থানকুনি পাতার ১৭টি উপকারিতা ও খাবার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

পাথরকুচির পাতা সকল রোগের মহৌষধ!আপনি হয়তো থানকুনি পাতা খাওয়ার বিষয় নিয়ে ভাবছেন। কিন্তু সঠিকভাবে বুঝতে পারছেন না যে আপনি যে সমস্যায় ভুগছেন  সেই সমস্যার জন্য থানকুনির পাতা খাবেন কিনা। 
থানকুনি পাতার ১৭টি উপকারিতা ও খাবার নিয়ম
আর যদি খেতে চান তাহলে কি নিয়মে খাবেন সেটা বুঝতে পারছেন না। আপনি যদি আপনার অমূল্য সময়ের মধ্য থেকে কিছুটা সময় ব্যয় করে আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত থাকেন তাহলে থানকুনি পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও খাবার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে চলুন শুরু করি

ভূমিকা

গৃহযোগী যে ভিখ পায় না তা থানকুনি পাতার খোঁজ নিলেই জানা যায়। এই প্রাকৃতিক উপাদান টাকে যেখানে আরবের শাস্ত্র মাথায় করে রেখেছে সেখানে আধুনিক কালে মাথায় করে রেখেছে সেখানে এর জনপ্রিয়তা কমেছে চোখে পড়ার মতো ।

শাস্ত্র মতে ছোট বড় রোগ সারাতে এর জুড়ি মেলা ভার, কিন্তু আমাদের ভরসা রয়েছে সেই আধুনিক মেডিসিনে যা খেলে রোগ তো সারে কিন্তু হাজারো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় শরীর একেবারে জেরবার হয়ে যায়। তাই তো বলি সুস্থ থাকতে ভরসা রাখুন প্রাকৃতিক উপাদানের উপরে, বিশেষ করে থানকুনি পাতার উপরে। দেখবেনা শরীর বাবাজিকে নিয়ে আর কোন চিন্তাই থাকবে না। 

প্রাচীনকাল থেকেই ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে থানকুনি পাতা। কারণ একজিমা ও সোরিয়াসিস এর মত জটিল ত্বকের রোগ সারিয়ে ফেলতে যেমন এই প্রাকৃতিক উপাদানের জুড়ি মেলা ভার তেমনি এই গুল্মটিতে উপস্থিত একাধিক উপকারী খনিজ এবং ভিটামিন মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায়। শরীরের দেখভালে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে এটি। 
নিয়মিত থানকুনি পাতার রস খাওয়া শুরু করলে একাধিক উপকার মেলে বিশেষত শরীরের যত্নে এই প্রাকৃতিক উপাদানটির কোন বিকল্প হয় না বললেই চলে আসুন থানকুনি পাতা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আজ এ জেনে নেয়া যাক।

থানকুনি পাতার উপকারিতা

ক্ষত সারাতেঃ ক্ষতের চিকিৎসায় কাজে আসে থানকুনি পাতা কোথাও কেটে গেলে সেখানে যদি অল্প করে থানকুনি পাতা সেঁতো করে লাগানো যায় তাহলে দারুন উপকার পাবেন এই পাতায় রয়েছে symphony নামে একটি উপাদান যা ক্ষতস্থানের রক্ত প্রবাহ বাড়ি দেয়, সে কারণে ক্ষত শুকিয়ে যেতে সময় লাগে না। ক্ষতস্থানে কোন ধরনের সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়।

রক্ত প্রবাহেঃ সারা শরীরে রক্ত প্রবাহে উন্নতি ঘটায় এই পাতা। নিয়মিত থানকুনি পাতার রস খেলে ব্লাড ভেসেলের যে দেওয়াল রয়েছে তার ক্ষমতা যেমন বাড়ে তেমনি সারা শরীরে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়। ফলে দেহের প্রতিটি অঙ্গে খুব দ্রুত বিশুদ্ধ রক্ত পৌঁছে যাওয়ার কারণে শরীরে রোগ ব্যাধির সংক্রমণ কমতে খুব একটা সময় লাগে না। শরীরের ক্ষমতাও বেড়ে যাই। সেইসঙ্গে পা ফুলে যাওয়া এবং পায়ে যন্ত্রণা হওয়ার মত সমস্যাও দূরে থাকে।
রক্ত জমাট বাঁধার আশঙ্কায়ঃ  দেহে রক্ত জমাট বাঁধার আশঙ্কা কমায় থানকুনি পাতা। রক্ত জমাট বাঁধার আশঙ্কা কমাতে থানকুনি পাতার উপকারিতা প্রচুর । থানকুনি পাতায় উপস্থিত নানা মিনারেল এবং উপকারী উপাদানের কারণে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কা কমে। যে কারণে ফ্রম্বসিস এর মত রোগ দূরে থাকতে বাধ্য হয় । 

