ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকায় 15টি ফল ও সবজি

  কাঁঠালের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতাআসসালামু আলাইকুম বন্ধুগণ। আশা করি সবাই ভাল আছেন। বর্তমান সময়ে বলা যায় সার্বজনীন একটি রোগ ডায়াবেটিস। আপনি হয়তো এই ডায়াবেটিস রোগীদের কোন ফল বা সবজি খাওয়া উচিত।

ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা ফল-সবজি-নিষিদ্ধ খাদ্য তালিকা
কোন ফল এবং সবজি খাওয়া অনুচিত এ বিষয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন। কিন্তু সঠিক তথ্য খুঁজে পান নাই। আপনি যদি আপনার মহামূল্যবান সময়ের কিছুটা ব্যয় করে আমাদের সাথে শেষ অবধি থাকেন। তাহলে আপনি ডায়াবেটিস রোগের খাদ্য তালিকা ফল-সবজি  সেই সম্পর্কে জানতে পারবেন।

ভূমিকাঃ 

বর্তমান সময়ে সকলেরই পরিচিত একটি রোগের নাম ডায়াবেটিস। ডায়াবেটিস হলো যখন আপনার শরীরের রক্তের শর্করার পরিমাণ স্বাভাবিক লেভেলের চাইতে বেশি হয় তখন তাকে ডায়াবেটিস বলে। যদি একজন মানুষ এতে একবার আক্রান্ত হয়ে যায় তাহলে শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত এটা তার সাথে থাকে। এ রোগটি পুরোপুরি নিরাময় যোগ্য নয় ,তবে আপনি যদি খাবার ,ক্রাইট পরিশ্রম ইত্যাদি রুটিন মেনে করেন তাহলে এটা আপনার নিয়ন্ত্রণে।

ডায়াবেটিস রোগীর জন্য উপকারী ফল

ফল মানেই পুষ্টি। আমাদের সাধারনত যে কোন রোগীর কথা মনে হলেই বিভিন্ন ধরনের করের কথা মনে আসে। কারণ ফল নানা ধরণের পুষ্টি উপাদান থাকে যা রোগীর জন্য দরকার। কিন্তু এমণ একটা রোগ আছে ,যে রোগ হলে আমাদের যেমন সকল ধরনের খাবার বুঝে শুনে খেতে হয় , ঠিক তেমনি ফলের দিকেও নজর রাখতে হয়। 
আপনি বুঝতে পেরেছেন আমি রোগ রোগের কথা বলছি। যি আপনি যেটা ভাবছেন সেটাই ডায়াবেটিস। ডায়াবেটিস হলেও আমরা একসাপটা সকল ফল খেতে পারি না। কারণ কিছু কিছু ফল আছে যেগুলো খেলে ডায়াবেটিস বেড়ে যায়। তাই আপনারা ডায়াবেটিস রোগী আছেন আপনাদের উচিত হবে বুঝে শুন খাওয়া।

এখানে একটা বিষয় আগেই আলোচনা করে রাখি সেটা হল গ্লাইসেমিক ইনডেক্স  সম্পর্কে। যেটা আপনাকে এ আর্টিকেলটি পড়ে বোঝাতে ব্যাপকভাবে সহায়তা করবে।

 গ্লাইসামিক ইনডেক্স এমন একটি পরিমাপ যেটি একটি খাদ্য আপনার শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা কে কতটা প্রভাবিত করে তা নির্ণয় করতে ব্যাহত হয়। খাদ্যগুলোকে নিম্ন মাঝারে এবং উচ্চ খাবার হিসেবে শ্রেণীভুক্ত করা হয়েছে। এবং 0-100 এর স্কেলে স্থাপন করা হয়েছে।

