গর্ভাবস্থায় লিচু খাওয়া যাবে কি-গর্ভাবস্থায় লিচু খাওয়ার উপকারিতা
রসুন খেলে কি বীর্য ঘন হয় - সেক্সে রসুনের উপকারিতাআসসালামু আলাইকুম বন্ধুগণ । আপনি গর্ভাবস্থায় লিচু খাওয়া যাবে কি ? এই
সম্পর্কে হয়ত অনেক খুজাখুজি করেছেন। কিন্তু সঠিক তথ্য পাননি। আশা করি আপনি যদি
আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমাদের আর্টিকেলটি পড়েন তাহলে গর্ভাবস্থায় লিচু খাওয়া
যাবে কি ?-গর্ভাবস্থায় লিচু খাওয়ার উপকারিতা এবং খাওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে
একটা ক্লিয়ার ধারণা পাবেন।
আপনি যদি কিছুটা অপচয় করে আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত থাকেন তাহলে,
গর্ভাবস্থায় লিচু খাওয়া যাবে কি? এবং খাওয়ার সঠিক সময় এই বিষয়ে বিস্তারিত
জানতে পারবেন। আশা করি, আমরা আপনাকে এমন কিছু পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করব যার
মাধ্যমে আপনি উপকৃত হবেন ইনশাআল্লাহ।
লিচুর পুষ্টিগুণ
লিখিত বিভিন্ন দলের পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। তার মধ্যে প্রধান জল ও
কার্বোহাইড্রেট । লিচুতে জলের পরিমাণ ৮২ % এবং কার্বোহাইড্রেট ১৬.৫%। লিচুতে যে
পোস্টটি উপাদান রয়েছে চলুন আমরা এক নজর যা দেখে নেই। প্রতি ১০০গ্রাম লিচুতে
বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান।
লিচু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
প্রতিটা ফল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। তবে সঠিক নিয়ম ও পরিমাণ মত না
খেলে এ ফলগুলো উপকারের পাশাপাশি আমাদের উপর অপকার করে থাকেন।
লিচু খাওয়ার উপকারিতা
গ্রীষ্মকালের নদী সুমিষ্ট ফল লিচু। লিচু বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি ফল।
এটি প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন , খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ একটি ফল। যা আমাদের
স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এন্টিঅক্সিডেন্ট এর সাথে ভিটামিন ও খনিজ হৃদরোগ
ক্যান্সার ডায়াবেটিস থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। লিচু আমাদের বিভিন্ন ধরনের
উপকার করে থাকে সেই উপকার গুলোর মধ্যে আমরা ১২ টি উপকার সম্পর্কে জানব।
হজম সহায়কঃ আপনার কি হজমের
সমস্যা তাহলে আপনার এই সমস্যার একটি সহজ সমাধান হতে পারে লিচু। আপনি যদি
অস্বস্তিতে ভোগে থাকেন তাহলে এখনি এক গ্লাস বিশু চুস খেয়ে নেন দেখবেন আপনার
অসুস্তির লক্ষণ গুলোই বিলীন হয়ে যাবে। লিচুর বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদানের
মধ্যে অন্যতম একটি উপাদান হল ফাইবার । লিচুতে বিদ্যমানের ফাইবার সহজ মল থেকে
সহায়তা করে ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এবং পুষ্টি আরো ভালোভাবে শোষণের নিশ্চয়তা
প্রদান করে। তাই নিয়মিত লিচু খেলে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
ওজন কমাতে সহায়ক: আপনি যদি ওজন
কমানোর কথা ভাবেন তাহলে নিশ্চয় সন্দেহে আপনি লিচু খেতে পারেন। কারণ লিচু
ফাইবারের একটি উন্নতম উৎসব । যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এছাড়াও লিচুতে
রয়েছে অতি অল্প মাত্রই চর্বি ও ক্যালোরি সেই সাথে পানির পরিমাণ থাকে অনেকটা
বেশি। তাই আপনি যদি আপনার ওজন কমাতে চান তাহলে আপনার খাদ্য তালিকা একটি আদর্শ ফল
হতে পারে লিচু।
হাওড়া মজবুত করে: লিচুতে প্রচুর
পরিমাণে ক্যালসিয়াম ফসফরাস আয়রন ম্যাঙ্গানি এবং ম্যাগনেসিয়াম কপার থাকে । এ
সকল খরচ উপাদান গুলো কেশব শোষণে ব্যাপকভাবে সহায়তা করে এবং হাড়ের শক্তি
বাড়ায়। বিশেষজ্ঞদের মতে নিয়মিত সঠিক পরিমাণে লিচু খেলে হাড়ের ভঙ্গরত কমে সেই
