প্রাকৃতিক উপায়ে রক্তে কোলেস্টেরল কমাবেন যে উপায়ে

সজনে পাতার 13টি অসাধারণ  উপকারিতা এবং খাওয়ার সঠিক নিয়মফ্রেন্ড সারা পৃথিবীতে প্রত্যেকদিন যত মানুষের মৃত্যু হয় বেশিরভাগ মানুষের মৃত্যুর কারণ হলো হার্ট ডিজিজ । প্রধান দশটি মৃত্যুর কারণ এর মধ্যে এক নাম্বারে রয়েছে আপনার Ischaemic Heart Disease.আর এই Ischaemic Heart Disease বেশ কিছু কারণ এর মধ্যে প্রধান কারণ হলো কোলেস্টেরল ।আমাদের শরীরে যত পরিমান কোলেস্টেরল পাওয়া যায়।

তার ৭০% তৈরি করে লিভার আর ৩০% আসে আমাদের খাবারের থেকে । অর্থাৎ সারাদিনই আমরা যে সমস্ত খাবার খায় সে খাবারের থেকে 30% কোলেস্টেরল আমাদের শরীরের মধ্যে প্রবেশ করে। কোলেস্টরেল আমাদের রক্তের প্রবাহের সাথে মিশে যায় এবং ধীরে ধীরে আমাদের আর্টারির ইনার ওয়াল বা ব্লাড ভেসেলের ইনার ওয়ালে এর মধ্যে জমাট বাঁধতে শুরু করে। 

তার ফলে রক্ত চলাচলের রাস্তা হয়ে যায় সংকীর্ণ। তার ফল স্বরূপ আমাদের বিভিন্ন প্রকার হার্টের সমস্যা দেখতে পাওয়া যায়। এই হল হার্ট ডিজিজের অন্যতম এবং প্রধান কারণ। অর্থাৎ আমরা বুঝতে পারলাম হার্ট ডিজিজের অন্যতম কারণ হলো কোলেস্ট্রল। এছাড়া গবেষণায় দেখা গেছে যে সমস্ত মানুষরা ডায়াবেটিস অর্থাৎ যে সমস্ত মানুষদের রক্তে সুগারের মাত্রা বেশি বা যে সমস্ত মানুষরা হাইপার টেনশনের মত সমস্যায় ভুগছেন অর্থাৎ যে সমস্ত মানুষদের ব্লাড প্রেসার বেশি থাকে। 
সেই সমস্ত মানুষদের হার্ট অ্যাটাক বা হার্ট ডিজিজ এর চান্স দ্বিগুণ হয়ে যায়। তাই আজ আমরা এমন একটি ম্যাজিক্যাল বা আশ্চর্যজনক ভেষজ উপাদান নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। যে উপাদানটি শুধুমাত্র আপনার রক্তে কোলেস্ট্রলের মাত্রা কম করে তাই নয় তার সাথে সাথে আপনার ব্লাড সুগার কে কন্ট্রোল করতে সাহায্য করে আপনার ব্লাড প্রেসার কে কন্ট্রোল করতে সাহায্য করে।

ভূমিকা

আজ আমরা আলোচনা করব এই বিশেষ ভেষজ উপাদানটি আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা কে কিভাবে কম করতে সাহায্য করে । আপনার ডায়াবেটিস কিভাবে কম করতে সাহায্য করে ।আপনার ব্লাড প্রেসার কে কিভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তার সাথে সাথে আমরা জানবো যে এটি খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি এবং সঠিক ডোজ এবং সব শেষ আমরা জেনে নেব। এটি যদি আমরা ওভারডোজে খেয়ে ফেলি তাহলে প্রবাবলি কি কি সাইডএফেক্ট দেখা যেতে পারে । তো চলুন এক এক করে প্রত্যেকটি বিষয় আপনাদেরকে সহজ ভাষায় বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করব।

