গর্ভাবস্থায় ডান পাশে ঘুমালে কি হয়-গর্ভাবস্থায় সহবাস কি নিরাপদ

নতুন জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগেআসসালামু আলাইকুম বন্ধুগণ । আপনি গর্ভাবস্থায় ডান পাশে ঘুমালে কি হয়? এই সম্পর্কে হয়ত অনেক খুজাখুজি করেছেন। কিন্তু সঠিক তথ্য পাননি। আশা করি আপনি যদি আপনার মূল্যবান সময় থেকে কিছুটা সময় অপচয় করেন।
গর্ভাবস্থায় ডান পাশে ঘুমালে কি হয়
এবং মনযোগ দিয়ে আমাদের আর্টিকেলটি পড়েন তাহলে গর্ভাবস্থায় ডান পাশে ঘুমালে কি হয়-সহবাস কি নিরাপদ এই সম্পর্কে একটা ক্লিয়ার ধারণা পাবেন। আশা করি, আমরা আপনাকে এমন কিছু পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করব যার মাধ্যমে আপনি উপকৃত হবেন ইনশাআল্লাহ।

গর্ভাবস্থায় বাচ্চা পেটের কোন পাশে থাকে

গর্ভাবস্থায় বাচ্চার অবস্থান সম্পর্কে জানা খুবই জরুরী। বাচ্চার অবস্থান জানানোর জন্য ডাক্তার আল্ট্রাসাউন্ড করে। এই আল্ট্রাসাউন্ড এর মাধ্যমে বাচ্চা অবস্থান জানা যায়। বাচ্চারা এই অবস্থানের ওপর আপনার প্রসব নির্ভর করে । কোন পজিশনে থাকলে বাচ্চা কি হয়? তা আজকে আপনাদের কাছে তুলে ধরব । গর্ভাবস্থায় শিশু পজিশন নিয়ে, কোন পজিশনে কি হয়, কিভাবে শিশুর পজিশন বুঝবেন এতে করণীয় কি ইত্যাদি।

গর্ভাবস্থায়ী শিশু যে সকল অবস্থাতে থাকে সেগুলো হল

অ্যান্টেরিয়র পজিশনে: এ পজিশনে বাচ্চার মাথা নিচের দিকে থাকে আর বাচ্চার মুখ মায়ের পিঠের দিকে ঘোরানো থাকে।
গর্ভাবস্থায় ডান পাশে ঘুমালে কি হয়
পস্টেরিয়র পজিশন: যখন গর্ভের শিশুর মাথা নিচের দিকে থাকে মুখ মায়ের পেটের দিকে ঘোরানো থাকে তখন তাকে পোস্টেরিয়র পজিশন বলা হয়।

ব্রিজ পজিশন: এতে শিশুর মাথা ওপরের দিকে এবং পা নিচের দিকে থাকে।
ট্রান্সভার্স লাই পজিশন: এ পজিশনে বাচ্চা মায়ের পেটে লম্বালম্বি ভাবে না থেকে পাশাপাশি অবস্থান করে। খুব কম গর্ভাবস্থায় বাচ্চা এমন অবস্থায় থাকতে পারে । অনেক সময় বাচ্চার পিঠ ও ঘাড় জরায়ুর মুখ ঢেকে থাকে। এতে বাচ্চাও মায়ের উভয়ের জটিলতা হতে পারে কর্মস্থার শুরুর দিকে বাচ্চার ট্রান্সভার্স লাইফ পজিশনে থাকতে পারে শেষের দিকে বেশি বিভাগ বাচ্চা উপযোগী অবস্থানে চলে আসে আর বাচ্চারে অবস্থান ঝুঁকি হতে পারে এতে বাচ্চার অক্সিজেন ও রক্ত প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয় অনেক সময় প্রয়োজন হয়।