একটি খাবারে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বা জিআই যত কম হবে সেটি আপনার শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা তত কম প্রভাবিত করতে পারে। এর লেভেল হল নিম্নরূপ 
  • কম ঃ  50 or less
  • মাঝারি  ঃ   56-69
  • বেশি   ঃ 70 or above 
ডায়াবেটিস রোগীদের ফল খাওয়া বিষয়ে ভারতের একজন ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ডা. রাহুল বাক্সি বলেন, ডায়াবেটিস রোগীরাও চাইলে নিয়মিত তাদেরর খদ্য তালিকায় ফল রাখতে পারেন। তাঁর মতে, এমর অনেক ফল আছে যেগুলোতে ডায়েটারি ফাইবার, পটাসিয়াম, ভিটামিন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। সেগুলোতে চর্বি, সোডিয়াম ও ক্যালোরি তুলনামূলক বাবে কম থাকে। তিনি আরও জানান, ডায়াবেটিস রোগীর ফল খাওয়ার বিষয়টা নিয়ে অনেক ভুল ধারনা রয়েছে।
ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা ফল-সবজি-নিষিদ্ধ খাদ্য তালিকা
অনেকেই মনে করে যে, ফলের সুগার রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।এই বিষয়ে ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ডা. রাহুল বাক্সি বলেন,ফলে যে ফ্রুক্টোজ থাকে সেটা লিভার দিয়ে গ্রহণ হয় এবং গ্লুকোজে রূপান্তরিত সেটা রক্তে নির্গত হয়। তাই মনে রাখবেন ফল খেলে গ্লুকোজের পরিমান বাড়তে পারে। তবে একটা বিষয় মনে রাখবেন, যেসব ফলে প্রচুর ফাইবার থাকে ,সেগুলো কার্বোহাইড্রেট শোষণের গতিকে ধীর করে ও গ্লুকোজের মাত্র নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

তাহলে আপনি বুঝতে পারলেন তো একজন একজন ডায়াবেটিস রোগীর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স এবং গ্লাইসেমিক লোড সকল দিক বিবেচনা করে ফল বাছাই করাতে হবে।
এতক্ষণ অনেক কথাই বললাম চলুন এখন আসল কথাই যাওয়া যাক একজন ডায়াবেটিস রোগী কোন সকল ফল খেতে পারবেন সেগুলো সম্পর্কে কথা বলি।

বেদানাঃ সকলের পরিচিত ফল বেদেনা। এটি বিভিন্ন রেনের পুষ্টি সমৃদ্ধ বল। এত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পাটাসিয়ম ,ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন সি। ভিটামিন সি আপনার শরিরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।এছাড়াও আরো একটি অিতি প্রয়োজনীয় উপাদান য়েটা প্রচুর থাকে সেটা হল অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এত বিদ্যমান ফ্রি র‌্যাডিক্যাল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

আঙ্গুরঃ আঙ্গুরদের সমষ্টি একটি ফল। ফলটি বিভিন্ন পুষ্টিগণের সমৃদ্ধ। আঙ্গুরে সাধারণত চর্বি শর্করা প্রোটিন ক্যালসিয়াম লোহো ফসফরাস খনিজ পটাশিয়াম থায়ামিন ভিটামিন এ বি সি বিভিন্ন ধরনের উপাদান রয়েছে। আঙ্গুরের আরেকটু উল্লেখযোগ্য উপকারী উপাদান হলো ফাইটো কেমিক্যাল রেসভারেট্রল । এই ফাইটো কেমিক্যাল রেসভারেট্রল আপনার রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। তাই আপনি ডায়াবেটিস অবস্থায় আপনার খাদ্য তালিকায় আঙ্গুর যোগ করতে পারেন।

আপেলঃ আপেল আমাদের সকলের পরিচিত একটি ফল। আপনি আগেই জেনেছেন যে যে সকল ফলে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি সে সকল ফল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খাওয়া উচিত নয়। এদিক থেকে বিবেচনা করলে আপেলের গ্লাসমিক ইনডেক্স অনেকটাই কম তাই আপনি চাইলে আপেল ফলটি খেতেই পারেন। শুধু এখানেই শেষ নয় আপেলের খোসায় প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে এছাড়াও আপেল রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। 