সাথে হ্রাস পায় প্রিয় অস্টিওপোরসিস ও ফ্র্যাকচার মত সমস্যা। তাই আপনি যদি আপনার
হার ভালো রাখতে চান লিচুর সময়টাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে লিচু খান।
রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে: লিচুতে কপাল নামক খনিজ উপাদানটি থাকে যা আয়রনের মত মানবদেহে অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। লিচুতে কপার থাকার কারণে লোহিত কণিকার উৎপাদন বৃদ্ধি
পায় এবং এটি বয়স্কদের জন্য দারুন কাজ করে। এর কারণটি হলো এটি রক্তশ সঞ্চলনে
ব্যাপকভাবে সহায়তা করে।
ত্বকের যত্নে উপকারী: লিচুর
বিপন্ন উপকারী দিকগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি উপাদান হলো এটি ত্বকের জন্য খুবই
উপকারী। ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক একটি বস্তু হল ফ্রি রেডিক্যাল। লিচু এই ফ্রি
রেডিক্যাল বিরুদ্ধে দারুণভাবে কাজ করে। ফলে তোকে বলে রেখে দ াগ সূক্ষ্মরেখা এবং
বার্ধক্য জনিত কোন লক্ষণ দেখা যায় না। এছাড়াও বিচ্যুত বিদ্যমান ভিটামিন ই রোদে
পোড়া জ্বালাপোড়া ব্যথা ও ত্বকের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে ফলে ত্বক সুস্থ উজ্জ্বল
থাকে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে লিচু খুবই উপকারী। এতে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণ পটাশিয়াম
ও কম্প কম পরিমাণে সোডিয়াম যা শরীরে বজায় রাখে বিপাকে ফাংশন এবং উচ্চ রক্তচাপ
এর জন্য অপরিহার্য। এছাড়া এটি কার্ডিওভাসকুলার স্ট্রেস ও পরিচালনা করে ফলে
ধমনীতে অতি সহজে রক্ত প্রবাহ হয়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে:
লিচু আমাদের শরীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কি আপনার বিশ্বাস হচ্ছে না
।আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ভিটামিন সি। আর লিচুতে প্রচুর পরিমাণ
ভিটামিন সি থাকে। এছাড়াও এক গ্লাস লিচু বা ৭ লিচু ভিটামিন সি এর চাহিদার 100%
পূরণ করে । লিচুর অলিগোনাল ভাইরাস বাড়াতে বাধা প্রদান করে । তাই গরমের সময়
নিয়মিত লিচু খেলে সর্দি অসাধারণ শুরু থেকে বাঁচতে পারবেন।
কিডনির জন্য উপকারী: আপনি যদি
আপনার কিডনি ভালো রাখতে চান তাহলে লিচুর মৌসুমে নিয়মিত লিচু খান। এতে প্রচুর
পরিমাণে পানি ও পটাশিয়াম থাকে যা কিডনিজে জমে থাকা দূষিত অহ তো বের করে দিতে
সহায়তা করে। এর ফলে ইউরিক এসিডের ঘনত্ব কমে যায় আর এইসব কারণে কমে কিডনির
ক্ষতির সম্ভাবনা।
হার্ট ভালো রাখে: হার্ট ভালো
রাখতে লিচু ব্যাপকভাবে সহায়তা করে। এতে রয়েছে অলিগন অল যা ম্যাজিক অক্সাইড তৈরি
করতে সহায়তা করে। আমাদের দেহে রক্ত সঞ্চালনের জন্য নাইট্রিক এসিড সাহায্য করে
থাকে। এটি ফ্ল্যাভোনয়েড ভাসকুলার ফাংশন উন্নত করে। ফলে আর হৃদরোগ প্রতিরোধ করা
সহজ হয়। গবেষকদের মতে নিয়মিত লিচু খেলে হৃদরোগের সম্ভাবনা কমে যায় প্রায় 50
শতাংশ।
ডায়াবেটিসের জন্য সর্বোত্তম: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের একটি অন্যতম উপাদান হলো পলিফেনল। আর লিচু এ পলিফেনল
এর একটি অন্যতম উৎস।
ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমায়:
লিচুতে রয়েছে পলিফে নল ও পলিস্যাকারাইড এর মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা
ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমাতে সহায়তা করে। লিচুতে বিদ্যমান পলিস্যাকারাইড
ক্যান্সার কোষ বৃদ্ধি বন্ধ করার ক্ষমতা রাখে। এছাড়াও গবেষণা করে দেখা গেছে যে
লিচু লিভার ফুসফুস প্রোস্টেট ক্যান্সার থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এছাড়াও
