সজনে পাতার 13টি অসাধারণ উপকারিতা এবং খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে

থানকুনি পাতার ১৭টি উপকারিতা ও খাবার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনসজনে পাতা শব্দটির সাথে আমরা সকলের পরিচিত। সজনে পাতা চিনে না বা এর নাম শুনে নি এমন লোক খুঁজে পাওয়া খুবই মুশক। সজনে পাতার এলাকার ভেদে একেক ধরনের নাম রয়েছে। জীবন কে বলে সজিনা , সাজনে, সজনে ইত্যাদি। 
সজনে পাতার উপকারিতা
তবে নাম যাই হোক না কেন জিনিসটা কিন্তু একই। এই সজনে পাতা বহুবিধ উপকারিতা রয়েছে। আজ আমরা আলোচনা করব সজনে পাতার উপকারিতা নিয়ে এবং তার সাথে আপনি কি কি পুষ্টি গুণ পেতে পারেন এবং সব শেষে আমরা জেনে নেব এই সজনে পাতা সবার সঠিক নিয়ম এবং কাদের খাওয়া উচিত এবং কাদের খাওয়া উচিত নয়।

সজনে পাতার পুষ্টি উপাদান

  • আমিষ ২৭%
  • শর্করা ৩৮ %
  • আঁশ ১৯%
  • সেট ২%
  • এসেনশিয়াল এমাইনো এসিড ১৮ টি
  • ভিটামিন এ
  • ভিটামিন সি
  • ভিটামিন বি১(থায়ামিন)
  • ভিটামিন বি২(রিবোফ্লেভিন)
  • ভিটামিন বি৬
  • ফলেট
  • ক্যালসিয়াম
  • ম্যাগনেসিয়াম
  • পটাশিয়াম
  • জিংক
  • আয়রন
  • এন্টিঅক্সিডেন্ট

যে সকল ফলের থেকে পুষ্টিগুণ বেশি

  • সজনে পাতাতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে যেটা একটা কমলালেবুর থেকে প্রায় সাত গুণ বেশি থাকে সজনে পাতাতে।
  • চোখের জন্য উপকারী পুষ্টি উপাদান টির নাম হলো ভিটামিন এ। সজনে পাতা ভিটামিন এ সমৃদ্ধ। সজনে পাতায় গাজরের থেকে চার থেকে পাঁচ গুণ বেশি ভিটামিন এ থাকে।
  • সজনে পাতার আর একটি উল্লেখযোগ্য উপাদান হলো পটাশিয়াম। আমরা জানি কলা পটাশিয়ামের একটি উল্লেখযোগ্য উৎস। এই কলা থেকে চার থেকে পাঁচ গুণ বেশি পটাশিয়াম পাবেন আপনি সজনে পাতায়।
  • আপনি আপনি অবশ্যই জানেন যে ক্যালসিয়ামের অন্যতম একটি উৎসের নাম হল দুধ। আপনি জেনে অবাক হবেন যে শরীরের পাতায় দুধের থেকে তিন থেকে চার গুণ বেশি ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। এছাড়াও ক্যালসিয়ামের আরেকটি উল্লেখযোগ্য উৎস হলো তিলের নাড়ু।

সজনে পাতার উপকারিতা

আজ আমরা আলোচনা করব সজনে পাতার বহুল উপকারীর দিকের মধ্যে থেকে অল্প কিছু উপকারিতা নিয়ে উপকারিতা নিয়ে । চলুন শুরু করা যাক-

আর্থ্রাইটিস নিরাময় কার্যকর : আর্থ্রাইটিস সমস্যা নিরসনের অত্যন্ত কার্যকরী একটি জিনিস হলো সজনে পাতা। আপনি যদি হাঁটু ব্যাথার মত সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে নিয়মিত সজনে পাতার জুস অথবা ভর্তা অথবা বর্ডার করে খেতে পারেন ।ডাক্তার গণ এক্সপেরিমেন্ট করে দেখেছেন যে কোন আর্থ্রাইটিস এর রোগী যদি ছয় মাস যাবত নিয়মিত সজনে পাতা খেতে পারেন তাহলে আর্থ্রাইটিসের সমস্যা উল্লেখযোগ্য ঘরে নিরাময় হবে।