গর্ভে বাচ্চার অবস্থান বোঝার উপায়

বাচ্চার মাথা নিচের দিকে থাকলে: যদি মায়ের পেটের উপরিভাগে বাম বা ডান পাশে মাংস পিণ্ডের মতো ফুলে থাকে , তবে তাতে হালকা ভাবে চাপ দিন। যদি মনে হয় বাচ্চার পুরো শরীর নড়ে উঠেছে তবে বাচ্চার মাথা নিচের দিকে রয়েছে। কারণ আপনি যে স্থানে চাপ দিয়েছেন এতে বাচ্চার মাথা নিচে। মাথা নিচে থাকায় বাচ্চার পুরো শরীর উঠবে। বাচ্চা যদি অ্যান্টেরিয়র থাকে তবে আপনি পাঁজরের নিচের দিকে নড়াচড়া বুঝতে পারবেন। যদি বাচ্চা পোস্টেরিয়র পজিশনে থাকে তবে আপনি পেটের সামনের দিকে মাছ বরাবর তার লাথি টের পাবেন।

গর্ভাবস্থায় বাচ্চার অবস্থান ঠিক রাখার উপায়

যখন বলবেন পেলভিস সামনের দিকে রাখার চেষ্টা করবেন। ঝুকে বসবেন না যাতে পেলভিস পেছনের দিকে থাকে । মাঝে মাঝে হাত এবং হাঁটুর উপর ভর দিয়ে উপড় হয়ে থাকুন। ফলে বাচ্চার মাথা আপনার পেটের দিকে ঘুরে যেতে পারে। একটানা অনেকক্ষণ বসে থাকবেন না । একটু হাটাহাটি করুন। আপনি যখন শুয়ে থাকবেন তখন বাচ্চার অবস্থান নিয়ে ভয় পাবার কিছু নেই। কারণ এ সময় পেলভিসে বাচ্চার ওপর কোন চাপ পড়ে না।

গর্ভের বাচ্চার জন্য সবচেয়ে নিরাপদ পজিশন

বাচ্চা সবচেয়ে নিরাপদ পজিশনে হল অ্যান্টেরিয়র। কারণ এই পজিশনে বাচ্চার মাথা নিচের দিকে থাকে। এটি প্রসবের জন্য খুবই ভালো এবং নিরাপদ পজিশন। এতে তেমন কোন জটিলতা থাকে না । বেশিরভাগ বাচ্চার মাথা ৩০ থেকে ৩৬ সপ্তাহের মধ্যে নিচের দিকে চলে যায় । তাই এটি গর্ভের বাচ্চার জন্য আদর্শ পজিশন। আর অন্য পজিশন গুলোতে বাচ্চার মাথা নিচে থাকে না । 
গর্ভাবস্থায় ডান পাশে ঘুমালে কি হয়
আর এক্ষেত্রে নানা ধরনের জটিলতা হতে পারে।সাধারণত বাচ্চা ৩৬ সপ্তাহের মধ্যেই আদর্শ অবালে চলে যায় ।এর আগে বাজার অবস্থান বা পজিশন নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। পোস্টেরিয়র পজিশনে থাকলে বাচ্চা অ্যান্টিরিয়র পজিশনে আসা স্বাভাবিক ব্যাপার। তাই গর্ভাবস্থায় সব সময় হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করুন।

গর্ভাবস্থায় কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত

আপনি হয়তো ৮ থেকে ১০ দিন না খেয়ে বা হালকা কিছু খেয়ে বেঁচে থাকতে পারবেন কিন্তু আপনি একটানা দশ দিন না ঘুমিয়ে থাকে পারবেন না। তাই মানুষের জীবনের ঘুম একটা অতি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস বা বিষয়। আর যদি একজন মা গর্ভবতী হন তাহলে বিষয়টি গুরুত্ব আরো বেড়ে যায় একজন গর্ভবতী মায়ের প্রতিদিন ১০ ঘন্টা ঘুমানো উচিত। 
এই দশ ঘন্টা কি আবার দুই ভাইয়ে ভাগ করা হয়েছে। একজন গর্ভবতী রাত্রিতে আট ঘণ্টা এবং দিনে দুই ঘন্টা ঘুমাবে। আয়োজন গর্ভবতী মায়ের ঘুমের সময়সীমা ১০ ঘন্টার কম হওয়া কখনোই উচিত নয়। রাতের আধঘন্টা ঘোমটা অবশ্যই ১১ টা থেকে শুরু করতে হবে এবং সেটা সকাল সাতটা অবধি। এবং দুপুরের ২ ঘণ্টা ঘুমা হবে খাবার এক থেকে দেড় ঘন্টা পরে পরবর্তী দুই ঘন্টা।

