গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয়-হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ঔষধ
মেয়েদের হিমোগ্লোবিন কত থাকা দরকার
রক্ত এক ধরনের বিশেষ তরল যোজক কলা বা টিস্যু। রক্তের পিএইচ ৭.৩৫ থেকে ৭.৪৫ হয়ে থাকে। একজন সুস্থ মানুষের শরীরে সাধারণত ৫ থেকে ৬ লিটার রক্ত থাকে। রক্তে সাধারণত তিন ধরনের কলিকাতাকে সেগুলো হল রয়েছে এবং অনুচক্র। রক্তে লোহিত কণিকা মধ্যে হিমোগ্লোবিন এর উপস্থিতির কারণে রক্ত লাল দেখা যায়। বয়স ভেদে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বিভিন্ন হয়ে থাকে।
Hemoglobin Normal Value
রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ
গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার কারণ
বয়স অনুযায়ী রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ প্রয়োজনীয় পরিমাণ এর চাইতে কম থাকলে তাকে রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া বলে। অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতায় বিষয়। অ্যানিমিয়া হচ্ছে এক ধরনের অবস্থা যেখানে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিক এর চাইতে কম থাকে।
প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা হলো ১৫.৫ প্লাস মাইনাস রাম্পার ১০০ মিলিলিটার এবং প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের ক্ষেত্রে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ১৪ আর ১০০ মিলি। বিভিন্ন কারণে একজন গর্ভবতী মায়ের শরীর হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যেতে পারে। এর মধ্যে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ হলো এক নাম্বার অস্থিমজ্জায় কম তৈরি হওয়া কারণে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম হয়।
অতিরিক্ত পরিমাণে লোহিত কণিকা ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম হয় যেমন থ্যালাসেমিয়া। আরেকটি উন্নতম কারণ হলো অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে শরীরে হিমোগ্লেমের পরিমাণ কমে যেতে পারে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের মধ্যে রয়েছে যেমন আঘাত জনিত কারণ। গর্ভধারণ ও প্রসব মহিলাদের মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ইত্যাদি।
গর্ভ অবস্থায় রক্তস্বল্পতার লক্ষণ
রক্তস্বল্পতার লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে দুর্বল লাগা চোখে অন্ধকার বা ঝাপসা দেখা মাথা ধরা অল্প তুই হাপিয়ে ওঠা কোন কাজ করতে ভালো না লাগা হাত পা ফুলে যাওয়া শ্বাসকষ্ট ও বুকে ব্যথা হওয়া এক নজরে দেখলে বোঝা যাবে গর্ভবতী মায়ের শরীরের ফ্যাকা শো হয়ে গেছে হাতের তালু সাদা বা ফ্যাকাসে পায়ে দিদিমা থাকতে পারে।
গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয়
গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন অতি জরুরী একটি বিষয়। এটা যেমন একজন গর্ভবতী মায়ের শরীরের জন্য খুবই দরকার ঠিক তার গর্ভের বাচ্চা সবাই গ্রোথ বজায় রাখার জন্য হিমোগ্লোবিন এর সঠিক মাত্রায় থাকে একান্ত প্রয়োজন। একদম গর্ভবতী মায়ের গর্ভ অবস্থায় যদি সঠিক মাত্রই হিমোগ্লোবিন না থাকে তাহলে বাচ্চার গ্রোথ ঠিক থাকে।
সাধারণত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ ৩২ সপ্তাহে আগে একজন গর্ভবতী মাকে তোমাকে ৩২ সপ্তাহের আগে বিভিন্ন ধরনের আয়রন ট্যাবলেট বা ইনজেকশন দিয়ে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখার চেষ্টা করেন। কিন্তু যদি বদ ৩২ সপ্তাহ পর হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক না থাকে তাহলে আপনাকে গর্ভবতীর মায়ের শরীরে রক্ত দিতে হবে।
কারণ এ অবস্থায় ট্যাবলেট বা ইনজেকশন খুব একটা ইফেক্টেবল হিসেবে কাজ করে না। তাই ৩২ থেকে ৩৬ সপ্তাহ পরে যদি একজন গর্ভবতী মায়ের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ১১ থেকে কম থাকে তাহলে আপনার উচিত একজন গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সহায়তা নিয়ে গর্ভবতী মায়ের শরীরে রক্ত দেয়া লাগবে কিনা সেটা নির্ণয় করা ।
রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধের উপায়
রক্তের একটি নির্দিষ্ট মাত্রা থাকে। এই স্বাভাবিক মাত্রা থেকে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। অনেক ক্ষেত্রে এই রক্তস্বল্পতায় বিভিন্ন রোগের কারণ হিসেবে দেখা যায়। আবার এটা স্বতন্ত্র ভয়াবহ হতে পারে। সারা বিশ্বের প্রায় ৩০% মানুষ কত সাল বোতায় ভুগছে। তাই আমাদেররক্তস্বল্পতা কি ,রক্তস্বল্পতার কারণ ,লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায় জানা দরকার। সাধারণত আয়রন ও ভিটামিনের স্বল্পতার কারণে রক্তস্বল্পতা দেখা দিয়ে থাকে একটু সচেতনভাবে দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় আয়রনের ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার যোগ করে আমরা রক্তস্বল্পতা থেকে রক্ষা পেতে পারে।