আপেলের ফাইবার আপনার শর্করার শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে থাকে। এছাড়াও আপেলের আরেকটি উল্লেখযোগ্য উপাদান হলো পেকটিন। এই পিকটিন আপনার ব্লাড সুগার কমাতে সহায়তা করে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে আপেল মিষ্টি হলেও ডায়াবেটিস রোগীরা সেটা অনায়াসে খেতে পারেন। এবং সেটা অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে নয় প্রতিদিনে আপনি একটি অথবা দুই দিনে একটি ফল খেতে পারেন।

ব্লুবেরিঃ আপনি ইতিপূর্বে পরিচিত হয়েছেন যে গ্লাইসেমিক ইনডিক্স কথাটির সাথে। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যত কম সে ফল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য তত ভালো। ব্লুবেরিতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স এর পরিমাণ হলো প্রায় ৫৩, যেটা তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম জিআই তাই একজন ডায়াবেটিস রোগী অনায়াসেই ব্লুবেরি ফল কি খেতে পারেন। শুধু এখানেই শেষ নয়, ব্লুবেরিতে আরো রয়েছে ভিটামিন সি যেটা আপনার কোষ কে বিভিন্ন ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করবে ও আয়রন শোষণে সহায়তা করবে।

 এছাড়াও ব্লুবেরি ফলটির আরেকটি গুন হল এতে দ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে যেটা সরকারের নিয়ন্ত্রণে বা রক্তে চিনে নিঃসরণের হার কে তুলনামূলকভাবে কমাতে সহায়তা করে। আরেকটা বিষয় উল্লেখ করা যায় যে ব্লুবেরিতে তুলনামূলকভাবে কম ক্যালোরি থাকে। ১০০ গ্রাম ব্লুবেরিতে ১.৫ গ্রাম ফাইভার রয়েছে। তাই আপনি যদি আপনার ওজন কমাতে চান বা রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে চান তাহলে ব্লুবেরি আপনি নিশ্চিন্তে খেতে পারেন।

স্ট্রবেরিঃ স্ট্রবেরি অত্যন্ত সুমিষ্ট একটি ফল। স্ট্রবেরিতে রয়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ভিটামিন ভিটামিন সি ও ম্যাগনেসিয়াম যেটা ডায়াবেটিস রোগীদের ব্লাড সুগার। কমাতে সহায়তা করে। এছাড়াও স্ট্রবেরি গ্লাইসেমিক ইনডেক্স এর পরিমাণ অনেকটাই কম। তাই আপনি নিশ্চিন্তে স্ট্রবেরি খেতে পারেন ।তবে যে কোন জিনিসও অতিরিক্ত খাওয়া ভালো নয় পুষ্টিবিদদের মতে আপনি সকাল সন্ধ্যা হালকা খাবার হিসেবে চার থেকে পাঁচটি স্ট্রবেরি খেতে পারেন।

পেয়ারাঃ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পেয়ারা একটি অত্যন্ত উপকারী ফল। আপনি যদি নিয়মিত পেয়ারা খান তাহলে টাইপ টু ডায়াবেটিস থেকে রক্ষা পেতে পারেন। পেয়ারাতে সাধারণত হাইপোগ্লায়সেমিক একটি উপাদান থাকে যেটা গ্লুকোজ বিরোধী হিসেবে কাজ করে। তাই পেয়ারা খেলে আপনার রথের সরকার ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে পড়তে সহায়তা করে। একটা গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রতিদিন পেয়ারা খেলে ডায়াবেটিস ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে কবে।
আরো একটি গবেষণার কথা উল্লেখ করা যায় এতে দেখা যায় যে ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত পেয়ারা খেলে তাদের রক্তে শর্করার পরিমাণ তুলনামূলকভাবে হবে। ইউ এস ডি এ অনুসারে ১০০ গ্রাম পেয়ারায় 22 মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম থাকে এ ম্যাগনেসিয়াম ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণ করতে যথেষ্ট পরিমাণে সহায়তা করে। ফলে পেরিফেরাল টিস্যু কার্ডিয়াল টিস্যু কঙ্কাল টিস্যু এবং অ্যাডি পোস্ট টিস্যুতে সহজেই ইনসুলিন প্রবেশ করতে পারে। এর ফলে আপনার রক্তের সরকারের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কমে যায় ফলে ডায়াবেটিস আপনার নিয়ন্ত্রনে আসে।