 যদি গল্পের সময়সীমা ২৮ সপ্তাহের বেশি হয় তাহলে গর্ভবতী মায়ের বাম কাতে ঘুমানো উচিত। গর্ভবতী মা বাম কাঁধে শুয়ে থাকলে বাচ্চার ব্লাড সার্কুলেশন বাড়ে ফলে বাচ্চার বৃদ্ধি ভালো হয়। লর্ড সার্কুলেশন ভালো হলে বাচ্চা মুভমেন্ট করতে পারে অতি সহজেই। ফলে বাচ্চা গ্রোথ প্যাটেন্ডা খুব ভালো হয়।

গর্ভাবস্থায় বেশি ঘুমালে কি হয়

শেষ পর্যন্ত দেখুন দিনে অন্তত সাত ঘণ্টা থেকে আট ঘণ্টা ৯ ঘণ্টার বেশি ঘুমান তবে তা গর্ভস্থ সন্তানের জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে উঠতে পারে গর্ভ অবস্থায় পেটে রাখার বড় হয়ে যাওয়ার মতো কারনে শারীরিক অসুস্থ এবং হরমোনার নানারকম পরিবর্তনের কারণ হচ্ছে এই অতিরিক্ত ঘুম কথা অবস্থায় অতিরিক্ত ঘুমের কারণে আপনি যখন ঘুমিয়ে থাকেন হয়তো বা আপনার বাচ্চা তখন একটিভ থাকেন।

 তবে আপনি যদি কাজ করতে থাকেন তখন আপনি একটা দোলনার মত করে কাজ করতে থাকেন গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত হরমোনের পরিবর্তনের কারণে গর্ভবতী মহিলাদের ইন সহনিয়া দেখা দিতে পারে যে কারণেও আপনার ঘুমের পরিমাণ বেড়ে যাবে ঘুমিয়ে পড়ে তারাই সাধারণত রাতের বেলা ঘুমাতে পারেনা সবার প্রেগনেন্সি একই রকম নয়।

 তাই আপনার শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করবে আপনি কোন ধরনের কাজ বা ব্যায়াম করতে পারবেন ভালো হয় ঘুমো ভালো হবে বিশেষ করে রাতের বেলায় ঘুম দিনের বেলা ঘুমাতে গেলে অবশ্যই ৪০ মিনিটের বেশি ঘুমাবেন না বিকেল ৫ টার পরে ঘুমাবেন না ঘুমিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন দেরিতে ঘুমালেও ।

কিন্তু আপনার ঘুমের সমস্যা হতে পারে ভালো ঘুমের জন্য রাতে শোয়ার আধঘন্টা আগে সব ধরনের গেজেট বন্ধ করে দিন বিশেষ করে মোবাইল ফোন তা ছাড়া মানসিকভাবে প্রশান্তিতে থাকার চেষ্টা করুন শান্তিতে শোয়ার চেষ্টা করতে হবে। এতে করে খুব ভালো ঘুম আসবে। আপনি চাইলে আপনার সঙ্গির সাথে কিছু ভালো মুহূর্ত কাটাতে পারেন। এগুলো কিন্তু রাতের বেলা যদি আপনার ঠিকঠাক ঘুম হয় তাহলে দিনের বেলা বারবার ঘুমিয়ে পড়া প্রবলেম ঘুমাতে পারে।