কোলেস্টেরল লোয়ারিং ইফেক্ট

আজ আমরা যে ভেষজ উপাদানটি নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব সেটি হলো সিলিয়াম বা ইসবগুল । দেখুন আমরা সবাই মোটামুটি জানি যে ইসবগুল বা ইসবগুলের ভুষি আমরা ব্যবহার করে থাকা কোষ্ঠকাঠিন্য বা কনস্টিপেশনের কারণে। বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে ইসবগুলের মধ্যে কোলেস্টেরল লোয়ারিং ইফেক্ট রয়েছে অর্থাৎ এই ইসবগুল কোলেস্টেরলের মাত্রা কম করতে সক্ষম। 
এটি আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী তার কারণ হলো এটির মধ্যে থাকা ফাইবার। ইসবগুলের মধ্যে যে সলিউবল ফাইবার রয়েছে। আমরা যখন ইসবগুল ভাই ইসবগুলের ভুষি খাই তখন সেটি পেটে যাবার পরে থকথকে জেলের মতন আকার ধারণ করে । আর এই ফাইবারই আমাদের শরীরের পক্ষে প্রচন্ড লাভ জনক। দেখুন ইসবগুলের ভুষি সম্পর্কে তো মোটামুটি আমরা পরিচিত। 

কিন্তু শুনলে হয়তো আপনি অবাক হয়ে যাবেন ইসবগুলের ভুষির মধ্যে যত পরিমান ফাইবার থাকে তার থেকে ইসবগুলের পাউডার ফর্মে পাওয়া যায় তার মধ্যে ফাইবারের মাত্রা বেশি থাকে । এক টেবিল চামচ ইসবগুলের মধ্যে ফাইবার থাকে সাড়ে 3 গ্রাম। কিন্তু এক টেবিল চামচ ইসবগুলের পাউডারের মধ্যে ফাইবার থেকে প্রায় 7 গ্রামের মতো। অর্থাৎ মোটামুটি ডাবল। তাই আমরা সব সময় চেষ্টা করবো ইসবগুলের ভুসি খাওয়া থেকে ইসবগুলের পাউডার ব্যবহার করার জন্য।

রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়

এখন আমরা জেনে নেব যে ইসবগুল বা ইসবগুলের ঘুসি খেলে আমাদের রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কম হয় কিভাবে? দেখুন ইসবগুল যখন আমরা খাই খাওয়ার পরে ইসবগুলের মধ্যে যে সলিউবেল ফাইবার রয়েছে। বা বলা ভালো যে জেল ফর্মিং প্রপার্টি ইসবগুলের মধ্যে রয়েছে তার ফলে আমাদের পেটের মধ্যে ইসবগুল যাওয়ার পরে থকথকে জেলের মতো আকার ধারণ করে। 

 এবং থকথকে জেলের মতন আকার ধারণ করার পরে আমাদের যে পিত্ত রস এবং পিত্ত রসের মধ্যে থাকা প্রচুর পরিমাণ কোলেস্টেরল কে ট্র্যাক করে। বা আটকে দেয় । যেটি আমাদের শরীরের মধ্যে এবজার্ভ বা শোষণ হতে পারে না। আমরা সারা দিনে যে সমস্ত কোলেস্টেরলযুক্ত খাবার খায় সে কোলেস্টেরলটি আমাদের ইন্ডেসটাইনে যাবার পরে সেটা ইন্ডেসটাইনে এবজর্ব হয়ে যায় । 

কিন্তু এই ইসবগুল ইন্ডেসটাইনে কোলেস্টেরলের শোষণকেউ কমিয়ে দেয় ।এবং সে কোলেস্ট্রলকে আমাদের ফুড ওয়েস্ট বা আমাদের পায়খানার সাথে আমাদের শরীরের বাইরে বের করে দিতে সাহায্য করে। এইসব গুণ আপনার রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কম করতে সক্ষম কিনা এই নিয়ে বেশ কিছু স্টাডি রয়েছে। বেশিরভাগ স্টাডিতে দেখা গেছে যে, আপনি যদি নিয়মিতভাবে ১০ গ্রাম করে ইসবগুল বা ইসবগুলের ভুষি খেতে পারেন । 

তিন সপ্তাহের মধ্যে আপনার এল ডি এল বা লো ডেন্সিটি লাইপোপ্রোটিক আমরা ব্যাড বা খারাপ কোলেস্টেরল বলে থাকি। তার মাত্রা 13mg বা ডিএল পর্যন্ত কমতে পারে ।তাই আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আপনি কিন্তু অবশ্যই নিয়মিতভাবে ইসবগুল খেতে পারেন ।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে

এখন আসা যাক ডায়াবেটিস প্রসঙ্গে এবং এসব গুলের মধ্যে যে সলিউবেল ফাইবার রয়েছে বা বলা ভালো এসব গুলোর মধ্যে যে জেল ফরমের প্রপার্টি রয়েছে সেটি আমাদের পেটের মধ্যে যাওয়ার পরে আমরা যখন কোন খাবার খায় সে খাবারের যে ডাইজেশন প্রসেস সে প্রসেসটিকে স্লো ডাউন করে দেয়। এছাড়াও তার সাথে সাথে আমাদের শরীরে কার্বোহাইড্রেট এর শোষণ কমিয়ে দেয় । 
তার ফলে কোন খাবার খাওয়ার সাথে সাথে আমাদের রক্তে কিন্তু সুগারের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে না। তার ফলে কিন্তু প্রোসপেন্ডিয়াম ,সেরাম এবং গ্লুকোজ বা পি পি ব্লাড সুগারের মাত্র বৃদ্ধি পায় না । এবং তার সাথে সাথে এ সলিউবের ফাইবার আমাদের রক্তে ইনসুলিনের ঘনত্বকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে ।এবং ইনসুলিন রেজিস্টেন্স এর মতো সমস্যা কেউ দূরে রাখতে সাহায্য করে । পরিবর্তীতে টাইপ টু ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা শিকার আমাদের হতে হয় না ।

ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করে

একটা ছয় মাসের একটি স্টাডিতে দেখা গেছে ,আপনি যদি নিয়মিত ভাবে সাপ্লিমেন্ট হিসেবে ইসবগুল খেতে পারেন তাহলে আপনার রক্তে কোলেস্ট্রলের মাত্রা কম হয়। আপনার রক্তে ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে । তার সাথে সাথে আপনার ব্লাড প্রেসারও থাকে নিয়ন্ত্রণে ।এক্ষেত্রে আপনার Systolic প্রেসার কম হয় এবং আপনার Diastolic প্রেসার কম হয় । 

তার সাথে সাথে কম পরিমাণে হলেও এর মধ্যে সোডিয়ামের মাত্রা থাকে কম এবং পটাশিয়ামের মাত্রা থাকে বেশি। আমরা জানি যে খাবারে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে সেটি আমাদের ব্লাড প্রেসার কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই আপনি ব্লাড প্রেসার কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাপ্লিমেন্ট হিসেবে কিন্তু ইসবগুল অবশ্যই খেতে পারেন ।

ইসবগুল খাওয়ার সঠিক নিয়ম

এখন আমরা জেনে নেব ও এখন আমরা জেনে নেব ইসবগুল খাবার সঠিক পদ্ধতি। কোন পদ্ধতিতে খেলে আপনি ম্যাক্সিমাম বেনিফিট পেতে পারেন। দেখুন আপনি যদি কনস্টিপেশন বা কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য এইসব গোল খাচ্ছেন তাহলে রাত্রিবেলা বিছানায় শুতে যাওয়ার এক ঘন্টা আগে এসব গুণ খাবেন তারপর আপনি বিছানায় শুতে যাবেন। 

কিন্তু অবশ্যই মনে রাখবেন ইসবগুল খাওয়ার সাথে সাথে বিছানায় শুতে যাবেন না। সে ক্ষেত্রে কিন্তু বিভিন্ন রকমের সাইডএফেক্ট দেখা যেতে পারে। আর যদি আপনি অন্যান্য কারণে ইসবগুল খাচ্ছেন। তার মানে ধরুন আপনি যদি আপনার ডায়াবেটিস কম করার জন্য খাচ্ছেন বা যদি ধরুন আপনার ওজন কম করার জন্য খাচ্ছেন বা আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার জন্য খাচ্ছেন বা আপনার ব্লাড প্রেসার কে কন্ট্রোলে নিয়ে আসার জন্য খাচ্ছেন । 
সেই ক্ষেত্রে সবথেকে খাবার ভালো সময় হলো দুপুর বেলা লাঞ্চ করার আধঘন্টা আগে এবং রাত্রিবেলা ডিনার করে রাত ঘন্টা আগে । অনেকেই এসব ভুল খাওয়ার জন্য যে পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকেন সেটি হলো ইসুবগুলকে জলের মধ্যে ভিজিয়ে রাখেন তারপর বেশ কিছু সময় পরে সেই ইসবগুলকে খেয়ে থাকেন । এইভাবে খাওয়ার একটি নেগেটিভ দিক হল। যেটি জলে ভিজিয়ে দেবার সাথে সাথে থকথকে জেলের মতো আকার ধারণ করে। 

