চিয়া সিড কিভাবে খেতে হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
15 টি উপায় বাংলা ব্লগ সাইট থেকে ইনকাম ও আয় বাড়ানোয় নিয়মআসসালামু আলাইকুম বন্ধুগণ। আশা করি আপনি ভালো আছেন। আপনি হয়তোচিয়া সিড কিভাবে
খেতে হয় এ সম্পর্কে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন কিংবা জানার চেষ্টা করেছেন কিন্তু
সঠিক তথ্য এখন পর্যন্ত আপনি খুঁজে পাননি কিংবা জানতে পারেন নাই।
তাহলে যদি আপনার- মূল্যবান সময়ের কিছুটা ব্যয় করে আমাদের এই আর্টিকেলটি প্রথম
থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারেন তাহলে আপনি জানতে পারবেন চিয়া সিড
কি?, এর উপকারিতা,চিয়া সিড এর পুষ্টিগুণ,চিয়া সিড কিভাবে খেতে হয়,চিয়া সিড
খাওয়ার নিয়ম,চিয়া সিড খেলে কি হয় এবং গর্ভ অবস্থায় পেটে খাওয়া কতটা নিরাপদ
এসব বিষয় সম্পর্কে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
চিয়া সিড কি?চিয়া সিড কিভাবে খেতে হয়?
চিয়া সিড নামক এক ধরনের উদ্ভিদ থেকে আসে যেটি পুদিনার সাথে সম্পর্কিত। এই চিয়া
সিড মূলত মধ্য আমেরিকার মানুষদের কাছে খুবই জনপ্রিয় এবং একপ্রকার ভেষজ হিসেবে
ব্যবহার করে।চিয়া সিড খুবই পুষ্টিকর একটি খাদ্য উপাদান এবং এতে প্রচুর পরিমাণে
ভিটামিন, ক্যালসিয়াম ,ওমেগা থ্রি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মত পুষ্টি উপাদান
রয়েছে রয়েছে যেটি আপনার শরীরে শক্তি যোগায়।
চিয়া সিড এর বৈজ্ঞানিক নাম
সিয়া সিট সালফেয়ার ইস্পানিকা পুদিনা পরিবারের সদস্য ।চিয়া সিড সাধারণত চারটা ও
গোল আকৃতির হয়। একবিংশ শতাব্দী থেকে চিয়া সিড মেক্সিকো, গুয়াতেমালার পাশাপাশি
বলিভিয়া, আর্জেন্টিনার, অস্ট্রেলিয়া এবং নিকারাগুয়ায় বাণিজ্যকভাবে উৎপাদন ও
খাওয়া হয়। এর বৈজ্ঞানিক নাম সালভিয়া হিসপানিকা।
চিয়া সিড পুষ্টি উপাদান
শুকনো চিয়া সিডে পানি থেকে ৬%, কার্বোহাইডেট ৪২% প্রোটিন ১৬% এবং ফ্যাট থাকে
৩১%। প্রতি ১০০ গ্রাম চিয়া বীজ ভিটামিন গুলোর একটি সমৃদ্ধ উৎস। প্রতি ১০০ গ্রাম
চেয়াবিজে ভিটামিন বি থাকে 20%, থায়ামিন ৫৪% , নিয়াসিন থাকে ৫৯% রাইবোফ্লাভিন
১৪ %, ফলেট থাকে 12%, এছাড়াও চিয়া সিডে বেশ কয়েকটি ডায়াটরি খনিজ উপাদান
রয়েছে।
ডায়াটরি খনিজ উপাদান গুলো হল আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম,
ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ এবং দস্তার। এছাড়াও চিয়া বিজে ফ্যাটি এসিড রয়েছে। এতে
লেনোলিক এসিড রয়েছে মোট এসিডের ১৭ ২৬% , লিনোলেনিক এসিড ৫০ থেকে ৫৭%। এছাড়া
ওমেগা 3 ফ্যাটি এসিড রয়েছে।
চিয়া সিড এর উপকারিতা।চিয়া সিড কিভাবে খেতে হয়?
