রাতে কালোজিরা খেলে কি হয়
ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকায় 15টি ফল ও সবজিকালোজিরা কে বলা হয় মৃত্যু ছাড়া সর্ব রোগের মহা ঔষধ। প্রাচীনকাল থেকে কবিরাজি,
আয়ুর্বেদী এবং ইউনানী চিকিৎসায় ঔষধ হিসেবে কালোজিরার ব্যবহার হয়ে আসছে। কিন্তু
এটি সম্পর্কে আমাদের খুব একটা ধারণা না থাকায় আমরা শুধুমাত্র রান্নার একটি মসলা
হিসেবেই কালোজিরার ব্যবহার করে থাকি।
কালোজিরাতে রয়েছে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন, জিঙ্ক ,কপার ,আয়রন ও
ক্যালসিয়াম এর মতো একাধিক পুষ্টি উপাদান। যেগুলি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য
অত্যন্ত উপকারী এছাড়াও কালোজিরার বীজ থেকে যে তেল পাওয়া যায় তা মানব শরীরের
জন্য অমৃত সমান।
কালোজিরা কি?
কালো জিরা মসলা হিসেবে পরিচিত। কালোজিরা মসলা হিসেবে পরিচিত হলেও এটি ঔষধি গুণের
বিশ্ব বিখ্যাত। কালোজিরা কে মৃত্যু ছাড়া সকল রোগের ঔষধ বলা হয়ে। কালোজিরার আদি
নিবাস ভূমধ্যসাগরে অঞ্চল এবং দক্ষিণ এশিয়া। কালোজিরার গোলাকার ফল হয় এবং এর
মধ্যে ২০ থেকে ২৫ টি বীজ থাকে। সাধারণত কবিরাজি আয়ুর্বেদ এবং অন্যান্য লোকদ
চিকিৎসার ক্ষেত্রে কালোজিরা ব্যবহার বহুল প্রচলিত। এটি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ।
অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদানের সাথে রয়েছে লৌহ ফসফরাস ফসফেট এর মত
উপকারী উপাদান। কালোজিরা ক্যান্সারের মতো রোগ প্রতিরোধ করার মত ক্যারোটিন নামক
উপাদান থাকে।
কালোজিরার বৈজ্ঞানিক নাম
কালোজিরা কে ইংরেজি Black Cumin নামের সবচেয়ে বেশি পরিচিত। এছাড়াও কালোজিরা কে
Nigella, Kalonji , Black Caraway ,kalojeere নামেও ঢাকা হয়। কালোজিরার বৈকারিক
নাম হলো Nigella Sativa Linn.
মেডিসিনাল কম্পাউন্ড
কালোজিরার মধ্যে যে সকল মেডিসিনাল কম্পাউন্ড রয়েছে হল।Thymoquinone ,T-anethole
,4-Terpinenal , Carvacrol.
প্রতিদিন কতটুকু কালিজিরা খাওয়া উচিত
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক চিমটা কালোজিরা এক গ্লাস পানির সাথে খেতে পারেন।
এরপরে আপনার সমস্যা দূর হবে এবং সেই সাথে সাথে আপনার রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা
নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কোন নারী বা পুরুষ যদি যৌন সমস্যায় ভুগে থাকে তাহলে তারাও
কালোজিরা খেতে পারে। কারণ কালোজিরা যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করেন। আপনি
যদি প্রতিদিন কালোজিরা খেতে চান তাহলে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে খাওয়া উচিত। অধিক
উপকারের আশায় যদি আপনি মাত্র অতিরিক্ত বা পরিমাণে বেশি খেয়ে থাকেন ।
তাহলে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সর্ব নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে
পারে। আপনি প্রতিদিন কালোজিরা কতটুক খাবেন সেটা আপনার হজম শক্তির উপর নির্ভর করে।
আপনার হজম শক্তি যদি ভালো থাকে তাহলে আপনি প্রতিদিন সর্বোচ্চ দুই চামচ কালোজিরা
খেতে পারবেন। আর যদি আপনার হজম ক্ষমতা দুর্বল হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনি
প্রতিদিন সর্বোচ্চ এক চামচ খাবেন। আপনার যদি প্রথমে কালোজিরা খেতে চান তাহলে অল্প