তরমুজঃ তরমুজ একটি মৌসুমী ফল। এটি অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি ফল। কিন্তু এটা কি ডায়াবেটিস রোগীদের খাওয়া উচিত ? এ সম্পর্কে ডঃ অরিত্র খান বলেছেন অনেকেই মনে করেন ডায়াবেটিস রোগীরা তরমুজ খেতে পারবেন না। তরমুজের গ্লাসমিক ইন্ডেক্স অনেক বেশি হওয়ার কারণে অনেক বিশেষজ্ঞ ডক্টর ও ডায়াবেটিস রোগীদের তরমুজ খেতে নিষেধ করেন। 

আবার অন্যদিকে ডায়াবেটিস রোগীরা যদি চান তাহলে অল্প পরিমাণে তরমুজ খেতে পারেন কারণ এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি হলেও এর গ্লাইসেমিক লোড ১০ এর নিচে। গ্লাইসেমিক লোড ১০ এর নিচে থাকার কারণে এটি খেলে ব্লাড সুগার খুব একটা বাড়বে না। তাই আপনি যদি তরমুজ খেতে চান তবে একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে যেতে পারেন।

চেরিঃ চেরি একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল। এতে সাধারণত অ্যান্টঅক্সিডেন্ট অ্যান্থ সায়ানিন ইনসুলিন উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে যেটি রক্তের সরকারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। উজ্জ্বল লাল রঙ্গের হওয়ার কারণে চেরিতে অ্যান্থ সায়ানিন প্রাকৃতিকভাবেই থাকে। এছাড়াও চেরিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। হিসাব করে দেখা গেছে যে ১০ টি শ্রেণীতে প্রায় ১.৪ গ্রাম ফাইবার থাকে। 

যেটা সাধারণত একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রস্তাবিত খাদ্য তালিকা গত অনুমোদনের প্রায় ১০ ভাগ। এ ফাইবার আপনার রক্তের সরকার গড়ার পরিমাণ বৃদ্ধিতে বাধা প্রদান করে থাকে। আরেকটা জিনিস দেখে আপনি অবাক হবেন যে সেটির গ্লাইসেমিক সূচক স্কোর প্রায় ২০ সেই সাথে এর কার্বোহাইড্রেট এর মাত্রা অনেকটাই কম। তাহলে বুঝতেই পারছেন একজন ড্রাইভেরস রোগীদের জন্য চেরি কতটা উপকারী। তাই আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেন নিঃসন্দেহে।

পেঁপেঃ পেঁপে অতি জনপ্রিয় একটি সুমিষ্ট বারোমাসি ফল। এটি বিভিন্ন পুষ্টিগরে সমৃদ্ধ। পেঁপেতে সুগারের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম থাকে সাধারণত দেখা যায় এক কাপ পরিমাণ পেপেতে ৮.৩ গ্রাম মিষ্টি থাকে। গবেষণা করে দেখা গেছে যে পেঁপে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে তাছাড়াও পেপে তো রয়েছে পাপাইয়ের নামক এক ধরনের যেটা শরীরকে অভ্যন্তরীণভাবে বিভিন্ন ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে থাকে। পেঁপে যেহেতু খুবই উপকারী এবং ডায়াবেটিস প্রতিরোধই তাই আপনি নিয়মিত পেঁপে খেতে পারেন।