বিভিন্ন পুষ্টি গুনে ভরপুর চিয়া সিড। এটির বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে ।চলুন
আমরা জেনে নেই।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়
ডায়াবেটিক পেশেন্টদের ক্ষেত্রে চিয়া সিড এর উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করতে গেলে
সর্বপ্রথম বলতে হয় এই চিয়া সিড হল ডায়াবেটিক ফ্রেন্ডলি ফুডস ।কারণ চিয়া সিড
গ্লাইসেমিক ইনডেক্স লো।চিয়া সিড এর লাইসেমিক ইনডেক্স মাত্র ওয়ান ।তার সাথে সাথে
চিয়া চিয়া সিড এর মধ্যে আমরা আগেই আলোচনা করেছি প্রচুর পরিমাণে ডায়াটারি
ফাইবার থাকে।
অর্থাৎ 28 গ্রাম চিয়া সিড যদি আপনি সারা দিনে খেতে পারেন তাহলে ১০ গ্রাম পর্যন্ত
আপনি ডায়াটারি ফাইবার পেতে পারেন। যে ডায়াটারি ফাইবার আপনি সারাদিনে যে সমস্ত
খাবার খেয়ে থাকেন সেই খাবারের মধ্যে দিয়ে যত পরিমান কার্বোহাইড্রেট আপনার শরীরে
প্রবেশ করে সে কার্বোহাইড্রেট সহজে আপনার শরীরে এবসর্ব হয় না এবং সে
কার্বোহাইড্রেট যখন আপনার শরীরে শোষণ কম পরিমাণে হয় তখন সহজে আপনার রক্তে কিন্তু
গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারেনা।
আরোও পড়ুনঃ ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকায় 15টি ফল ও সবজি
তার সাথে সাথে চিয়া সিড এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন কমে গেছে
ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ম্যাগনেসিয়াম। সবে মিলে মিশে আপনার রক্তে ইনসুলিনের
সেনসিটিভি থেকে বাড়াতে সাহায্য করে এবং টাইপ টু ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে আপনাকে
অনেকখানি দূরে রাখতে সাহায্য করে। তাই আপনি যদি একজন ডায়াবেটিক পেশেন্ট হয়ে
থাকেন তাহলেও আপনার খাদ্য তালিকায় চিয়া সিড যুক্ত করতে পারেন। তার সাথে সাথে
আপনি যদি একজন সুস্থ মানুষ হয়ে থাকেন এবং নিয়মিত ভাবে আপনি যদি চিয়া সিড খেতে
পারেন তাহলে টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি অনেক অংশ কমে যায়।
হার্টের সমস্যায় উপকারী
যে সমস্ত মানুষরা হার্টের সমস্যায় ভুগছেন এবং আপনার হার্টকে সুস্থ রাখার জন্য
চিয়া সিড অত্যন্ত উপযোগী একটি খাবার। তার কারণ চিয়া সিড এর মধ্যে যে প্রচুর
পরিমাণে ফাইবার রয়েছে সে ফাইবার আমাদের রক্ত থেকে এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের
মাত্রা কম করতে সাহায্য করে। আমাদের রক্ত থেকে ধীরে ধীরে ট্রাই গ্লিসারাইডের
মাত্রা কমিয়ে নিয়ে আসে।
আমাদের রক্তের এইচডিএল বা ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
চিয়া সিড এর এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে Caffeic Acid, chlorogenic Acid,
Kaempherol , Quercetin মতো হাই পাওয়ারফুল এন্টিঅক্সিডেন্ট। যে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুলো আমাদের শরীরের অন্যান্য অঙ্গের সাথে সাথে হার্টের যে
সমস্ত ব্লাড সার্কুলেশনের আর্টারি রয়েছে হার্টের মাসেল গুলিকে বিভিন্ন প্রকারের
অক্সিডেটিপ ট্রেসের থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।
আমরা সবাই জানি এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড , রয়েছে
প্রচুর পরিমাণে মন আনসেচুরেটেড ফ্যাটি এসিড যেগুলো আমাদের হাটকে ঠিকঠাকভাবে ফাংশন
করতে সাহায্য করে ।সবে মিলে মিশে আমাদের কার্ডিওভাসকুলার হেলথ এর জন্য চিয়া
সিডকে সুপার ফুড বল হয় ।
হাড় এবং মাংসপেশিকে মজবুত করে
আমাদের হাড় ও মাংস পেশিকে মজবুত রাখার জন্য যে সমস্ত খনিজ উপাদানগুলি প্রয়োজন
সে গুলি হল ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাস। চিয়া সিড এর মধ্যে এই তিন