পরিমাণে খাওয়াটাই সবচেয়ে বেশি ভালো। কারণ এই অল্পতেই আপনার জন্য অধিক উপকার
বয়ে নেয়া আসবে।
কালোজিরা কখন খাওয়া উচিত
আপনার যদি হজম শক্তি দুর্বল হয় বা আমরা রক্তে ক্ললেস্টের মাত্রায় বেড়ে যায়
সে ক্ষেত্রে আপনি প্রতিদিন সকালে খালি কি পেটে এক কাপ কালোজিরার তেল এক কাপ
দুধের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার খেতে পারেন। এছাড়া যদি আপনি
কালোজিরা তেলকে এক চামচ খাঁটি মধুর সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন এক থেকে তিনবার খেতে
পারেন তাহলে আরও বেশি ভালো হয়।
এই নিয়মে যদি আপনি এক থেকে দু সপ্তাহ খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্যাসের সমস্যা
দূর হয়ে যাবে এবং। হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে। তবে আপনি যদি ডায়াবেটিসের সমস্যায়
ভুগে থাকেন তাহলে হাফ চা চামচ কালোজিরা বেশি খাবেন না। এবং ডাক্তারের পরামর্শ
নিবেন। আমরা যদি ডায়াবেটিস থাকে আর আপনি যদি অতিরিক্ত মাত্রায় এটি খান তাহলে
মৃত বিপরীত হতে পারে।
কালোজিরা খেলে কি গ্যাস হয়
অনেকেই প্রশ্ন করেন যে কালোজিরা খেল কি গ্যাস হয়? এর সহজ উত্তর হল না। কালোজিরা
খেলে কখনো আমরা গ্যাস হবে। কালোজিরা হজম শক্তি বৃদ্ধিকার উৎপাদন বাড়াতে সহায়তা
করে। তাই কালোজিরা খেলে আপনার পেটে গ্যাস হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। আপনি যদি সঠিক
নিয়মে সঠিক পরিমাণে কালোজিরা খান তাহলে আপনি পুষ্টি করে ভরপুর এই কালোজিরা থেকে
বহু পুষ্টিকর উপাদান পেতে পারেন যেটা আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। তবে
খেয়াল রাখবেন আপনার শরীর অতিরিক্ত লাভের পর তা চিন্তা করে যেন বেশি খাবেন না,
কেননা বেশি খেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কালোজিরা খেলে কি হয়
সু প্রাচীন কাল থেকে কালোজিরা বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
কালোজিরা কে মৃত্যু ছাড়া সকল রোগের ঔষধ বলে অভিহিত করা হয়। আপনি যদি কালোজিরা
বা কালোজিরা তেল খান তাহলে আপনার শরীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে হৃদরোগ
সম্পর্কে দিয়ে যাবতীয় সমস্যা সমাধান হবে আপনার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে আপনার
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে এছাড়াও আর্থ্রাইটিস বা মাংসপেশির মতো সমস্যা থেকেও
আপনি রেহাই পাবেন।
এছাড়াও কালোজিরা খেলে আপনার পেটের কৃমি দূর হবে পেট ব্যাথা সহ পেটের গ্যাসের
সমস্যার সমাধান পাবেন। তাই আপনি সঠিক সময় সঠিক নিয়মে কালোজিরা খেয়ে আপনার
দৈনন্দিন জীবনে বাড়তি কিছু শক্তি যোগ করুন। এ সকল সমস্যা ছাড়াও আপনি যদি
কালোজিরা খান তাহলে আপনি এলার্জির সমস্যা থেকে মুক্তি , পেট ফাঁপা একজিমা
ফুসকুড়ি শ্বাসকষ্ট ডায়রিয়া জন্ডিস আলসারসহ নানা ধরনের সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে
ঔষধ হিসেবে আমৃক কালোজিরা ব্যবহার করতেন পারেন।
এছাড়াও আপনি যদি সমস্যা স্মৃতিসক্তি বৃদ্ধি স্ট্রোক স্থুল নিরাময় করতে চান
তাহলে নিয়মিত কালোজিরা খান। কালো জিরা আপনার গলা বাধা দূর করার পাশাপাশি
ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবেও এর ব্যবহারের সুনাম রয়েছে। তাহলে বুঝতেই পারছেন