যে সকল খাবার রক্তস্বল্পতা দূর করে
এই রক্তস্বল্পতা আপনার আপনার বিভিন্ন ধরনের বিপদ থেকে আনতে পারে। আপনার যদি আপনি যদি এর আগে আক্রান্ত হন তাহলে আপনি পুষ্টিকর খাবারের দিকে মনোযোগ হন। রক্তস্বল্পতায় আক্রান্ত হলে সাধারণত আয়রন ভিটামিন বি ও সি সমৃদ্ধ খাবার ও ফলমূল বেশি খেতে হয়।
আরোও পড়ুন: গর্ভাবস্থায় ডান পাশে ঘুমালে কি হয়।
জাম: জাম অত্যন্ত পরিচিত একটি ফল। গ্রামে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি থাকে। জাম খেলে জামে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি শরীরের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে হেল্প করে।
পালং শাক: পালং শাক নামক সবুজ এর সবজিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। শীতকালীন খাদ্য তালিকায় আপনি এ পালংশাক রাখতে পারেন। পালংশাকে বেদমান আয়রন রক্তস্বল্পতা দূর করতে সহায়তা করে থাকে এছাড়া আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় আরো কিছু শাক যেমন কচু শাক সহ অন্যান্য শাকসবজি রাখতে পারেন যেগুলো আর সমৃদ্ধ বা আয়রনের ভালো উৎস।
বেদানা: রক্তের মত লাল টকটকে ফল বেদনা। যেটা দেখলে মনে হয় রক্তে পরিপূর্ণ। বেদানাতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ক্যালসিয়াম ও ফাইবার রয়েছে যা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সহায়তা করে। তাই আপনি যদি রক্তের স্বল্পতায় ভুগে থাকেন তাহলে আপনি প্রতিদিন একটা করে বেদনা খেতে পারেন।
আপেল: আপেলন তো অন্তত সুমিষ্ট একটি পরিচিত ফল। আপেলে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে যাটা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সহায়তা করে। এছাড়া আপনি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার মিনারেল পটাশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেটা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী উপাদান। তাই আপনি চাইলেই আপনি প্রতিদিন আপনার একটি আপেল রাখতে পারেন।
প্রাণিস খাদ্য: প্রাণিজ খাদ্যগুলো আয়রনের অন্যতম উৎস । এই প্রাণিস আয়রনের উৎস গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ডিম দুধ কলিজা ইত্যাদি। এই প্রাণিস আয়রনগুলো রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়াতে ব্যাপকভাবে সহায়তা করে। তাই আপনি যদি রক্তস্বল্পতায় বুকে থাকেন তাহলে প্রাণিস এই খাবারগুলো নিয়মিত খেতে পারেন।
মিষ্টি কুমড়া ও শিমের বিচি: আপনি হয়তোবা জেনে অবাক হবেন যে মিষ্টি কুমড়া ও সিমের বিচিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে , যেটা রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সহায়তা করে। তাই আপনার রক্তের শরবতায় ভুগে থাকলে আপনি নিয়মিত মিষ্টি কুমড়া অসীমের বিচি খেতে পারেন।
সামুদ্রিক মাছ: সামাজিক মাঝে বছর পরমাণু আয়রন পাওয়া যায় তাই রক্তস্বল্পত দূর করতে নিয়মিত সামুদ্রিক মাছ খাবার চেষ্টা করুন।
ড্রাই ফ্রুটস: আপনি কি জানেন কিসমিস কাজুবাদাম ও খেজুরের মত ড্রাই ফুডে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। তাই স্বাভাবিক অবস্থায় রক্তস্বল্পতা থেকে বাঁচতে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতে নিয়মিত কিসমিস কাজুবাদাম ও খেজুর মাত্র খাওয়ার অভ্যাস করুন।
ডার্ক চকোলেট
আপনি কি নিয়মিত চকলেট খান। আপনার নিয়মিত চকলেট খাওয়া হতে পারে আপনার রক্তে হিমোগ্লোবিন অন্যতম কারণ। আমরা সাধারণ আমরা সাধারণত যে মিল্ক চকলেট খায় তাতে সরকারের পরিমাণ তুলনামূলক ভাবে বেশি থাকে। আপনি যদি নিয়মিত এই সকল চকলেট খান তাহলে আপনার রক্তে শর্করা পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। এমত অবস্থায় আপনি এসব সমস্যা থেকে নিয়মিত চকলেট খেতে পারেন। নিয়মিত ডার্ক চকলেট খেলে আপনার শরীরে ঘাটতি পূরণ হবে যার ফলে আপনি হিমোগ্লোবিন নামক সমস্যা পেতে পারেন। তাই নিয়মিত চকলেট খাওয়ার অভ্যাস করুন। রক্তে
হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ঔষধ
সালফেট ৬০ মিলিগ্রাম আয়রন এবং ফলিক এসিড ০.২৫ মিলিগ্রাম।একটি বরে দিনে তিনবার খেতে হবে।গর্ভাবস্থায় রক্তস্বল্পতা রোদের জন্য একটি বড়ি দিনে দুই থেকে তিনবার।
আরিফুল প্লাস এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url