প্রকারের খনিজ উপাদান ভরপুর মাত্রায় রয়েছে । আপনি জানেন কি যে সারাদিনে যদি
আপনি দুই টেবিল চিয়া সিড খেতে পারেন সেই দুই টেবল চামচ চিয়া সিড এর এর মধ্যে যত
পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকে।
সেই সেই ক্যালসিয়াম একজন মানুষের প্রতিদিনকার 80% ক্যালসিয়ামের পরিপূরক। একজন
মানুষের 27% ম্যাগনেসিয়ামের পরিপূরক এবং 30% ফসফরাসের পরিপূরক। তাই আপনার হাড়
এবং মাংসপেশিকে মজবুত রাখার জন্য অবশ্যই আপনার খাদ্য তালিকা চিয়া সিডকে
অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য
আমাদের ডাইজেস্টিক হেলথ এর জন্য চিয়া সিড অত্যন্ত উপকারী ।তার কারণ চিয়া সিড এর
মধ্যে যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে সে ফাইবার আমাদের হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে
সাহায্য করে। এছাড়া চিয়া সিডকে খুব হাই কোয়ালিটির প্রিবায়োটিক ফুড হিসেবে
মানা হয়। ফ্রিবায়োটিক ফুড বলতে আমাদের ডাইজেস্টিভ সিস্টেম এর মধ্যে বা গাঁটের
মধ্যে যে গুড ব্যাকটেরিয়া বা ভালো ব্যাকটেরিয়াগুলি রয়েছে যেগুলি আমাদের হজম
ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে যে গুড ব্যাকটেরিয়াগুলিকে সুস্থ রাখতে সাহায্য
করে চিয়া সিড। তার সাথে সাথে চিয়া সিড যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে সেই
ফাইবার আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
ইউনিভার্সিটির তো করে ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া স্যানফ্রান্সিসকো মেডিকেল
সেন্টারের মতে চিয়া সিড হলো লিনোলিয়েট এসিডের খুব ভালো একটা উৎস ।যে লিনো
লিয়েট এসিড ব্রেস্ট ক্যান্সারে ঝুঁকি অনেকখানি কম করতে সাহায্য করে। তার সাথে
সাথে আমরা আগেই আলোচনা করেছি চিয়া সিড প্রচুর পরিমাণে হাই কোয়ালিটির
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ।
যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি আমাদের শরীরে যে সমস্ত ফ্রি রেডিক্যাল উৎপত্তি হয়। যে
ফ্রি রেডিক্যাল লড়াই করতে সক্ষম এবং রিলেটিক্যালগুলিকে ধ্বংস করে অন্যান্য
ইনফ্লামেটারি ডিজিজের সাথে সাথে ক্যান্সার আমাদের শরীরে অনেক অংশে কম করে দিতে
পারে। তাই আপনি ক্যান্সারের ঝুঁকি এড়িয়ে চলার জন্য আপনার খাদ্য তালিকা চিয়া
সিড যুক্ত করতে পারেন।
ত্বকের যত্নে উপকারী
আমরা আগেই আলোচনা করেছি যে মাছের মধ্যে যত পরিমাণ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড থাকে
তার ৮ গুণ বেশি ওমেগা থ্রি ফেটি ফ্যাটি আছে রয়েছে চিয়া সিড এর মধ্যে। এই ওমেগা
থ্রি ফ্যাটি এসিড আমাদের স্কিনের মধ্যে ব্লাড সার্কুলেশনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে
সাহায্য করে । আমাদের স্কিনের মধ্যে যখন ব্লাড সার্কুলেশন ঠিকঠাকভাবে হয় তখন
আমাদের স্কিন থাকে হেলদি আমাদের স্কিনের ড্রাইনেস কম করতে সাহায্য করে, আমাদের
স্কিনের মধ্যে কোন প্রকারের ইনফ্লামেশন যাতে না হয় সে দিক থেকে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
যে সমস্ত মানুষরা ওভার ওয়েট মতো সমস্যায় ভুগছেন সেই সমস্ত মানুষদের মধ্যে বেশ
কিছু মানুষের ধারণা রয়েছে তাদের খাদ্য তালিকায় যদি তারা চিয়া সিড যুক্ত করতে
পারেন তাহলে খুব সহজেই তাদের ওজন কমে আসবে। আপনাদের জানিয়ে রাখি যেটি সম্পূর্ণ
ভুল ধারণা। আপনি মনে করুন আপনি আনহেলি লাইফ স্টাইল লিভ করছেন, ।
আরোও পড়ুনঃ তুলসী পাতার ঔষধি গুনাগুন
আপনি খাবার খাওয়ার খাচ্ছেন, আনহেলদি এক্টিভিটির সাথে যুক্ত রয়েছেন, আর আমরা
শুধু সিয়াসিস খেলে যে আপনার ওজন কমে আসবে এটা কখনোই সম্ভব নয়। তবে বেশ কিছু