কমলা লেবুঃ অত্যন্ত সুমিষ্ট ও রসালো ফল কমলালেবু। শিশু থেকে বুড়ো সকলেরই পছন্দ ফল এই কমলা লেবু। কমলালেবু খেতে মিষ্টি হলেও এতে চিনির পরিমাণ কম থাকে। তাই যারা ডায়াবেটিস রোগী আছেন তারা নিঃসন্দেহে কমলা লেবু খেতে পারেন। কমলালেবের পুষ্টি প্রধানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হারে রয়েছে ফাইবার ভিটামিন সি পটাশিয়াম সহ আরো অন্যান্য স্বাস্থ্যকর উপাদান। ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে সরকারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের কমলালেবুর জুড়ে মেলা ভার। 

আপনি জেনে খুশি হবেন যে কমলালেবুর গ্ল্যামিক সূচক চল্লিশের একটু বেশি। আপনি আগেই জেনেছেন যে যে সকল খাদ্যের সূচক পঞ্চান্ন রকম সে সকল খাবার একজন ডায়াবেটিস রোগী মোটামুটি ভাবে খেতে পারেন। তাই আপনি নিয়মিত আপনার খাদ্য তালিকায় কমলালেবুর মতো উপকারী ফল যোগ করতে পারেন।

নাশপাতিঃ নাশপাতি অনেক পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি ফল। নাশপাতির সুযোগ অনেকটা কম থাকে। এখানেই শেষ নয় নাশপাতিতে কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ প্রায় পঁচিশ গ্রাম হয়ে থাকে একটি মাঝারি ধরণের নাশপাতিতে। এছাড়াও নাশপাতিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। এ সকল উপাদান আপনার রক্তের সরকার নিয়ন্ত্রণে ব্যাপকভাবে সহায়তা করেন। তাই আপনি কোন চিন্তা ছাড়াই নাশপাতি ফলটি খেতে পারেন।

অ্যাভোকাডোঃ অ্যাভোকাডো একটি বেদেহী ফল। এই ফোনটি এখন বাজারে প্রায় দেখা যায়। এই ফলটি অতুলনীয়। অ্যাভোকাডো একটি স্বাস্থ্যকর চর্বি ও বৃষ্টির বেশি ভিটামিন সমৃদ্ধ এবং খনিজের উৎস। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। তাই একজন ডায়াবেটিস রোগী অনায়াসে অ্যাভোকাডো খেতে পারেন

কামরাঙ্গাঃ কামরাঙ্গা সকলে পরিচিত একটি ফল। এর ফলের গ্লাসমিক ইনডিক্স এবং গ্লাইসনিক লোড তুলনা মূলকভাবে কম হয়ে থাকে তাই একজন ডায়াবেটিস রোগী তার খাদ্য তালিকায় কামরাঙ্গা রাখতে পারেন। প্রতি ১০০ গ্রাম কামরাঙ্গাতে কার্বোহাইড্রেট থাকে একজন মানুষের দৈনিক চাহিদা 2% ,চিনির পরিমাণ থাকে একজন মানুষের চাহিদার প্রায় ৮% এবং ফাইবার থাকে দৈনন্দিন চাহিদার প্রায় 11%।

 কামরাঙ্গার গ্লাইসেমিক ইনডিক্সমিক লোড কম হওয়ার কারণে এটি আপনার রক্তের শর্করার পরিমাণ খুব বেশি বাড়াবে না। তারপরও আপনি যদি নিয়মিত কামনা খেতে পারেন তাহলে আপনার ডায়াবেটিস আপনার কন্ট্রোলে থাকবে। তাই আপনি যদি ডায়াবেটিস রোগী হয়ে থাকেন তাহলে আপনি নিশ্চিন্তে নির্দ্বিধায় খেতে পারেন।