তাছাড়া রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার মত ঘটনা ঘটার একেবারেই উচিত নয়। কারণ এমনটা ঘটলে রক্তের প্রবাহে বিঘ্ন ঘটে ফলে হার্ট , কিডনি এবং মস্তিষ্কের যেমন মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে তেমনি শরীরের অন্যান্য অঙ্গগুলিও কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে। তাই এই বিষয়ে সাবধান থাকা জরুরি । আর সেই কারণেই তো থানকুনি পাতার রস না খেলেই নয়।

প্রদাহ দমনে ঃ শরীরের ভেতরে প্রদাহের মাত্রা কমায় থানকুনি পাতা । কোন কারনে শরীরের ভেতরে যদি ইনফ্লামেশন বা প্রবাহের মাত্রা বেড়ে যায় তাহলে দেহের গুরুত্বপূর্ণ তাহলে দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সঙ্গে মাথাচারা দিয়ে ওঠে আরো নানা ধরনের সমস্যা। 
এক্ষেত্রে জয়েন্টের ব্যথা, বারে বারে জ্বর আসা, ক্লান্তি , মাথা যন্ত্রণা, খিদে কমে যাওয়া এবং পেশীতে যন্ত্রণা হওয়ার মত লক্ষণ গুলি ওর মত লক্ষণ গুলি প্রকাশ পায় । এই সময় যদি সঠিক চিকিৎসা শুরু করা না যায় তাহলেই বিপদ। তবে এমন পরিস্থিতি আসার আগেই কিন্তু ড্যামেজ কন্ট্রোল করা সম্ভব । কিভাবে তাই ভাবছেন? এক্ষেত্রে প্রতিদিন থানকুনি পাতার রস খেতে হবে। 

তাহলে মিলবে সুফল। কারণ এই প্রাকৃতিক উপাদানটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যার নিমিষে প্রদাহের মাত্রা কমায়। সঙ্গে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের মত সমস্যাটিকেও দূরে রাখে । কমায় জয়েন্টের ব্যথা।

স্টমাক আলসারের সমস্যায়ঃ স্টমাক আলসারের মতো রোগ দূরে রাখতে সাহায্য করে থানকুনি পাতা । আসিও টিকো সাইড নামে একটি উপাদান রয়েছে থানকুনি পাতায় যা হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়। সেই সঙ্গে স্টমাক আলসারের মত রোগের প্রকোপ কমাতে সহায়তা করে । শুধু তাই নয় পেট খারাপ এবং ডায়রিয়ার চিকিৎসার ক্ষেত্রেও থানকুনির পাতা ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

মানসিক অবসাদেঃ অ্যাংজাইটি এবং মানসিক অবসাদের প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে থানকুনি পাতা। এমন ধরনের সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের নিয়মিত করে খেতে হবে থানকুনি পাতার রস । তাহলে উপকার । কারণ এতে রয়েছে এমন কিছু উপাদানিন সেরোটোনিম রমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়  
যে কারণে করটিজল মানে স্ট্রেস হরমোনের প্রভাব কমতে শুরু করে। ফলে এনজাইটি এবং মানসিক অবসাদের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। এমনক স্ট্রেস লেভেলেও কমে তেমনি বারে বারে এনজাইটি এটাকের কবলে পড়ার আশঙ্কাও কমে।

মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধিতেঃ থানকুনি পাতা মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায় ।নিয়মিত থানকুনি পাতা খাওয়া শুরু করলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রিন্টাসিটিক ট্রাইটার পেন্স নামক একটি উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করে । যে কারনে ব্রেন সেলের ক্ষমতা এতটাই বেড়ে যায় যে স্মৃতিশক্তির উন্নতি তো ঘটেই , সেই সঙ্গে বুদ্ধির ধারও বাড়ে চোখে পড়ার মতো। 

এই কারণেই তো ছোট বাচ্চাদের থানকুনি পাতার রস খাওয়ানোর পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। বয়স্ক মানুষেরা যদি নিয়মিত থানকুনি পাতা রস খান তাহলে শেষ বয়সে অ্যালজাইমার্স বা ডিমন্সিয়ার মত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।

অনিদ্রার সমস্যাঃ অনিদ্রার সমস্যা দূর করতে ব্যবহৃত হয় থানকুনির পাতা । রাতে কি ঠিক মত ঘুম হয় না , তাহলে আজ থেকে খাওয়া শুরু করুন থানকুনি পাতা । দেখবেন উপকার মিলবে একেবারে হাতে নাতে। কারণ এতে রয়েছে একাধিক এন্টি অক্সিডেন্ট এবং এন্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান স্ট্রেস লেভেল কমায় সঙ্গে নার্ভাস সিস্টেমকে শান্ত রাখে। ফলে অনিদ্রার মত সমস্যা দূরে পালাতে সময় লাগবে না।