শরীরকে ডিটক্সিফাই করে : আমরা জানি আমাদের শরীরে ৭০ থেকে ১০০ ট্রিলিয়ন কোষ রয়েছে। এ প্রত্যেকটি কোষের মধ্যে সদা সর্বদা লক্ষাদিক একশন রিঅ্যাকশন এর মত ঘটনা ঘটে থাকে। এই লক্ষাধিক ক্রিয়া-বিক্রিয়া হতে গিয়ে ভয়াবহ কিছু টক্সিন বা কিছু বিষনু আমাদের আমাদের শরীরের ছেলের মধ্যে উৎপন্ন হয়ে । 
এগুলোকে সাধারণত আমরা ভুলে থাকি টক্সিন বা বজ্র পদার্থ। এই টক্সিন বা বজ্র পদার্থ গুলো যদি আমাদের শরীরের মধ্যে থেকে যায় তাহলে কখনো আমরা সুস্থ থাকতে পারবো না। আপনার শরীর থেকে এ সকল টক্সিন বা বজ্র পদার্থ নিরসনের জন্য সজনে পাতা খেতে পারেন। আপনার শরীর থেকে বজ্র পদার্থ বা টক্সিন নিউরোশনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার কারণে একে ডিটক্স বলা হয়ে থাকে।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণসম্পন্ন : সজনে পাতায় প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এমন একটি উপাদান যেটি আপনার শরীরের এনার্জি বাড়িয়ে দেয়। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের ইউনিটি পাওয়ারকে বুষ্ট করতে সহায়তা করে। এছাড়াও আমাদের শরীরের ফ্রি মেডিকেলের ফলে যে ড্যামেজগুলো হয় সে ড্যামেজগুলো থেকে আমাদের শরীরকে আমাদের কোষ রক্ষা করে ।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: সজনে পাতার ভেতরে বিশেষ এক ধরনের প্রোটিন থাকে। যে প্রোটিনটি আমাদের শরীরের ইনসুলিন কে মিল করে অর্থাৎ আমাদের শরীরে গিয়ে সে প্রোটিনটি ইনসুলিন এর মতন কাজ করে । তার ফলে আমাদের রক্তে কিন্তু গ্লুকোজের মাত্রা বাড়তে পারে না । এছাড়া যদি আপনারা নিয়মিতভাবে সজনে পাতা খেতে পারেন। 

তাহলে আপনার শরীরে ইনসুলিন সিক্রেশন বেড়ে যায় অর্থাৎ রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়তে থাকে। তার সাথে সাথে আপনার শরীরে কার্বোহাইডেট শোষণ কমে যায় এবং আপনার শরীরে যে ইনসুলিন থাকে সে ইনসুলিনের সেনসিটিবিতে বেড়ে যায় । তার ফলে খুব সহজে কিন্তু আপনার ডায়াবেটিস কন্ট্রোল হয়ে যায়।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করে: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, আপনি দীর্ঘদিন ধরে এবং নিয়মিতভাবে সজনে পাতা খেতে পারেন, তখন আপনার শরীরের যে ইমিউনিটি পাওয়ার সেটি এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছে যায়। তখন বিভিন্ন প্রকারের ক্যান্সার সেলের সাথে লড়াই করতেও কিন্তু আপনার শরীর সক্ষম হয় । 

এছাড়া সজনে পাতার মধ্যে এক ধরনের সুগার কম্পাউন্ড থাকে যার নাম হলো Niazimicin. এই Niazimicin অন্যান্য ক্যান্সারের সাথে সাথে প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সার কেউ কিন্তু প্রটেক্ট করতে সক্ষম । সজনে পাতার মধ্যে যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি রয়েছে সেগুলি আমাদের শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, আর আমাদের শরীরে যখন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মাত্রা বৃদ্ধি পায়। তখন আমাদের শরীরের ফ্রি মেডিকেল গুলিকে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়। 
আর আমাদের শরীরে যখন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মাত্রা বৃদ্ধি পায় তখন আমাদের শরীরের ফ্রি মেডিকেল গুলিকে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়। তখন আমাদের শরীরের সেলগুলিকে ড্যামেজের হাত থেকে এবং আনন্যাচারাল গ্রোথের হাত থেকে রক্ষা করে। তারফলে ক্যান্সারে ঝুঁকি কিন্তু অনেকটা কমে যায় । এছাড়া সজনে পাতার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ এমাইনো এসিড । 

যে এমাইনো এসিড ডি যে সমস্ত ক্যান্সার পেশেন্টদের অলরেডি কেমত চলছে। সেই কেমোথেরাপি চলা পেশেন্টদেরও কিন্তু ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়াতে সাহায্য করে, তাই এমনকি যে সমস্ত মানুষরা ক্যান্সার রোগে ভুগছেন সেই সমস্ত মানুষরাও কিন্তু নিয়মিত ভাবে মরিঙ্গা লিভ বা সজনে পাতা খেতে পারেন।