গবেষকগণ আরো বলেছেন যে লিচুর নির্যাস স্তন ক্যান্সারে। যদিও এ বিষয়ে আরো গবেষণার
প্রয়োজন রয়েছে।
লিচু খাওয়ার অপকারিতা
প্রতিটি জিনিসের উপকারী ও অপকারী দিক রয়েছে। লিচু ও তার ব্যতিক্রম নয়। মাত্র
অতিরিক্ত লিচু খেলে আমাদের কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
আরো পড়ুন: মধু দিয়ে রূপচর্চা ও মধুর উপকারিতা অপকারিতা
- মাত্রা অতিরিক্ত লিচু খেলে আপনার শরীরের রক্তচাপ অস্বাভাবিক ভাবে কমে যেতে পারে।
- অতিরিক্ত লিখে আপনার ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে।
- লিচুতে যথেষ্ট পরিমাণ রাসায়নিক থাকে তাই অতিরিক্ত পরিমাণে লিচু খেলে আপনার শরীরের স্বাভাবিক ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।
- আপনি যদি খালি পেটে লিচু খান তাহলে আপনার শরীরে বিষক্রিয়া হতে পারে।
- অতিরিক্ত লিচু খেলে আবুল আর শরীরের গ্লুকোজের পরিমাণ কমে যায়।
লিচু খাওয়ার নিয়ম
মৌসূমী এ ফলটি আপনার খেতে ইচ্ছে করলেও আপনার মাত্রাতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়।
আপনি দিনে 10 থেকে 12 টি লিচু খেতে পারেন। তবে একসাথে ৭ থেকে ৮ বেশি খাওয়া উচিত
নয়। আপনি আমার বয়স, শারীরিক অসুস্থতা ইত্যাদি বিষয়ে বিবেচনা করে পরিমাণ মতো
লিচু বা যে কোন ফল খেতে পারেন। মাত্রা অতিরিক্ত খেলে আপনার স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে
যেতে পারে। তাই আপনার উচিত সকল দিক বিবেচনা করে সকল ফল করা।
গর্ভাবস্থায় লিচু খাওয়ার উপকারিতা।গর্ভাবস্থায় লিচু খাওয়া যাবে কি ?
গ্রীষ্মকালের অন্যতম একটি মজাদার ফল লিচু। ফলটি অনেকটা মুখরোচক ও পুষ্টি সমৃদ্ধ ফল বলে সকল গর্ভবতী মা তাদের গর্ভ অবস্থায় তার খাদ্য তালিকায় লিচুকে সংযুক্ত করে থাকেন। সকলের একটি সাধারণত প্রশ্ন থাকে গর্ভাবস্থায়ী কি লিচু খাওয়া যাবে। এখানে যদি আপনি মনোযোগ দিয়ে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে আপনি যা জানতে পারবেন সেটা হল।- গর্ভাবস্থায় কি লিচু খাওয়া যাবে
- গর্ভাবস্থায় লিচু খাওয়ার উপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় লিচু খাওয়ার অপকারিতা অর্থাৎ করসাই লিচু কতটা খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ।
- এবং গর্ব অবস্থায় লিচু খাওয়ার সতর্কতা।
- গর্ভাবস্থায় কি লিচু খাওয়া যাবে?
বিশেষজ্ঞদের মতে গর্ভাবস্থায় লিচু খাওয়া যাবে। তবে সকল মায়ের শারীরিক অবস্থা
যেহেতু একরকম নয় তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে সবকিছু জেনে আপনি সিদ্ধান্ত
নিতে পারবেন । আপনার জন্য লিচু হওয়া উচিত হবে কি হবে না । কেননা এর যেমন রয়েছে
উপকারি দিক তেমনি এটি যদি না জেনে খান তাহলে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে অনেকটাই।
গর্ভাবস্থায় লিচু খাওয়ার উপকারিতা
সুমিষ্ট এ ফলটি গর্ভাবস্থায় খেলে একজন গর্ভবতী মা বিভিন্নভাবে উপকৃত হতে পারি ।
তাই চলুন গর্ভাবস্থায় লিচু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানি।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে:
লিচু একটি মিষ্টি টক জাতীয় খাবার নিতে রয়েছে উচ্চ উচ্চমাত্রায় ভিটামিন সি যা
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করতে খুবই কার্যকর। রক্তের শ্বেত রক্ত কণিকার
কার্যক্রম তরা নিত্য করতে ভিটামিন সি অন্যতম একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এতে থাকা
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রী রেডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
হার্টবিট এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে:
লিচুতে থাকা অন্যতম একটি ভিটামিন হলো পটাশিয়াম। লিচুতে থাকা পটাশিয়াম শরীরে