কালোজিরা খেলে কি কি সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। তাহলে আর দেরি না করে আপনি খুব
দ্রুত নিয়মিত সঠিক মাত্রায় কালোজিরা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং আপনার
শরীরকে সুস্থ ও সবল করে গড়ে তুলুন।
রাতে কালোজিরা খেলে কি হয়
এতে আমরা আলোচনা করব নিয়মিত কালোজিরা খাবার বিশেষ কয়েকটি উপকারিতা সম্পর্কে
যেগুলি জানলে আপনি নিয়মিত এর সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে অনেক অনেক উপকৃত হতে পারবে
তাই আর্টিকেলটি মন দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। চলুন তাহলে শুরু করা যাক ।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
কালোজিরাতে প্রায় 100টি রোগের প্রতিষেধক থাকে। তার মধ্যে একটি প্রতিষেধকের নাম
হলো Keratin . যা মানবদেহের ক্যানসার প্রতিরোধ করে । তাই এই দুরারোগ্য ব্যাধি
থেকে বাঁচতে নিয়মিত কালোজিরা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।
হাই ব্লাড প্রেসার সমস্যা
আপনার যদি হাই ব্লাড প্রেসারের সমস্যা থাকে ।যদি আপনার রক্তে কোলেস্ট্রলের মাত্রা
বেশি থাকে বা যদি আপনার রক্তের ট্রাই গ্লিসারাইডের মাত্রা বেশি থাকে। তাহলে সমস্ত
ক্ষেত্রে কিন্তু কালোজিরা আপনাকে যথেষ্ট উপকারিতা দিতে পারে। একটি গবেষণা করা হয়
ডায়াবেটিস কমাতে সক্ষম কিনা ডায়াবেটিস কমাতে সক্ষম কিনা সে প্রসঙ্গে আমি পরে
আসছি কিন্তু ওই গবেষণাতে যে তথ্যটি উঠে এল সেটি কিন্তু যথেষ্ট আশ্চর্যজনক।
সে তথ্য দেখা গেল যে সমস্ত মানুষরা নিয়মিতভাবে কালোজিরা ব্যবহার করছিলেন সেই
সমস্ত মানুষদের রক্তে কোলেস্টেরন এবং ট্রাই গ্লিসারিনের মাত্রা কমে এসেছে। তার
সাথে সাথে যে সমস্ত মানুষরা হাইপার টেনশনের মত সমস্যায় ভুগছিলেন। সেই সমস্ত
মানুষদের সিস্টোলিক প্রেসার এবং ডাস্টলিক প্রেসার এর মধ্যে অনেকটা পরিবর্তন দেখা
গেছে। তাই আপনি হাই ব্লাড প্রেসার এর রোগী হলে আপনি অবশ্যই কালোজিরা ব্যবহার করতে
পারেন । সারাদিনে দুইবার এক গ্লাস কুসুম গরম পানির সাথে হাফ চামচ কালো জিরার তেল
মিশিয়ে পান করুন। এভাবে কিছুদিন ব্যবহার করলে আপনি দেখতে পাবেন যে আপনার রক্তের
চাপ আপনার নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
কালোজিরা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আপনার যদি
অল্পতে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার মত সমস্যা থাকে বা ধরুন সর্দি-কাশি হাঁচি জ্বর এরকম
আপনার কন্টিনিউ লেগে থাকে বা ধরুন আপনার ডেইলি রুটিনের কোন একটা জিনিস অল্প এদিক
ওদিক হওয়ার সাথে সাথে আপনার বিভিন্ন রকমের শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হয়।
সেক্ষেত্রে আপনি প্রতিদিন সকাল বেলায় এক চামচ মধু এবং হাফ চামচ কালোজিরার পাউডার
মিশিয়ে সকালবেলা খালি পেটে খান। তারপর এক গ্লাস কুসুম কুসুম গরম পানি চায়ের মত
চুম্বক দিয়ে খান। এই নামে যদি আপনি 8 থেকে 10 দিন নিয়মিত খান তাহলে এর পার্থক্য
আপনি হাতেনাতে পাবেন।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
ডায়াবেটিস কন্ট্রোলেও কিন্তু কালোজিরা বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। কালোজিরা আমাদের
শরীরের ইনসুলিনের সেনসিটিভিটি বাড়াতে সাহায্য করে। কালোজিরা আমাদের