কিউইঃ এটি পুষ্টিগুনে ভরপুর একটি ফল । এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি কে ই ম্যাগ্নেসিয়াম ফরাস ক্যালসিয়াম খনিজ আন্টি অক্সিজেন ফাইবার অতি অল্প পরিমাণে হলে এবং বিটা কেরোটিন সমৃদ্ধ। এর ফলটি খেলে আপনারা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও এর রাইসোমিক ইনডিক্স ৫০ এর কম হওয়ায় ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের শর্করা পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে থাকে। একজন ডায়াবেটিস রোগী প্রতিদিন মাঝারি পরিমানে কিউই খেতে পারেন।

এপ্রিকটসঃ পুষ্টি সমৃদ্ধ এ ফলটি ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে এবং প্রয়োজনে ফাইবার ও গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি সরবরাহ করে থাকে। তাই একজন ডায়াবেটিস রোগী এ ফলটি খেতে পারবেন।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিষিদ্ধ ফল

প্রায় প্রতিটি ফল পুষ্টিগণের সমৃদ্ধ হওয়ার পরও কিছু কিছু ফল আছে যেগুলো ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খাওয়া নিষিদ্ধ। পুষ্টি বীদগণ ডায়াবেটিস রোগীদের বিভিন্ন ধরনের ফল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে চিকিৎসা বিজ্ঞান কিছু কিছু ফল আছে যেগুলো পরিমিত পরিমাণে খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ‌। তাহলে চলুন জেনে নেই চিকিৎসা বিজ্ঞানের কোন ফল গুলো খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

তরমুজঃ তরমুজ খুবই একটি জনপ্রিয় ফল। করানোর সময় এই ফলটি খেতে পছন্দ করেনা এমন লোক খুঁজে পাওয়াই যাবে না। কিন্তু তরমুজ খাওয়ার ব্যাপারে ডায়াবেটিস রোগীদের সতর্ক থাকতে হবে কারণ সুগারের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের উচিত সীমিত পরিমানে তরমুজ খাওয়া।

কলাঃ কলা প্রতি পুষ্টিকর একটি ফল। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন একটি কলা সারাদিনের শরীরের ঘাটতি পূরণ করে থাকে একটি কলা। কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য নয়। কারণ কলায় উচ্চ মাত্রই গ্লাইসেমিক ইনডেক্স রয়েছে।

আনারসঃ আনারস খুবই উপকারী একটি ফল। এতে যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার ভিটামিন ও মিনারেল থাকে। এগুলো আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আনারসের এত গুণ থাকার সত্ত্বেও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আনারস খাওয়া উচিত নয়। চিকিৎসগণ ডায়াবেটিস রোগীদের কম গ্লাইফেনিক ইনডেক্স ফল খাবার কথা বলেছেন। কিন্তু আনারসের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স প্রায় ৫১ থেকে ৭৩ এর মধ্যে। ডায়াবেটিস রোগীরা আনারস খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা থাকবেন। খেতে পারেন তবে মাত্রা অতিরিক্ত নয় প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১০০ গ্রাম খেতে পারেন। এর বেশি খেলে আপনার রক্তের সরকারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সবেদাঃ আমাদের সকলের একটি পরিচিত ফলস সবেদা। বাদামি রঙের এই ফলটি প্রাকৃতিকভাবেএকটি সুমিষ্ট ফল। পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে প্রায় প্রতি 100 গ্রাম সবেদাই ৭ গ্রাম শর্করা। সবে দেয় কার্বোহাইড্রেট ও শর্করাও প্রচুর পরিমাণে থাকে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সবেদা খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে। কারণ এটি আপনার শরীরের রক্তের শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করে দিতে পারে।

