেয়ারম্যান বা পৌর মেয়র অথবা ওয়ার্ল্ড মেম্বার , ওয়ার্ড কাউন্সিলর , মহিলা মেম্বারের কোন একজনের নাম , এনআইডি নম্বর এবং প্রিন্ট করার পর তার স্বাক্ষর দিতে হবে এবং স্বাক্ষরের নিচে অবশ্যই তার সীল থাকতে হবে।

এবার চলে আসলো আপনার ঠিকানা দেওয়ার পালা এখানে আপনাকে ধৈর্য সহকারে নির্মূল হবে বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ করতে হয়। ভোটার এলাকা বাছাই করা সময় আপনাকে সাবধানে আপনার এলাকা , গ্রাম , মহল্লার নাম দিতে হবে। ভুল হলে ভোটার নাম ভুল তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে। সুতরাং কাজটি অবশ্যই সাবধানতার সাথে করবেন।

এবার যদি আপনি উপরের ডান পাশে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করেন তাহলে আপনার কাগজপত্র আপলোডের পেজ আসবে এখানে কাগজপত্র দেয়ার প্রয়োজন নেই। উল্লেখ্য মানে আপনাকে বোঝাচ্ছে আপনার কাগজপত্র এই অনলাইনে আপলোড করতে হবে না। আপনাকে কাগজপত্র দিতে হবে আপনি আবেদনটি স্বশরীরে অফিসে জমা দেওয়ার সময়। তাই এখানে সরাসরি পরবর্তী বাটনে চাপ দিয়ে পরের ধাপে যেতে হবে।
এবার আপনাকে চূড়ান্তভাবে সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে এবং ক্লিক করলে আপনাকে আবার প্রোফাইল ফিরে নিয়ে যাবে এখান থেকে ডাউন বাটনে ক্লিক করে আপনার ভোটার নিবন্ধন ফরম ডাউনলোড করে নিন। ফর্মটি প্রিন্ট করে অপর পাতায় আপনার স্বাক্ষর বা টিপসই অবশ্যই দেবেন।

তৃতীয় ধাপ স্মার্ট কার্ড আবেদন ফরম জমা 

এবার আপনার প্রয়োজনে কাগজপত্র সব একসাথে আপনার ভোটার নিবন্ধন ফরমের সাথে যুক্ত করে আপনার ভোটার এলাকার নির্ধারিত উপজেলা নির্বাচন অধিদপ্তরে আপনাকে জমা দিতে হবে।এ সময় আপনার বায়োমেট্রিক ডাটা তথা ছবি, স্বাক্ষর , হাতের ছাপ ও চোখের আইরিশ স্ক্যান করা হবে।অতঃপর আপনার ভোটার নিবন্ধন ফর্ম এর নিচের অংশ কেটে আপনাকে দেয় হবে। 

এটা হচ্ছে আপনার নিবন্ধন স্লিপ ,যেটা দেখিয়ে আপনি পরবর্তিতে আপনার স্মর্ট কার্ড সংগ্রহ রেতে পারবেন। এছাড়াও আপনি এই স্লিপ দিয়ে অনলাইনে আপনার স্মার্ট কার্ডের বর্তমান অবস্থা জানতে পারবেন।

এছাড়া কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনার ফর্মে দেয়া মোবাইল নাম্বারে এসএমএস এর মাধ্যমে আপনাকে ১০ অঙ্কের স্মার্ট এনআইডি নম্বর পাঠানো হবে। আপনি যদি জান তাহলে এই নম্বর দিয়ে অনলাইন থেকে আপনার এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করা যাবে। ডাউনলোডকৃত এনআইডি কার্ডটি আপনি প্রিন্ট করে বৈধভাবে ব্যবহার করতে পারবেন।

স্মার্ট কার্ড চেক করার সহজ ২টি নিয়ম

আপনি যদি এখনো স্মার্ট কার্ড হতে না পেয়ে থাকেন থাহলে আপনি স্মার্ট কার্ড চেক করার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন আপনি কবে বা কখন সেই কাংখিত কার্ডটি হতে পাবেন। স্মার্ট কার্ড চেক করার দুইট নিয়ম রয়েছে । চলুন জেনে নিই।
website

SMS এর সাহায্যে স্মার্ট কার্ড চেক

আপনি একটি মাত্র এসএমএস দিয়ে জানতে পারবেন কবে কোথায় কিভাবে আপনার স্মার্ট কার্ড পাবেন। মজার বিষয় হল এই কাজটি করতে আপনার স্মার্ট ফোনের প্রয়োজন নেই।েআপনি আপনার বাটন মোবাইল দিয়েও চেক করতে পারবেন।
SMS
SMS এর সাহায্যে আপনার স্মার্ট কার্ড চেক করতে হলে আপনাকে আপনার ফোনের SMS অপশন থেকে SC<Space>NID<Space>Your nid number লিখে Send করুন 105 নম্বরে ।