গবেষণা দেখা গিয়েছে যে, আপনি খাবার খাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে চিয়া সিড খেয়ে যদি
জল খেতে পারেন, তবে ওই চিয়া সিড আমাদের স্টমাকের মধ্যে গিয়ে খুব সহজে জলকে শোষণ
এবং ধারণ করে আয়তনে বৃদ্ধি পায়।
আমাদের স্টমাকের ভিতর এক ধরনের ফুলনেস ফিলিং হয়। আর স্টমাকের ভিতরে যখন ফুললে
ফিলিং আসে আমাদের আসে তখন খাবার কম পরিমাণে খেতে পারি। খাবার যখন আমরা কম পরিমাণে
খাই স্বভাবতই কম ক্যালরি আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। যেটি আপনার ওজন কমাতে সাহায্য
করে। তবে এমনটা কখনোই ভাববেন না যে আপনি চিয়া সিড খেলে আপনার শরীর ম্যাজিক এর মত
কমে যাবে।
চিয়া সিড কিভাবে খেতে হয়
আপনি সাধারণত সকল খাবারের সাথে মিশিয়ে চিয়া সিড খেতে পারবেন। আপনি সুস্বাদু
ফলের জুস এমনকি ফলের সাথে মিশিও এটা খেতে পারবেন।চিয়া সিড একটি নিরপেক্ষ খাবার
যেটি সকল খাবারের সাথে মিশে আমনে খেতে পারবেন কোন সমস্যা হবে না।
আপনি চিয়া সিডকে শরবত সালাত এবং সুপ সকল ভাবে খেতে পারবেন। আপনি যদি অতিরিক্ত
গরমের মধ্যে এটি শরবত বানিয়ে খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের সকল ক্রান্তি দূর
হয়ে যাবে এবং আপনি শরীর স্বস্তি বোধ করবেন এবং এক ধরনের শক্তি পাবেন। তাই আপনার
যদি স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনার খাদ্য তালিকায় অবশ্যই একটি
যোগ করা উচিত।
এটি একটি নিরাপত্তা ভেষজ খাদ্য উপাদান। এটি আপনাকে মূলত আলাদা হবে রান্না করে
খাওয়ার দরকার নেই এই জন্য পানি কিংবা যে কোন জিনিসের সাথে মিশে নির্দ্বিধায়
খেতে পারেন।
আরোও পড়ুনঃ ট্রেনের টিকিট বাতিল করার নিয়ম
আপনি চাইলে সকালে খালি পেটে এটি খেতে পারবেন। সেজন্য আপনি জল বা দুধের মধ্যে এটি
ডুবিয়ে রেখে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন। আপনি যখন যদি খুব সকালে ওঠে খালি পেটে
বিশুদ্ধ পানি বা দুধের সাথে ভিজিয়ে রাখা এ চিয়া সিড খেতে পারেন তাহলে আপনার
শরীরের প্রয়োজনীয় খনিজ ভিটামিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ওমেগা থ্রি এর অভাব দূর হবে।
এছাড়া আপনি যদি সকালে খালি পেটে পানি বা দুধ এর সাথে চিয়া বীজ খেলে ডিহাইড্রেশন
বা শারীরিক অভাবের সুখী থেকে রক্ষা পাবেন। তাই আপনি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে
চিয়া বীজের সঙ্গে দুধ বা পানি মিশিয়ে খাওয়ার বিশ্বস্ত অভ্যাস গড়ে তুলতে
পারেন।
তবে যারা ল্যাকটোস সঞ্চিতার মত সমস্যায় ভুগছেন তারা অবশ্যই দুধ খাওয়া থেকে বিরত
থাকবেন, কারণ এটি তাদের অসুস্থতা আর বাড়িয়ে দিতে পারে।
চিয়া সিড খেলে কি হয়।চিয়া সিড কিভাবে খেতে হয়
চিয়া সিড বিভিন্ন পুষ্টি কোন ভরপুর। এর ব্যবহার সুপ্রাচীনকাল থেকে হয়ে আসছে।চিয়া সিড এর এর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমানে ফসফট এর ক্যালসিয়াম অবদান এছাড়াও এতে রয়েছে আপনার শরীরের হার্টের সুস্থতা দানের জন্য প্রয়োজনে বিভিন্ন ধরনের খনিজ উপাদান।চিয়া সিড এ বিদ্যমান বিভিন্ন ধরনের খনিজ গুলো আপনাদের শরীরে শক্তিশালী ও মজবুত হাড় গঠনে সাহায্য করে এবং সেই সাথে সাথে অস্ট্রিওফোরোসিস এবং ফ্র্যাকচারার ঝুঁকি কমায়।
এটি সাধারণত হয়ে থাকে আপনার বয়সের উপর ভিত্তি করে। এছাড়াও আপনি যদি নিয়মিত
চিয়া সিড খেতে পারেন তাহলে আপনি ক্যান্সার এর মতো ভয়াবহ রোগ থেকে মুক্তি পেতে
পারেন বা দূরে থাকতে পারেন। তাহলে বুঝতে পারছেন চিয়া সিড আপনার জীবনে কতটা উপকার
নিয়া বয়ে নিয়ে আসতে পারে। তাই আপনি নিয়মিত চিয়া সিড খেতে পারেন এবং করতে
পারেন সুস্থ ও সুন্দর জীবন।
গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম।চিয়া সিড কিভাবে খেতে হয়?