এই থকথকে জেলির মতন আকার যদি আপনার পেটের ভেতর ধারণ করে সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনি বেশি লাভবান হবেন এবং সেটি এইভাবে খাওয়ার পরে তেমন একটা লাফ দেওয়া হয় না। তাই আপনি সবসময় চেষ্টা করবেন ইসবগুলের পাউডার এক চামচ নিয়ে এক গ্লাস জলের মধ্যে মিশিয়ে সাথে সাথে গিলে খেতে ।আর যদি সেই ভাবে খেতে আপনার অসুবিধা হয় তাহলে ১ চামচ ইসবগুলের পাউডার মুখের মধ্যে দিয়ে ধীরে ধ ীরে চুমুক দিয়ে দিয়ে আপনি জল খাবেন । এটি হলো ইসবগুল খাওয়ার সবথেকে ভালো পদ্ধতি ।

ইসবগুলের ডোজ

এখন আমরা জেনে নেব ইসবগুলের ডোজ অর্থাৎ কি মাত্রই আপনার এসব ভুল খাওয়া উচিত । যদি আপনি কোষ্ঠকাঠিন্য বা কস্টিপেশনের জন্য এই সব গোল খাচ্ছেন। তাহলে রাত্রিবেলা শুতে যাওয়ার ১ ঘন্টা আগে আপনি এক চামচ খাবেন এটি হলো আপনার ডোজ । আর যদি অন্যান্য কারণে খাচ্ছেন অর্থাৎ আপনার ডায়াবেটিস কম করার জন্য খাচ্ছেন বা ধরুন আপনার কোলেস্ট্রলের লেভেল কম করার জন্য খাচ্ছেন। 
তাহলে দুই বাড়ে দুই চামচ খাবেন। এক চামচ আপনার পাঁচগ্রাম অর্থাৎ পাঁচগ্রাম করে মোট ১০ গ্রাম। এবং আপনি সবসময় চেষ্টা করবেন যদি আপনি কনস্টিপেশনের কারণে খাচ্ছেন তাহলে এক সপ্তাহ খেয়ে এটি বন্ধ করে দেবেন ।আর যদি আপনি অন্যান্য কারণে খাচ্ছেন ,তাহলে তিন সপ্তাহ খাবেন এবং তিন সপ্তাহ খেয়ে এক সপ্তাহের একটা ব্রেক দেবেন, তারপর আবার তিন সপ্তাহ খাবেন।

ইসবগুলের সাইড ইফেক্ট

সাইড এফেক্ট এর কথা বলি এসব ভুল সম্পূর্ণ একটি প্রাকৃতিক উপাদান। এর কোন সাইডএফেক্ট নেই। কিন্তু যদি আপনি ওভারডোজে খেয়ে ফেলেন বা যদি দীর্ঘদিন ধরে আপনি এসব ভুল খেতে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার কখনো কখনো কিছু সাইডএফেক্ট দেখা যেতে পারে। সাইডএফেক্ট বলতে আপনার স্টমাক ইরেটেশনের মতো সমস্যা হতে পারে । আপনার পেটে ব্যথার মতো সমস্যা হতে পারে । আপনার ডায়রিয়ার মতন সমস্যা হতে পারে। 

এছাড়া কিছু মানুষ দেখতে পাওয়া যায় ইসবগুল খাওয়ার পরে এলার্জির মতো সমস্যা হচ্ছে ।অর্থাৎ ইসবগুল খাবার পরে তাদের শরীরে চুলকানি বা রাশেষের মত সমস্যা দেখতে পাওয়া যায়। তাই যদি আপনার এলার্জির প্রবলেম রয়েছে, তারা ইসবগুল খাবেন না। আর যদি এলার্জির প্রবলেম না থাকে আমি যে মাত্রায় বললাম সে মাত্রা ইসবগুল নির্দ্বিধায় খেতে পারেন । তবে অবশ্যই মনে রাখবেন এই ইসবগুল আপনি যতদিন খাবেন ততদিন কিন্তু বেশি বেশি পরিমাণ আপনাকে জল খেতে হবে।