বিস্তারিত: SMS এর সাহায্যে Smart Card চেক করতে হলে আপনি প্রথমে ফোনের এসএমএস অ্যাপটি Open করুন। তারপর একটু ফলো করলে নিচে থেকে Start Chat অপশনে েদেখতে পাবেন। সেখানে ক্লিক করুন। তারপর type name, phone number or emails এর স্থানে ১০৫ লিখে কিবোর্ড থেকে Enter বা Ok বাটনে ক্লিক করুন। তারপর Text অপশনে SC<স্পেস>NID<স্পেস>আপনার NID নম্বর লিখে SMS আইকনে চাপ/ক্লিক করুন।
SMS করারপূর্বে আপনি ফোনের ব্যালেন্সটা চেক করে নিন। কারণ SMSসেন্ড করার ফলে আপনার ফোন থেকে খরচ কেটে নেওয়া হবে। SMS পাঠানোর পর ফিরতি SMS এর মাধ্যমে আপনাকে আপনার স্মার্ট কার্ড সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানিয়ে দেওয়া হবে।আশা করি আপনি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। কিভাবে SMSএর মাধ্যমে আপনার স্মার্ট কার্ড চেক করবেন।

স্মার্ট কার্ড চেক অনলাইন

আপনি যদি অনলাইনে স্মার্ট কার্ড চেক করতে চান তাহলে আপনাকে ভিজিট করতে হবে https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/card-status/ ওয়েব সাইটে। এখানে আপনার NID নম্বর বা ফরম নম্বর এবং জন্ম তারিখ সঠিকভাবে লিখুন। নিচের ক্যাপচা কোডটি পূরণ করে Submit বাটনে ক্লিক করলেই আপনি আপনার Smart NID Status দেখতে পাবেন
online

  • প্রথমে ভিজিট করুন https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/card-status/ এই ওয়েব সাইটে প্রবেশ করুন।
  • এরপর, আপনি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার অথবা ফরম নাম্বার লিখে দিন। ফরম নাম্বার লেখার সময় NIDFN1২২12৫৩7 এভাবে লিখবেন।
  • এখন আপনার জন্ম তারিখ সঠিকভাবে লিখে দিন।
  • ক্যাপচা কোড দেখে হুবহু লিখে পূরণ করুন।
  • পরিশেষেসাবমিট বাটনে ক্লিক করে আপনি আপনার স্মার্ট কার্ড যাচাই করে নিন।

স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম

আপনি যদি আপনার স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে যেতে হবে এবং সেখান থেকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে নির্বাচন অফিসের সাইডে খুলে নিন সেখানে রেজিস্ট্রেশন করার পর ফিউচার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করার পর আপনি আপনার স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন। আপনি যদি মনোযোগ দিয়ে আমাদের আর্টিকেল পড়েন তাহলে আশা করি আপনি আপনার স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।

স্মার্ট কার্ড রেজিস্ট্রেশন করবেন যেভাবে

স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করার জন্য প্রথমে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের প্রবেশ করতে হবে তারপর আপনাকে অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার থেকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন করার জন্য জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর বা ফোন নম্বর ঘরে আপনাকে আপনারা ভোটার স্লিপের ফরম নাম্বারটি দিতে হবে অন্যদিকে যার স্মার্ট কার্ড সংশোধন করবেন বা হারানো ভোটার আইডি কার্ড উত্তোলন করবেন।

 তাদের উক্ত অপশন থেকে এনআইডি নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে কয়েক ধাপ অনুসরণ করতে হবে। নতুন ভোটার যারা আছেন তাদের সঠিক নম্বর দেয়ার পরও যদি রেজিস্ট্রেশন না হয় তাহলে বুঝবেন আপনার এনআইডি কার্ডে এখনো অনলাইনে আসে নি। চিন্তার কোন কারণ নেই আপনি কিছু দিন অপেক্ষা করুন তাহলে দেখবেন আপনার এন আই ডি কার্ড ইউ অনলাইনে চলে এসেছে।

 জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর অথবা ফর্ম নম্বর এর ঘরে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর অথবা ফর্ম নম্বর এবং জন্মতারিখের ঘরে আপনার জন্ম তারিখ দিতে হবে এবং সেটা অবশ্যই ভোটার হওয়ার সময়ই যে জন্ম তারিখ দিয়েছেন সেটাই দিতে হবে। তারপর আপনি ক্যাপচারিটিতে প্রদর্শিত কোটি প্রবেশ করান। মনে রাখবেন উক্ত ঘরে যে কোর্টে আছে হুবহু সেইভাবে লিখতে হবে। তারপর সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন।

এবার আপনাকে আপনার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা নির্বাচন করতে হবে লক্ষণীয় যে আপনাকে এনআইডি কার্ড করার সময় যে ঠিকানা দিয়েছিলেন করতে সেই একই ঠিকানা দিতে হবে। এবার আপনার স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা নির্বাচন করা হয়ে গেলে পরবর্তী বাটনে চাপ দিন। এরপর আপনার মোবাইল নাম্বার অ্যাড করার জন্য অপশন আসবে সেখানে আপনার মোবাইল নাম্বারটি যোগ করুন।