প্যানক্রিয়াসের বিটা সেল গুলি রিজেনারেট করতে সাহায্য করে । তার সাথে সাথে কোন
খাবার খাবার পরে আমাদের শরীরে কিন্তু কার্বোহাইডেটের শোষণ কমাতেও সাহায্য করে
কালোজিরা । তাই আপনি যদি টাইপ 1 ডায়াবেটিস অথবা টাইপ 2 ডায়াবেটিস ভুগছেন।
আরোও পড়ুনঃ স্যালাইন খাওয়ার ১৩টি উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
তাহলে আপনি কিন্তু নিয়মিতভাবে কালোজিরা খেতে পারেন ।সকাল বেলা আপনারা যে লাল চা
খান লাল চা সকালবেলা বানানোর সময়ে তার মধ্যে আপনার হাফ চামচ কালোজিরা দিয়ে
চায়ের সাথে ফুটিয়ে নেন। তারপর ছেঁকে নিয়ে সকালবেলা এক কাপ আপনি ওই চা খেতে
পারেন। ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে কিন্তু বিশেষ লাভ দায়ক। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন
দ্রুত ফলের আশাতে এই মিশ্রণটি দিনে দুইবার কখনোই খাবেন না। এবং ওই হাফ চা চাম চ
কালোজিরার পরিবর্তে কখনো এক চা চামচ ব্যবহার করবেন না। এক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন
ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
ব্রণের সমস্যায়
আপনি যদি আপনি pimples এর সমস্যায় ভুগছেন অর্থাৎ আপনার মুখের মধ্যে যদি ব্রণের
মতন সমস্যা রয়েছে বা এমন বেশ কিছু মানুষ দেখতে পাওয়া যায় যাদের মুখের মধ্যে
পিগমেন্টেশনস স্পট থাকে বা মেচেদার মতন দাগ থাকে। যদি এইরকম ধরনের আপনি সমস্যায়
ভুগছেন তাহল তাহলে আপনি কালোজিরা ব্যবহার করতে পারেন।
এক্ষেত্রে আপনি কি করবেন দুই চামচ পাতি লেবুর রসের সাথে হাফ চামচ কালোজিরা পাউডার
মিশিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নেন। সেই মিশ্রণটিকে আপনার মুখে যেখানে সমস্যা
রয়েছে বা মুখের মধ্যে পিগমেন্টেশন স্পট বা মেচেদার মত সমস্যা আপনার মুখের যেখানে
রয়েছে সেখানে লেপন করুন এবং 10 থেকে 12 মিনিট ওই ভাবেই রেখে দেন ১০ থেকে ১২
মিনিট পরে কুসুম গরম করে ধুয়ে নেন।
মোটামুটি মোটামুটি এক দুই সপ্তাহ পরে কিন্তু আপনি দেখতে পারবেন আপনার মুখের মধ্যে
কতটা পরিবর্তন হয়েছে অর্থাৎ কালোজিরার মধ্যে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি
ইনফ্লামেটরি প্রপার্টি রয়েছে। সেটি আপনার মুখের যে সমস্ত ব্রণের সমস্যা বা
পিগমেন্টেশন স্পট বা মেচেদার মত সমস্যা গুলিকে কিন্তু ধীরে ধীরে নিরাময় করে
দেয়।
ব্যথা নাশক হিসেবে কাজ করে
যেকোনো ধরনের ব্যাথা কমাতে কালোজিরা তেলের জুড়ি মেলা ভার। কালোজিরা তেল বাতের
ব্যথায় খুব ভালো কাজ করে। কালোজিরা তেল হালকা গরম করে নিয়ে ব্যথার স্থানে মালিশ
করলে দারুন উপকার পাওয়া যায়।
চুল পড়া প্রতিরোধ করে
চুলের জন্য কালোজিরার উপকারিতা অপরিশীম। উপকারী এই কালোজিরা চুল পড়া প্রতিরোধ
করে । নিয়মিত অলিভ অয়েল আর কালোজিরার তেল সেবন করলে চুল পড়া কমবে এবং চুলের
গোড়া শক্ত হবে।
জ্বর, সর্দি, মাথা ব্যথা উপশম করে
যদি আপনি জ্বর সর্দি এবং মাথা ব্যথার সমস্যা ভুগছেন। তাহলে কালোজিরা আপনার উপকারী
বন্ধু হতে পারে। কালোজিরা আর মধু একসাথে খেলে শরীর গরম। ফলে জ্বর সর্দি বা মাথা
ব্যথার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
স্মরণ শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে
কালোজিরা মানব দেহে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে তাই প্রতিদিন কালোজিরা বা কালোজিরা