সিস্টেমে বিদ্যমান তরল মাত্রাগুলো নিয়ন্ত্রণে সহয়ক। অতএব লিচু হার্ট বিট ও রক্ত
চাপ সাহায্য করে। লিচুতে রয়েছে কপার ও খনিজ যা রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক পর্যায়ে
রাখে।
হজম প্রক্রিয়া উন্নত করা: এতে
প্রচুর পরিমাণে ডায়েটানি ফাইবার রয়েছে। যা হজমের সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য
দূর করে। পেটের ভারসাম্য বজায় রাখতে লিচু উপকারী একটা ফল ।
গর্ভাবস্থায় লিচু খাওয়ার অপকারিতা
প্রতি প্রতিটা জিনিসেরই যেমন উপকারী দিক রয়েছে, তেমনি রয়েছে তার অপকারিতা। লিচু
এর ব্যতিক্রম নয়। লিচুর উপকারিতা সাথে সাথে এর কিছু উপকারিতা রয়েছে। তাহলে
আমাদের জানা উচিত গর্ভ অবস্থায় লিচু খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াই:
গর্ভাবস্থায় যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের জন্য লিচু না খেকেলেই ভালো হয়। কারণ
লিচুতে প্রচুর চিনি বিদ্যমান । কারণ লিচুতে প্রচুর চিনি বিদ্যমান । তবে ডক্টর
পরামর্শ নিয়ে অল্প খেতে বাধা নেই।
শরীরের অতিরিক্ত তাপ উৎপাদন করে : অতিরিক্ত তাপ আপনার গর্ভের বাচ্চার জন্য খুব ক্ষতি বয়ে নিয়ে আসতে পারে ।
আপনার শরীরে মারাত্মক অসস্তি তৈরি করতে পারে । এটি শরীরে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি
করে। এছাড়াও গলা ব্যথা রক্তক্ষরণ ইত্যাদি হতে পারে ।
ত্রুটি পূর্ণ জন্ম : বেশি পরিমাণে লিচু খেলে আপনার গর্ভের বাচ্চার ইনফেকশন হতে পারে এবং এতে
আপনার ত্রুটিপূর্ণ শিশু জন্মের সম্ভাবনা বেড়ে যায় ।
আরো পড়ুন: কাঁঠালের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা
এলার্জি : গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত
পরিমাণে লিচু খেলে বিভিন্ন এলার্জি হতে পারে । এছাড়াও অতিরিক্ত লিচু খাওয়া
চুলকানি কোটি ফলা ইত্যাদির কারণ হতে পারে ।
সতর্কতা
ডক্টরের পরামর্শ ছাড়া নিজ দায়িত্বে লিচু হওয়া একদমই ঠিক হবে না। কেননা আপনি
নিজে জানেন না আপনার শরীর এর জন্য প্রস্তুত কিনা।
- যদিও লিচু খান তাহলে অতিরিক্ত পরিমাণে না। দুই থেকে তিনটি লিচু খেতে পারেন প্রতিদিন। তবে মনে রাখবেন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া না খাওয়া হলে ভালো।
- খালি পেটে অবশ্যই লিচু খাবেনা। বিশেষজ্ঞদের মতে খালি পেটে লিচু খাওয়া যাবে না। লিচুতে থাকে এক প্রকার রসায়নিক যা শরীরের শর্করা তৈরি করতে বাধা দেয়। খালি পেটে লিচু খেলে শর্করার পরিমান কমে গিয়ে অকাল গর্ভপাত হতে পারে। এছাড়াও মাথা ব্যাথা বমি বমি ভাব, খিচুনি সহ আরো বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এছাড়া আপনার বাসায় যদি বাচ্চা থাকে তাকেও কখনো খালি পেটে লিচু খেতে দিবেন না।
- কোন মতেই রাসায়নিক ও ফরমালিনযুক্ত লিচু খাওয়ানো যাবে না । কারণ এতে উপকারের চাইতে ক্ষতির পরিমাণ বেশি।
শেষ কথাঃ গর্ভাবস্থায় লিচু খাওয়া যাবে কি-গর্ভাবস্থায় লিচু খাওয়ার উপকারিতা
আশাকরি আপনি এই আর্টিকেলটি পড়ে গর্ভাবস্থায় লিচু খাওয়া যাবে কি ?-গর্ভাবস্থায়
লিচু খাওয়ার উপকারিতা এবং সতর্কতা বিষয়ে কিছুটা হলেও ধারণা পেয়েছেন। যদি এই
বিষয়ে আপানার কোন কিছু বলার বা জানার থাকে , তবে আমাদের কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
গর্ভাবস্থায় লিচু খাওয়া যাবে কি-গর্ভাবস্থায় লিচু খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে লিখা
এই আর্টিকেলটি আপনার ভাল লাগলে আপনার বন্ধুদের শেয়ার করুন। স্বাস্থ্য ও তথ্য
প্রযুক্তি বিষয়ক অন্যান্য বিষয়ে আরও জানতে আমাদের ওয়েব সাইট ভিজিট করুন।
আরিফুল প্লাস এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url