 আপনার এই নাম্বারে ওটিপি আসবে পূর্বে যদি যদি আপনার মোবাইল নাম্বার দেয়া থাকে তাহলে এক্ষেত্রে মোবাইল নাম্বার দেয়ার প্রয়োজন নেই ইচ্ছে করলে পরিবর্তনও করতে পরিবর্তন বাটনে ক্লিক করে আপনার মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন করতে পারেন মোবাইল নাম্বার যোগ করার পর বার্তা পাঠান বাটনে ক্লিক করুন। কিছুক্ষণ পরেই দেখবেন আপনার মোবাইলে ছয় সংখ্যার একটি কোড এসেছে এটি নির্ভুলভাবে প্রদান করুন এবং বহাল বাটনে চাপ দিন।

এখন আপনার কাজ হবে প্লে স্টোর থেকে এনআইডি ওয়ালেট অ্যাপসটি আপনার ফোনে ইন্সটল করা। ইন্সটল করা হয়ে গেলে ওয়ালেট অ্যাপটি ওপেন করে কিওয়ার্ড স্ক্যানিং করুন যদি স্ক্যান করতে কোন সমস্যা হয় কেআর করতে বড় করে নিন কিউআর কোড স্ক্যানিং হয়ে গেলে আপনার ফেস ভেরিফিকেশন করতে হবে।

 আপনি নিচে তিনটি দেখতে পাবেন তার জন্য প্রথমে আপনার ফোনটিকে ফেস বরাবর ধরতে হবে এবং টিক চিহ্ন উঠার আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এরপর আপনি কে আপনার মুখের ডান ও বাম পাশে মোবাইলটি ধরে বাদবাকি ভেরি সম্পূর্ণ করতে হবে ফেস ভেরিফাই হয়ে গেলে আপনাকে অটোমেটিক্যালি পাসওয়ার্ড অপশনে নিয়ে যাবে।

সেট পাসওয়ার্ড পেজে আপনি দুইটা অপশন দেখতে পাবেন একটি হল এড়িয়ে চলুন অপরটি হল সেট পাসওয়ার্ড ।এখানে আপনি আপনার পাসওয়ার্ড অপশনে ক্লিক করে আপনি আপনার পাসওয়ার্ডটি সেট করে নিন। পাসওয়ার্ড সেটের একটা সুবিধা হল পরবর্তীতে যদি আপনি আপনার স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করতে বা সংশোধন করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে আর রেজিস্ট্রেশন করতে হবে না।

 পাসওয়ার্ড সেট করার জন্য আপনাকে একটি ইউজারনেম ও একটি পাসওয়ার্ড দিতে হবে। পাসওয়ার্ড সেট করার জন্য আপনাকে প্রথমে বড় হাতের একটি অক্ষর এবং বাদবাকি ছোট হাতের অক্ষর এবং শেষে একটি চিহ্ন ব্যবহার করতে হবে উদাহরণ হিসেবে Kamal123#। ইউজান নেম ও পাসওয়ার্ড সেট করা হয়ে গেলে সাবমিট এ ক্লিক করুন।

যদি পেজটি লগ আউট হয়ে যায় তাহলে নতুন করে এখান থেকে লগইন করুন বা যাদের আগে থেকে রেজিস্ট্রেশন করা আছে তারা নির্বাচন অফিসের ওয়েবসাইটে গিয়ে ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন। আপনি যদি সফলভাবে লগইন করতে পারেন তাহলে আপনার সামনে আপনার স্মার্ট কার্ডের যবর যাবতীয় তথ্য দেখতে পাবেন। এবার আপনি উপরের হোম অপশনে ক্লিক করে নিচের ডাউনলোড অপশন থেকে আপনি আপনার কাঙ্খিত স্মার্ট কার্ড টি ডাউনলোড করতে পারেন। আশা করি আপনি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

শেষ কথাঃ স্মার্ট কার্ড আবেদন ফরম- ও চেক করার সহজ ২টি নিয়ম

আশাকরি আপনি এই আর্টিকেলটি পড়ে স্মার্ট কার্ড আবেদন ফরম- ও চেক করার সহজ ২টি নিয়মni আরও কিছু বিষয়ে কিছুটা হলেও ধারণা পেয়েছেন। যদি এই বিষয়ে আপানার কোন কিছু বলার বা জানার থাকে , তবে আমাদের কমেন্ট করতে ভুলবেন না।

স্মার্ট কার্ড আবেদন ফরম- ও চেক করার সহজ ২টি নিয়ম, নিয়ে লিখা এই আর্টিকেলটি আপনার ভাল লাগলে আপনার বন্ধুদের শেয়ার করুন। স্বাস্থ্য ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক অন্যান্য বিষয়ে আরও জানতে আমাদের ওয়েব সাইট ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরিফুল প্লাস এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url