আমঃ সকলের পরিচিত ও প্রিয় একটি সুমিষ্ট মৌসুমী ফল আম। আম খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। কিন্তু তারপরও যারা ডায়াবেটিস রোগী আছেন তারা আম খাবার ব্যাপারে একটু সজাগ দৃষ্টি রাখবেন। কারণ আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে আম খেয়ে ফেলেন তাহলে আপনার ডায়াবেটিস বেড়ে যেতে পারে। চিকিৎসা বিদদের মতে সঠিক পরিমাণে বা নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় আপনি যদি আম খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য উপকারী হবে। কিন্তু আপনি যদি মাত্রা অতিরিক্ত আম খান তাহলে আপনার রক্তের সরকারের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।

কাঁঠালঃ কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল। ডায়াবেটিস রোগের মধ্যে কাঁঠাল খাওয়া নিয়েও কিছুটা দ্বিধা দ্বন্দ্ব রয়েছে। কাঁঠাল বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফল। কাঁঠালের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৫০ থেকে ৬০ এর মধ্যে তাই একজন ডায়াবেটিস রোগী কাঁঠাল খেতে পারে। তবে অতিরিক্ত মাত্রায় কাঁঠাল খেলে আপনার রক্তের শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। একজন ডায়াবেটিস রোগী প্রতিদিন তিন থেকে চারটি কুয়া বা ৫০ গ্রাম কাঁঠাল খেতে পারবেন। এর বেশি খেলে আপনার ডায়াবেটিস বেড়ে যেতে পারে। তবে মনে রাখবেন যারা কিডনি রোগী আছেন তারা কখনোই কাঁঠাল খাবেন না কারণ কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে।

ডায়াবেটিস রোগীর জন্য উপকারী সবজি

বর্তমান সময়ে দুর্দান্ত গতিতে বেড়ে চলেছে ডায়াবেটিস রোগ। পেরোটি পুরোপুরি নির্ময় করা সম্ভব নয় কিন্তু সঠিক খাদ্য অভ্যাস এর মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পুষ্টিকর খাবার প্রয়োজন শেষ দিক থেকে শাকসবজি খুবই সহায়ক। 
ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা ফল-সবজি-নিষিদ্ধ খাদ্য তালিকা
একজন ডায়াবেটিস রোগী যদি প্রতিদিন দুই থেকে তিন কপ সবজি খান তাহলে তিনি অনেকটা সুফল ভোগ করবেন। নিয়মিত সবজি খেলে আপনার রক্তের শুধু ব্লাডস সুগারই কমাবে না সেই সাথে রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে থাকে। তাহলে চলুন আমরা জেনে নেই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী সবজিগুলো কি কি।

পালং শাকঃ পালং শাকের পুষ্টিগুণ দেখলে আপনি অবাক হবেন। পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ক্যালসিয়াম ফাইবার প্রোটেনশহ আরো নানা ধরনের পুষ্টিকর উপাদান থাকে যেটি ডায়াবেটিস রোগীর জন্য খুবই উপকারী। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে ওষুধের মত কাজ করে থাকেন। গবেষণা করে দেখা গেছে যে পালং শাক ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে এটি রক্তের সরকারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে থাকে এছাড়া এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা ও উন্নত করে আর যেটা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব একটা ভালো দিক। পালং শাক কোলেস্টেরল ও উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও সহায়তা করে থাকে।

কুমড়া মিষ্টিঃ কুমড়া যেমন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারে ঠিক তেমনি তার বিজয় স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। একটি ডায়াবেটিস রোগীর জন্য একটি পুষ্টিকর খাদ্য উপাদান। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যেটা ডায়াবেটিস রোগীর রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। একটা গবেষণায় দেখা গেছে যে মিষ্টি কুমড়া থাকা পলিস্যাকারাইড নামক কার্বোহাইড্রেট রক্তের শর্করা পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এর এরপে যে উপকারী চর্বি এবং প্রোটিন থাকায় এটি রক্তের শর্করা কমাতে সহায়তা করে।