গর্ভাবস্থায় ডান পাশে ঘুমালে কি হয়

ঘুম মানুষের জীবনের অতি জরুরী একটা জিনিস। আর এটা যদি হয় গর্ভাবস্থায় তাহালে তো কোন কথায় নাই। একজন গর্ভবতী মায়ের প্রতিদিন ৮-১০ ঘন্টা ঘুমানো উচিত। এখানে আবার প্রশ্ন আসে একজন গর্ভবতী কিভাবে ঘুবাবেন। ডানদিকে কাত হয়ে ,না বাম দিকে কাত হয়ে না কি চিত হয়ে। এখন আমরা আলোচনা করব ডান দিকে কাত হয়ে ঘুমালে কি হয়। 
গর্ভাবস্থায় ডান পাশে ঘুমালে কি হয়
আমাদের সকলেরই জানা আছে যে, আমাদের শরীরের মেইন অর্গান গুলো মূলত ডান দিকে থাকে। যেমন আমাদের লিভার ডান পাশে থাকে । একজন গর্ভবতী যদি ডান দিকে কাত হয়ে ঘুমায় তবে, লিভারের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। তাই গর্ভবতী মায়েদের উচিত যতদূর সম্ভব ডান কাতে কম শোয়ান। উল্লেখ্য যে আপনি ৩২ সপ্তাহের আগে ডান বা কম যেকোন কাঁদে। 

আপনি ৩২ সপ্তাহ পর ডান বা বাম্পার নির্ধারণ করতে পারবেন এবং ৩২ সপ্তাহ পরেই আপনি বাচ্চার নড়াচড়া কাউন্ট করা শুরু করবেন এর আগে বাচ্চা নড়াচড়ায় বিষয় নিয়ে ভাবানোর কিছু নেই। ৩২ সপ্তাহ পর যদি আপনার বাচ্চা সঠিকভাবে নড়াচড়া না করে তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এখানে আপনি আরেকটা জিনিস মনে রাখবেন আপনি কখনোই চিৎ বা উপড় হয়ে শুবেন না।

গর্ভাবস্থায় বাম কাত হয়ে শোয়ার উপকারিতা

চিকিৎসগণ সাধারণত বাম কাতে ঘুমানো পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু প্রশ্ন হল চিকিৎসা কোন কেনই ডাক্তার বা চিকিৎসকান বামকাতে ঘুমানোর পরামর্শ দেন দাম বা চিত হয়ে নয় চলুন আমরা জানার চেষ্টা করি।

চিকিৎসকগণ ডান কাতে হয়ে ঘুমানোর কারণ আবিষ্কার করেছেন। গর্ভাবস্থায় ভ্রুন ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে এবং স্বভাবতভাবেই গর্ভবতী মায়ের অভ্যন্তরীণ অর্গানের উপর চাপ বাড়তে থাকে। ক্রমবর্ধমান শিশু মায়ের অন্দ্রে লাথি মারে তখন মা শান্ত ব্যথা অনুভব করে । এই রকমের অভিজ্ঞতা থেকে গর্ভবতীর মাকে বাঁচানোর উদ্দেশ্যে সাধারণত বাম হাতে ঘুমানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকগণ।

মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডঃ পিয়েন এর মতে, ইনফেরিয়র ভিনা কাফা একজন গর্ভবতী মায়ের সবচাইতে বড় শিরা। যেটি মেরুদন্ডের পাশ দিয়ে চলে গেছে এবং এটি শরীরের নিচ থেকে শুরু করে হৃদপিণ্ড পর্যন্ত রক্ত বহন করে থাকে।

ডক্টর পিয়েন লাইফ সাইন্স কে বলেন যে, একজন গর্ভবতী মা যদি চিত হয়ে বা পেটে ভর দিয়ে ঘুমান তাহলে ইনফেরিয়র ভিনা কাভার উপরে ব্রণের প্রদত্ত চাপ বাড়ার সম্ভাবনা থাকে ফলে হৃৎপিণ্ডের দিকে রক্ত ফিরে যাওয়ার পরিমাণ কমে যেতে পারে। ডাক্তার পিয়ানের মতে ডান পাশ বা বাম পাশে কাত হয়ে ঘুমানো নিয়ে অনেক গবেষণা রয়েছে এবং সেখান থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে ডান বা বাম কাত হয়ে ঘুমালে রক্তনালীর উপর চাপের পরিমাণ কম হয়। 