কোলেস্টেরল কমায়: মানুষের উপরে এবং এনিমেলদের উপরে এই সজনে পাতা নিয়ে যে সমস্ত গবেষণা চালানো হয়েছে সে গবেষণায় আরও একটি তথ্য উঠে এসেছে সেটি হলো এই সজনে পাতার মধ্যে কোলেস্টের লোয়ারিং এফেক্ট রয়েছে। অর্থাৎ সজনে পাতা আপনার রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কম করতে সক্ষম। 

আমাদের রক্তে যত পরিমাণ কোলেস্টেরল পাওয়া যায় তার ৭০% কোলেস্টেরল তৈরি করে লিভার আর 30% কোলেস্টেরল আছে বাইরের থেকে অর্থাৎ আমরা যে সমস্ত খাবার খায় সে খাবারের থেকে সে ৩০% কোলেস্ট্রল আছে এখন যে সেভেনটি পার্সেন্ট কোলেস্টেরল লিভার তৈরি করছে সে লিভার কে কোলেস্টেরল তৈরি করার জন্য এক প্রকারের এনজাইম সাহায্য করে।

 যে এনজাইমটির নাম হলো HMG coA Reductase এই HMG coA Reductase কিন্তু লিভার কে সাহায্য করে কোলে তৈরি করার জন্য লিভার কে সাহায্য করে কোলেস্টেরল তৈরি করাতে ।গবেষণায় দেখা গেছে আপনি যদি নিয়মিত ভাবে সজনে পাতা খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের HMG coA Reductase এনজাইমটিভ অ্যাক্টিভিটি কমে যায় তার ফলে লিভারের কোলেস্টেরল প্রোডাক্টশন কমে যায় এবং আপনার রক্ত কোলেস্টলের মাত্রা ধীরে ধীরে কমে আসে।

ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করে: আপনারা হয়তো প্রায়ই শুনে থাকবেন যে সমস্ত মানুষরা হাই ব্লাড প্রেসারের সমস্যায় ভুগছেন ডাক্তার বাবু তাদেরকে নিয়মিতভাবে কলা খাওয়ার পরামর্শ দেন ।তার কারণ হলো কলা হলো পটাশিয়ামের খুব ভালো একটা উৎস। আর আমাদের শরীরে যখন পটাশিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি পায় তখন আমাদের রক্ত থেকে সোডিয়ামের মাত্রা ধীরে ধীরে কমে আসে আমাদের রক্ত থেকে যখন সোডিয়ামের মাত্রা কমে যায় ।
তখন দেখবেন ধীরে ধীরে কিন্তু আপনার ব্লাড প্রেসার কমে আসছে বা আপনার ব্লাড প্রেসার কন্ট্রোল হয়ে যাচ্ছে এখন আমরা আগেই বলেছি কলার মধ্যে যত পরিমান পটাশিয়াম পাওয়া যায়, সজনে পাতার মধ্যে তার থেকে তিনগুণ বেশি পটাশিয়াম পাওয়া যায়। তাই যদি আপনি নিয়মিতভাবে সজনে পাতা খেতে পারেন তাহলে আপনার ব্লাড প্রেসারও কিন্তু থাকবে কন্ট্রোলে এছাড়া সোজনে পাতার মধ্যে Oleic Acid বলে এক ধরনের Monounsaturated Omega-9 Fatty Acid রয়েছে। আপনার শরীরে রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম ।

ত্বক ও চুলের যত্নে: আজকাল বাজারে মরিঙ্গা সিট অয়েল অর্থাৎ সজনে ডাটার মধ্যে যে বীজ থাকে সে বীজের থেকে তৈরি তেল কিন্তু আপনার ত্বকের জন্য এবং আপনার চুলের জন্য খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং এবং আন্টি ইনফ্লামেটরি প্রপার্টি এছাড়া আপনার মুখের ত্বককে ব্রণ এবং রিংকেলসের হাত থেকে অনেকখানি দূরে রাখে । 

এছাড়া এর মধ্যে থাকা যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে সে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার শরীরের ফ্রি রেডিক্যাল গুলির সাথে লড়াই করে আপনাকে একটি এন্টি এজিং এফেক্ট দিতে সক্ষম তার ফলে সময়ের আগে আপনার চুল পেকে যাওয়া চুল ঝরে যাওয়া এই সমস্ত সমস্যা থেকে আপনাকে অনেক খানি দূরে রাখে ঘন এবং কালো চুলে র অধিকারি করে তোলে আপনাকে।