তেল খেলে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে ফলে আমাদের স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি
পায়।
কালোজিরা খেলে কি বাচ্চা হয়
আপনি যদি প্রশ্ন করেন যে কালোজিরা খেলে কি বাচ্চা হয়? তাহলে এ প্রশ্নের সহজ
উত্তর হল না। কালোজিরা সরাসরি বাচ্চা হতে সহযোগিতা করেনা কিন্তু পরোক্ষভাবে
সহযোগিতা করে। যেমন কোন পুরুষ যদি যৌন সমস্যায় ভোগে থাকেন তাহলে আপনি কালোজিরা
বা কালোজিরা তেল নির্দ্বিধায় খেতে পারেন। এই কালোজিরা বা কালোজিরা তেল যদি আপনি
নিয়মিত খান তাহলে আমরা যৌন দুর্বলতার সমস্যার সমাধান পাবেন সেইসঙ্গে আপনার
শুক্রানুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং শেখ শুক্রাণুর গুণগত মান বা কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি
পাবে।
মহিলাদের ক্ষেত্রেও কালোজিরা উপকারিতা অনবদ্য। মহিলাদের PCOS ( Polycystic Ovary
Syndrome) সমস্যার লক্ষণ থাকলে তা ক্ষমতার সহায়তা করে এবং তাদের ডিম্বাণুর গুণগত
মান উন্নত করে। তাহলে এটা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে কোন দম্পত্তি যদি প্রজনন
সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে নির্দ্বিধায় তারা কালোজিরা বা কালোজিরা তেল খেতে
পারেন। শুধু এটা ভেবেই বসে থাকলে হবে না যে আমরা কালোজিরা খেলেই প্রজনন সমস্যার
সমাধান হবে, আপনাকে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
গর্ভাবস্থায় কালোজিরা খেলে কি হয়
বহুল গুণসম্পন্ন সম্পূর্ণ এ কালোজিরা কালোজিরা আপনার বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করতে
পারে এবং আপনার শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি খাদ্য উপাদান। শতপকারী হলেও আপনি
গর্ব অবস্থায় কালোজিরা তেল বা কালোজিরা খেতে পারবেন না কারণ কালোজিরা শরীরের রোগ
রক্ত প্রবাহের মাত্রা বৃদ্ধি করে। গর্ভাবস্থায় আপনি যদি কালোজিরা বা কালোজিরা
তেল খান তাহলে আপনার গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আপনি কালোজিরা খেতে
পারবেন কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে নয়। সামান্য পরিমাণে আপনি কালোজিরা খেতে পারেন।
শেষ কথা:রাতে কালোজিরা খেলে কি হয়
রাতে কালোজিরা খেলে কি হয়? লেখা আর্টিকেলটি যদি আপনি শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকেন
তাহলে আপনি কালোজিরার বৈজ্ঞানিক নাম প্রতিদিন কতটুকু কালোজিরা খাওয়া উচিত
কালোজিরা কখন খাওয়া উচিত কালোজিরা খেলে কি গ্যাস হয় রাতে কালো খেলে কি হয় এবং
কালোজিরা খেলে কি বাচ্চা হয় এই সকল বিষয়ে সম্পর্কে আপনি জানতে পারবেন।
এখনো আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মন যোগ দিয়ে না পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই প্রথম থেকে
শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে করে ফেলুন। আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনার
যদি মনে করেন যে আপনার কোন বন্ধু বা বান্ধবের পড়া উচিত তাহলে আপনি তাদের নিকট
শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।
আরিফুল প্লাস এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url