হারবাল সুপার টনিক

এটি প্রকৃতির উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়। আপনাকে যদি নিয়মিত এই হারবাল সুপার টনিক খান তাহলে আপনার রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল খুব দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে যাবে । এবং আপনার করোনারি ধমনীতে যদি ব্লকের হতে শুরু করে তবে সে ব্লকে কোন দেশে শুরু করবে। তাহলে চলুন জেনে নেই আপনি কিভাবে ঘরে বসে হারবাল সুপার টনিকটি তৈরি করবে।

হারবাল সুপার টনিক তৈরি উপকরণ

হারবাল সুপার টনিক তৈরীর উপকরণগুলো হল আদা, লেবু, রসুন, মধু, অ্যাপল সাইডার ভিনেগার এই এই পাঁচটি উপাদান তৈরি করার জন্য যথেষ্ট।

হারবাল সুপার টানিক তৈরীর নিয়ম

এই হারবাল সুপারটনিক তৈরি করার জন্য আপনাকে একটি একই মাপের কাপ নিতে হবে। সেই কাপে এক কাপ পরিমাণ লেবুর রস, এক কাপ পরিমাণ আদার রস, এক কাপ পরিমাণ রসুনের রস, এক কাপ পরিমাণে অ্যাপল সাইডার ভিনেগার এবং তিন কাপ খাঁটি মধু। এখন আপনি একটি পরিষ্কার পাত্র নেই সেখানে এক কাপ পরিমাণ লেবুর রস, এক কাপ পরিমাণ আদার রস, এক কাপ পরিমাণ রসুনের রস, এক কাপ পরিমাণে অ্যাপল সাইডার ভিনেগার একত্রে ঢেলে ভালো করে মিশিয়ে নিন। 
এরপর হালকা আচে এই মিশ্রণটি গরম করুন এবং মাঝেমধ্যে নাড়াচাড়া করুন। ততক্ষণ পর্যন্ত জাল করবেন যতক্ষণ পর্যন্ত না চার কাপ মিশ্রণটি তিন কাপে পৌঁছায়। এরপর মিশ্রণটি নামিয়ে ভালোভাবে ঠান্ডা করে তার সাথে তিন কাপ খাঁটি মধু দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। ব্যস তৈরি হয়ে গেলে আপনার হারবাল সুপার টানিক। এই সুপারটনিক একটি কাঁচের পাত্রে ঢেলে ভালো করে ফ্রিজে রেখে দিন। এই হারবাল সুপার টানিটি এখন আপনি অনায়াসে এক থেকে দুই মাস খেতে পারবেন।

হারবাল সুপার টনিক খাবার নিয়ম

এখন তো তৈরি হয়ে গেল আপনার হারবাল সুপার টনিক। এখন বিষয় হল এটা আপনি খাবেন কিনা। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ২ টেবিল চামচ পরিমাণ হারবাল সুপার টনিক খেয়ে ফেলুন।
যদি আপনার শুধু কোলেস্টেরল বেশি থাকে তাহলে নিয়মিত একটি না দুই মাস খাবেন। টানা দুই মাস খাবার পর আপনি আপনার কোলেস্টেরল লেভেলটি চেক করবেন। যদি দেখেন আপনার কোলেস্টেরল লেভেল বেশি আছে, তাহলে আবারও এক থেকে দুই মাস খাবার।

হার্টে ব্লকেজ থাকলে আপনি নিয়মিত একটানা দুই বছর। ছেলে দেখবেন আপনার কোলেস্টেরল কমতে থাকবে। শুধু কোলেস্টেরল ও নয় আপনার ব্লকেজ ও কমতে থাকবে। যখন আপনি দুই বছর বেকার ডায়েট ও তেল ছাড়া খাবার খাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরিফুল প্লাস এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url