আর এই চাপ কম গর্ভবতী মা ও শিশু উভয়ের জন্য অনেকটাই মঙ্গল কর। এর কারণ হলো হৃদপিন্ডে রক্ত সরবর হ্রাস মানে অনেকটাই রক্ত সরবরাহ কম হওয়া। ফলে মায়ের রক্তচাপ কমে যায় এবং মহা শিশু দুজনার ওই রক্তের অক্সিজেনে পরিমাণ হ্রাস পায়।
ডক্টর পিয়েন বলেন অনেক সুস্থ গর্ভবতী মা তাদের ভুল কার্ডিয়াক আউটলুক সামান্য কমের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেন। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে গর্ভ অবস্থায় শেষের দিকে পিঠে ভর দিয়ে ঘুমানোর সঙ্গে মৃত বাচ্চা প্রসব হওয়ার সম্ভাবনা অতপ্রত ভাবে জড়িত। এক গবেষণায় দেখা গেছে যে সকল গর্ভবতী মা ২৮ সপ্তাহ গর্ভধারণের পর গর্ভবতী মা মৃত বাচ্চা প্রসব করে তারা সুস্থ বাচ্চা প্রসবকারী মায়ের তুলনায় ২-৩ গুণ চিত হয়ে শুয়েছিল।

গর্ভাবস্থায় সহবাস কি নিরাপদ? | ডা. উম্মে তাহমিনা সীমা

ডা. উম্মে তাহমিনা সীমা এর মতামত,গর্ভাবস্থায় সহবাস করা যাবে।তবে,এক্ষেত্রে কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে যেমনঃ- বর্তমান প্রেগন্যান্সি সময়ে কোন জটিলতা আছে কিনা, পূর্ববর্তী গর্ভধারনে এবং গর্ভকালীন কোন জটিলতা ছিল কিনা, গর্ভপাত হওয়ার ইতিহাস আছে কিনা, গাইনী ডাক্তারের নিষেধাজ্ঞা আছে কিনা ইত্যাদি।যাদের এরূপ সমস্যাগুলোর ইতিহাস রয়েছে তাদের কারও কারও ক্ষেত্রে গর্ভকালীন প্রথম তিন মাস বিশেষ সতর্কতার অংশ হিসেবে সহবাস থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

যদি এসব বিষয়গুলোর কোনটি উপস্থিত না থাকে সেক্ষেত্রে, দুইজন সঙ্গীর সহমতে গর্ভাবস্থায় সহবাস করা যাবে। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, সহবাসের ফলে গর্ভের ভ্রূণের কোন ক্ষতি হবার সম্ভাবনা রয়েছে কিনা। এর উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন- গর্ভকালীন অবস্থায় মায়ের গর্ভে শিশু একটি পানির থলের ভেতর সুরক্ষিত থাকে এবং মায়ের জরায়ুর মাংসপেশি, জরায়ুর মুখের মিউকাস এগুলো ভ্রূণকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে।

শেষ কথাঃ গর্ভাবস্থায় ডান পাশে ঘুমালে কি হয়-সহবাস কি নিরাপদ

আশাকরি আপনি এই আর্টিকেলটি পড়ে গর্ভাবস্থায় ডান পাশে ঘুমালে কি হয়-সহবাস কি নিরাপদ এই বিষয়ে কিছুটা হলেও ধারণা পেয়েছেন। যদি এই বিষয়ে আপানার কোন কিছু বলার বা জানার থাকে , তবে আমাদের কমেন্ট করতে ভুলবেন না।

গর্ভাবস্থায় ডান পাশে ঘুমালে কি হয়-সহবাস কি নিরাপদ নিয়ে লিখা এই আর্টিকেলটি আপনার ভাল লাগলে আপনার বন্ধুদের শেয়ার করুন। স্বাস্থ্য ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক অন্যান্য বিষয়ে আরও জানতে আমাদের ওয়েব সাইট ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরিফুল প্লাস এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url