ক্ষত নিরাময় করে: বিভিন্ন স্টাডিতে দেখা গেছে সজনে পাতার মধ্যে এক ধরনের অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি কম্পাউন্ড রয়েছে যার নাম হল Isothiocyanates এই Isothiocyanates আপনা শরীরের একিউট ইনফ্লামেশন হয়। অর্থাৎ মনে কোন কোন জায়গা আপনার কেটে গেল বা কোন জায়গাতে আপনি ব্যথা পেলেন তার ফলে আপনার শরীরের সেই জায়গাটা ইনফ্লামেশন হল সেই সমস্ত ইনফ্লামেশনকে হিল করতে সাহায্য করে এই Isothiocyanates।

ডিপ্রেশন দূর করে: দেখুন এই সজনে গাছ হল এক ধরনের অ্যাচারাল এবং নন টক্সিক প্লান। আপনি যদি নিয়মিতভাবে সজনে পাতা খান তাহলে আপনার করটি ওসল লেভেল মেন্টেন হয় এবং তার সাথে সাথে আপনার ব্রেন কে বিভিন্ন প্রকার ইনফ্লামেশনের থেকে দূরে রাখে। তার ফলে আপনার স্ট্রেস, অ্যাংজাইটি এবং ডিপ্রেশনের মত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না।

কিডনি স্টোন দূর করে: আধুনিক কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে আপনি নিয়মিতভাবে সজনে পাতা খেতে পারেন । তাহলে কিডনি স্টোন এর মতন সমস্যা ও সহজে কিন্তু আপনার হয় না ।গবেষণার আগে বলা হতো যে সমস্ত মানুষদের কিডনি স্টোনের সমস্যা রয়েছে । সেই সমস্ত মানুষদের সজনে পাতা খাওয়া বারণ। 
কারণ সজনে পাতার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে Calcium Oxalate রয়েছে ।এই Calcium এবং Oxalate মিলেমিশে আপনার স্টোন ফর্মেশন করতে সাহায্য করে। কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে গবেষণায় দেখা যায় এর মধ্যে Calcium Oxalate রয়েছে ঠিকই, কিন্তু যে Calcium Oxalate রয়েছে সেটি কিন্তু নন সলিউবেল Calcium Oxalate ।তার ফলে কিন্তু কিডনিতে স্টোন ফরমেশন সহজে হতে পারে না ।

অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা দূর করে: কিছু শিশুদের উপরে গবেষণা করে দেখা গেছে এই মরিঙ্গা বা সজনে পাতার মধ্যে যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। সে আয়রন কিন্তু আপনার শরীরে যদি অ্যানিমিয়ার মতন সমস্যা থাকে অর্থাৎ রক্ত অল্পতার মতন যদি আপনার সমস্যা থাকে সেই সমস্যারও কিন্তু অনেকখানি সমাধান করে ।এছাড়া ইন্ডিয়া এবং বাংলাদেশের মহিলাদের মধ্যে কমন সমস্যা হলে অ্যানিমিয়া তাই সমস্ত মহিলাদের পরামর্শ দেওয়া হয় যদি আপনারা নিয়মিতভাবে সজনে পাতা খেতে পারেন কিন্তু অ্যানিমিয়ার মত সমস্যা কিন্তু আপনাদের সহজে হবে না ।

হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়: সজনে পাতার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এবং মিনারেল যা আমাদের ডাইজেস্টিক পাওয়ার কে ইমপ্রুভ করতে সাহায্য করে ৪০ রকমের থেকে বেশি পরিমাণে এন্টি ইনফ্লামেটরি প্রপার্টি রয়েছে যা আমাদের ডাইজেস্টিভ সিস্টেমের সাথে সাথে আমাদের কনস্টিপেশন ডায়রিয়া আলসারাইটি পোলাইটিস তারপর আপনার পেট ফাঁপা এই সমস্ত সমস্যার থেকেও কিন্তু অনেকখানি মুক্তি দিতে পারে ।