বর্তমানে চিয়া সিডকে সুপার ফুট বলে অভিহিত করা হয়। এই বীজের কোন নির্দিষ্ট
সাদ বা গ্রন্থ নেই বলে আপনার একটি পুষ্টির মাত্রে বাড়ানোর জন্য আপনার খাবারের
সাথে যুক্ত করতে পারেন। পুষ্টিকর এই উপাদানটি আপনার যদি গর্ব অবস্থায় খান
তাহলে আপনার শিশুর বিকাশে ভূমিকা পালন করে। এতে বিদ্যমান ওমেগা থ্রী ফ্যাটি
এসিড শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটাতে সহায়তা করে।
তাই যেসব মহিলা সামুদ্রিক মাছ খেতে পারে না তাদের ফ্যাটি এসিডের অন্যতম উৎস হতে
পারে এইচিয়া সিড। এছাড়াও চিয়া সিড বিদ্যমান ক্যালসিয়াম গর্ভস্থ শিশুর হাড়
এবং দাঁত বিকাশে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে । এছাড়াও চিয়া সিড সেলেনিয়াম
ম্যাঙ্গানিজ জিংক ছাড়াও আরো একটি অপরিহার্য উপাদান হলো অ্যান্টি অক্সিডেন্ট
যেটি গর্ভস্থ শিশুর সংক্রমণ রোগ যেমন ভ্রুনের দুর্বল বৃদ্ধি ,একজিমা, ক্যান্সার
,ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের সমস্যা মত সমস্যা হতে রক্ষা করে।
আরোও পড়ুনঃ রাতে কালোজিরা খেলে কি হয়
চিয়া সিড যে শুধু গর্ভস্থ শিশুরই উপকার করে সেটা কিন্তু ঠিক নয় এটি গর্ভবতী
মায়েরও বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা পড়ে থাকে। তবে আপনি যদি গর্ব
অবস্থায় এটি খাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন তাহলে অবশ্যই এর স্বাস্থ্য ঝুঁকি
জেনে খাওয়া শুরু করবেন। চিকিৎসকগণ একজন গর্ভবতী মহিলাকে প্রতিদিন 28 গ্রাম
চিয়া সিড খাবার পরামর্শ দেন। এর বেশি খেলে নিম্নোক্ত সমস্যা গুলি ঝুঁকি বৃদ্ধি
পেতে পারে। সেগুলো হল ডিহাইড্রেশন ডায়রিয়া রক্তে সরকারের মাত্রা হঠাৎ কমে
যাওয়া। তাই আপনি যদি গর্ব অবস্থায় এটি খেতে চান তাহলে সকল বিবেচনা করে সঠিক
পরিমাণে খাবেন।
শেষ কথা:চিয়া সিড কিভাবে খেতে হয়
চিয়া সিড কিভাবে খেতে হয় নিয়ে লেখা আর্টিকেলটি যদি আপনি মনোযোগ দিয়ে শেষ
পর্যন্ত করতে পারেন তাহলে আপনি জানতে পারবেন চিয়া সিড কি? এর বৈজ্ঞানিক নাম,
এর পুষ্টি উপাদান, চিয়া সিডের উপকারিতা, চিয়া সিড কিভাবে খেতে হয় ,চিয়া সিড
খেলে কি হয় এবং গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে
বিস্তারিত।
তাই আপনি যদি এটি মনোযোগ দিয়ে সম্পূর্ণ না পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই দিয়ে
পড়ুন এবং এটির বিস্তারিত জানুন। এটা যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধুদের
নিকট শেয়ার করুন। মূল্যবান মতামত দিতে ভুলবেন না যেন।
আরিফুল প্লাস এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url