ঢেঁড়সঃ বহুল পরিচিত এ সবজিটি ডায়াবেটি স রোগীদের জন্য খুবই উপকারী একটি সবজি। ঢেঁড়সে প্রচুর পরিমাণ পলেস্যাকারাইড ও ফ্লাবোনয়েডের মত এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। একজন ডায়াবেটিস রোগী যদি এই সবজি নিয়মিত খাই তাহলে তার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।

টমেটোঃ টমেটোর সাথে পরিচিত নয় এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল। সময়টার পুষ্টি গুণের দিক দিয়ে এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী একটি সবজি। টমেটোতে লাইক কপিন নামক একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যেটি রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে থাকে। এছাড়াও টমেটোতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে যেটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আর বৃদ্ধি করে এছাড়াও নিয়মিত টমেটো জুস খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকতে বাধ্য।

ব্রকলি এবং বাঁধাকপিঃ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী আরেকটি সবজি হল ব্রকলি ও বাঁধাকপি। বাঁধাকপিতে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে যেটি রক্তের সরকার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। প্রচুর পরিমাণ সালফোরাফেন পাওয়া যায় যেটি একপ্রকার আইসোথিওসায়নেট এবং এটির রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রয়েছে। তাই আপনি যদি আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাহলে নিয়মিত ব্রুকলি ও বাঁধাকপি খেতে ভুলবেন না।

ঝিঙ্গেঃ ঝিঙ্গেতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ম্যাগনেশিয়াম এবং ভিটামিন বি৬ রয়েছে। এছাড়াও পেতে যথেষ্ট পরিমাণ ফাইবারও রয়েছে। তাই ডক্টর আশিস মিত্র বলেন একজন ডায়াবেটিস রোগী যদি তার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা সম্পন্ন এর সবজিটি নিয়মিত খেতে পারেন।

উচ্ছেঃ একজন ডায়াবেটিস রোগীর ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের প্রধান অস্ত্র হতে পারে এই সবজিতে। এইতো রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে আয়রন ভিটামিন সি ভিটামিন বি সিক্স ম্যাগনেসিয়াম এর মত প্রয়োজনীয় উপাদান। এখানেই শেষ নয় এর মধ্যে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে যেটি আপনার শরীরের রক্তের সুগারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে থাকে।

গাজরঃ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি অত্যন্ত উপকারী সবজি হলো গাজর। থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার ভিটামিন কে ওয়ান ভিটামিন এ ফাইবার বিটা ক্যারোটিন এর মত উপাদান এছাড়াও এতে তাকে প্রচুর পরিমাণে অক্সিডেন্ট। এছাড়াও গাজরের গ্লাসমিক ইনডেক অত্যন্ত কম প্রায় 16। তাই একজন একজন ডায়াবেটিস রোগী নির্দ্বিধায় গাজর খেতে পারেন।

শসাঃ শসা সকলের পরিচিত একটি সবজি। কার সাথে পানির পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম থাকে যা শরীরকে আদর রাখতে সাহায্য করে। থাকা পুষ্টিকর উপাদান গুলো মানবদেহে ইনসুলিন তৈরিতে সহায়তা করে থাকে। শসার গ্লাইসেমিক ইনডিক্স মাত্র ১৪। তাই একজন ডায়াবেটিস রোগী তার ডায়াবেটিস কমাতে নিয়মিত শসা খেতে পারেন।

শেষ কথা:ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকায় 15টি ফল ও সবজি।

ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকায় 15টি ফল ও সবজি নিয়ে লেখা আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লাগে, তাহলে আপনার নিকটস্থ ডায়াবেটিস আক্রান্ত আত্মীয় স্বজনদের শেয়ার করে তাদেরকে ডায়াবেটিস অবস্থায় তাদের জন্য উপকারী ফল ও সবজি সম্পর্কে জানতে সহযোগিতা করুন। হ্যাঁ বন্ধু আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই মন্তব্য করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরিফুল প্লাস এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url