সজনে পাতা খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি

সজনে পাতা খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি এবং সঠিক সময়ে অর্থাৎ কোন পদ্ধতিতে আপনি সজনে পাতা খাবেন এবং কোন সময়ে খাবেন যাতে এই সজনে পাতার ঔষধি গুণ বেশি পরিমাণে আপনি পেতে পারেন। দেখুন সজনে পাতা আমরা সবাই শাক হিসেবে খেয়ে থাকি, সজনে ফুলের বড়া, সজনে ফুলে সবজি খেয়ে থাকি, সজনে ডাটার বিভিন্ন প্রকারের সবজি, ডালের সাথে দিয়ে ,সাম্বারের সাথে দিয়ে, মাছের ঝোলের সাথে দিয়ে বিভিন্নভাবে আমরা বাঙালিরা খেয়ে থাকি। 
এই সজনে পাতা এবং সজনে ফুল আমাদের বাঙ্গালীদের কাছে অত্যন্ত কিন্তু প্রিয় একটি খাবার ।তাই আপনি সজনে পাতা খাচ্ছেন, নাকি সজনে ফুল খাচ্ছেন, নাকি সজনে ডাটা খাচ্ছেন সেটা ম্যাটার করে না। আপনি যখন যে জিনিসটি পাবেন যেভাবে পাবেন যেভাবেই খান না কেন সমান উপকারিতা পাবেন। কিন্তু আপনি যদি সারা বছর ধরে ওষুধ হিসেবে খেতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে সজনে পাতা খেতে হবে। আপনি যদি ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করতে চান তাহলে তাহলে আমি তিনটি পদ্ধতি বলব সে তিনটি পদ্ধতির মধ্যে যেকোনো একটি পদ্ধতি আপনারা ব্যবহার করতে পারেন 

  • প্রথম হল মরিঙ্গা পাউডার দেখুন মরিঙ্গা পাউডার আমি আগেই বলেছি মার্কেটে এভেলেবেল যদি আপনি মার্কেট থেকে কিনতে না চান তাহলে যখন আপনার গাছের মধ্যে পাতা থাকবে সেই পাতাকে শুকিয়ে মিক্সার গ্রাইন্ডার ডাস্ট করে স্টোর করে রাখতে পারেন। আর না হলে আপনি বাজার থেকে কিনতে পারেন। এক চামচ মরিঙ্গা পাউডার আপনি মুখের মধ্যে এক গ্লাস কুসুম কুসুম গরম জল ধীরে ধীরে চমক দিয়ে চায়ের মতন খাবেন এবং সেটি খাবেন সকালবেলা ব্রেকফাস্টে পড়ে আর না হলে সালাদের উপরে নতুবা যেকোনো সবজির উপর সেটিও খেতে পারেন। 
  • আপনি যদি সজনে পাতার জুস করে খেতে চান তাহলে সজনে পাতার জুস সকালবেলা খালি পেটে দুই থেকে চার চামচ পর্যন্ত খেতে পারেন আপনি মরিঙ্গা টি ফরমেও খেতে পারেন আপনি যদি কাঁচা পাতা থেকে বানাতে চান সে ক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২০ গ্রাম কাঁচ া পাতা সেটিকে আদার সাথে ভালো করে ফুটিয়ে নিয়ে ছেঁকে নিয়ে আপনি চায়ের মতন কিন্তু চুমুক দিয়ে দিয়ে খেতে পারেন ।
  • আর যদি শুকনো পাতা বা মরিঙ্গা পাউডার দিয়ে আপনি বানাতে চান তাহলে আপনি এক চামচ মরিঙ্গা পাউডার নিয়ে এসেছে আধার সাথে ফুটিয়ে নিয়ে আপনি চায়ের মত চুমুক দিয়ে দিয়ে খেতে পারেন।

সজনে পাতা খাওয়ার সর্তকতা

সজনে পাতা কাদের খাওয়া যাবে এবং কাদের খাওয়া যাবেনা এবং সজনে পাতা অলমোস্ট সকলে খেতে পারবেন না অর্থাৎ সজনে পাতার তেমন কোন অপকারিতা নেই আপনি সজনে পাতা নির্দ্বিধায় নিজ সংকোচে খেতে পারেন। কিন্তু আমরা আগে আলোচনা করেছি যে সজনে পাতা আপনার ব্লাড সুগার এবং ব্লাড প্রেসার কে কম করতে সাহায্য করে। তাই যদি আপনি নিয়মিত ভাবে ব্লাড সুগার বা ব্লাড প্রেসারের ওষুধ খাচ্ছেন সেই সাথে সোজনে পাতা খাচ্ছেন সেক্ষেত্রে ডাবল ডোজ হয়ে যেতে পারে। তাই আপনি সে ক্ষেত্রে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিতে পারেন।

লেখকের মন্তব্য: সজনে পাতার  উপকারিতা এবং খাওয়ার সঠিক নিয়ম

সজনে পাতার উপকারিতা পুষ্টিগুণ হওয়ার সঠিক নিয়ম ও সতর্কতা নিয়ে লেখা আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধুদের নিকট শেয়ার করুন। তাদেরকে সুদিনের কথা উপকারিতা সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দেন। আর্টিকেলটি যদি ভালো লাগে অবশ্যই মন্তব্য করতে ভুলবেন না। কারণ আপনাদের মন্তব্য আমাদেরকে ভবিষ্যতে আর তথ্যবহুল বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে উৎসাহিত করে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরিফুল প্লাস এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url