শরীরের টক্সিন নিরাময়েরঃ থানকুনি পাতা শরীরকে বিষমুক্ত করে। নানাভাবে আমাদের শরীরে প্রবেশ করা নানা ধরনের টক্সিক উপাদান কে যদি সময় থাকতে বের করে না দেওয়া হয় তাহলে কিন্তু চিন্তার বিষয়। কারণ এই ক্ষেত্রে সে সকল ক্ষতিকারক উপাদান গুলির কারণে দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে । 
এখন প্রশ্ন হল টক্সিক উপাদানদের শরীর থেকে বের করবেন কিভাবে ? এক্ষেত্রে ভরসা রাখতে পারেন থানকুনি পাতার উপরে। প্রতিদিন ঘুম থেকে ওঠা মাত্র দুই চামচ থানকুনি পাতার রসের সঙ্গে যদি এক চামচ মধু মিশিয়ে খাওয়া যায় তাহলে রক্তে মিশে থাকা টক্সিক উপাদান গুলি প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যায় । ফলে শরীরের কোন ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।

জ্বরের সমস্যাঃ জ্বরের প্রকোপ কমায় থানকুনি পাতা। সিজন চেঞ্জের সময় যারা প্রায় জ্বরের ধাক্কায় কাবু হয়ে পড়েন তাদের তো থানকুনি পাতা খাওয়া আবশ্যক । কারণ আয়ুর্বেদ শাস্ত্রেও উল্লেখ রয়েছে যে জ্বরের সময় এক চা চামচ থানকুনি এবং এক চামচ শিউলি পাতার রস মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে অল্প সময়ে জ্বর সেরে যায়। এর সঙ্গে শারীরিক দুর্বলতাও অনেকটাই কমে যায়।

ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণেঃ থানকুনি পাতা ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে । যাদের পরিবারে এমন জটিল রোগের ইতিহাস রয়েছে ত্রিশ প্রেরণা মাত্রা নিয়ম করে থানকুনি পাতা খেতে হবে। কারণ এতে উপস্থিত নানা উপকারী উপাদান রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। সেই সঙ্গে হার্টের দেখা ভালেও বিশেষ ভূমিকা রাখে।

 বিশেষ করে এথেটিকস ক্লেরোসিস, হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের মত রোগকে দূরে রাখতে এই প্রাকৃতিক উপাদানটির কোন বিকল্প হয় না বললেই চলে । তবে মাথায় রাখবেন যারা ইতিমধ্যে প্রেসারে ভুগছেন তারা থানকুনি পাতার খাওয়ার আগে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না যেন।

ওজন কমাতেঃ ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে থানকুনি পাতা। বেশি মাত্রা ক্যালোরি রয়েছে এমন খাবার এড়িয়ে চলার পাশাপাশি নিয়ম করে হাঁটাহাঁটি করলে এবং থানকুনি পাতা খেলে ওজন কমবে চোখে পড়ার মতো । কারণ নিয়মিত থানকুনি পাতা খেলে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। ফলে শরীরের মেদ জমার আসনকো আর থাকে না ।

চুলের যত্নেঃ চুলের যত্নে থানকুনি পাতার রস অনেক কাজে আসে। আপনার যদি চুল পড়ার সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে নিয়মিত থানকুনির কথা খেতে পারেন। কারণ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে থানকুনি পাতা সেবন করলে আমাদের স্কার্ফে স্কাল্পে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। ফলের চুল ঝরে পড়ার মাত্রা অনেক অংশে কমেতে থাকে। 
এছাড়াও চুল পড়া হার কমাতে এই পাতা থেত করে নিতে হবে তারপর এর সঙ্গে পরিমাণ মতো তুলসী পাতা ও আমলা মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। তারপর মিশ্রণটি চুলে ভালো করে লাগিয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। এরপর ভালো করে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে সপ্তাহে দুইবার স্কুলের পরিচর্যা করলে দেখবেন আপনার চুল পড়ার হার অনেক অংশে কমে গেছে।

ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেঃ ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে থানকুনি পাতা। থানকুনি পাতায় উপস্থিত থাকে অ্যামাইনো এসিড বিটা ক্যারোটি ন ও ফাইটো কেমিক্যাল যা আপনার ত্বক ভালো রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও ত্বকে বলিরেখা কম করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ফলে সহজেই আপনার ত্বকে উজ্জলতা বৃদ্ধি পায় সে সঙ্গে কম বয়সে ত্বকের গুঁড়িয়ে যার সম্মাননা কমে যায়। তাই আপনি যদি আপনার ত্বক ভালো রাখতে চান তাহলে নিয়মিত ভাবে থানকুনির পাতা সেবন করতে পারেন।

আমাশয়ের সমস্যায়ঃ থানকুনি পাতা আমাশয় এর মত সমস্যায় কাজে আসে । এ ক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিয়ম করে থানকুনি পাতা খেতে হবে। এমনটা টানা ৭ দিন যদি করতে পারেন তাহলে কেল্লাফতে । এই ধরনের সমস্যা কমাতে আরেকভাবেও থানকুনি পাতা কে কাজে লাগাতে পারেন, প্রথমে পরিমাণ মতো থানকুনি পাতা বেটে নিন তারপর সেই রসের সঙ্গে অল্প চিনি মিশন। তারপর প্রতিদিন এই মিশ্রণটি দিনে দুইবার খেলেই ফল পাবেন হাতেনাতে।

গ্যাস্ট্রিক সমস্যায়ঃ গ্যাস্টিক সমস্যা দূর করে থানকুনি পাতা ।অসময়ে খাওয়ার কারণে ফেসেছেন গ্যাস্ট্রিকের জালে no problem থানকুনি পাতা সংগ্রহ করুন ।তাহলেই দেখবেন সমস্যা একেবারে হাতের মধ্যে চলে আসবে । আসলে এক্ষেত্র একটা ঘরোয়া চিকিৎসার দারুন কাজে আসে কি সেই চিকিৎসা হাফ লিটার দুধে আড়াইশো গ্রাম মিশ্র এবং অল্প পরিমাণে থানকুনি পাতার রস একটি মিশ্রণ তৈরি করে ফেলুন । তারপর সেই মিশ্রণ থেকে অল্প অল্প করে নিয়ে প্রতিদিন সকালে খাওয়া শুরু করুন এমনটা এক সপ্তাহ করলে দেখবেন উপকার মিলবে।
ব্যথা নিরাময়ঃ আপনি যদি আপনার শরীরের কোথাও হঠাৎ করে ব্যথা পান তাহলে আপনি ব্যথার ওষুধ না খেয়ে এই ঘরোয়া ট্রিটমেন্টই করতে পারেন। সেটা হল আপনার বাড়ির আশেপাশে পাওয়া থানকুনি পাতা। প্রথমে আপনি দুই থেকে তিনটি থানকুনির পাতা সংগ্রহ করে ভালো করে ধুয়ে নিন। থানকুনি পাতার সাথে সামান্য পরিমাণ লবণ যোগ করে কুসুম কুসুম গরম করে আপনার ব্যথাযুক্ত স্থানে লাগিয়ে দেন। এভাবে আপনি দিনে দুইবার ব্যবহার করবেন। দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করলে আপনি ফলাফল পাবেন হাতে না।

থানকুনি পাতা খাওয়ার সতর্কতা

থানকুনি পাতা খাওয়ার ক্ষতিকর দিক বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক দুই চামচ থানকুনি পাতার রস বা অল্প করে কাঁচা থানকুনি পাতা খেলেও কোন ক্ষতি হয় না কিন্তু বেশি পরিমাণে খেলেই বিপদ সে ক্ষেত্রে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন
  • পেটে মারাত্মক যন্ত্রণা দেখা দিতে পারে ।
  • মাথা ঘোরার মত সমস্যাও দেখা দিতে পারে ।
  • চুলকানি এবং এলার্জি রিএকশন হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
  • হঠাৎ করে রক্তচাপ কমে যাওয়ার মত ঘটনাও ঘটতে পারে।
  • যারা হেপাটাইটিস বা অন্য কোন লিভারের রোগে ভুগছেন তাদের থানকুনি পাতা খাওয়া উচিত খাওয়া উচিত নয়।
  • আগামী দু সপ্তাহে যদি কোন অপারেশন থাকে তাহলে থানকুনি পাতা এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।
  • প্রেগনেন্সি অবস্থায় থানকুনি পাতা খাওয়া উচিত নয়।

থানকুনির পাতা খাবার নিয়ম

সকালে খালি পেটে ফানকুনি পাতার রস খেতে পারে। অথবা পাঁচ থেকে ছয়টি থানকুনি পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি সমান উপকারিতা পাবেন। যদি ডায়াবেটিস না থাকে তাহলে এক চামচ মধু সঙ্গে খেতে পারেন।

শেষ কথাঃ থানকুনি পাতার ১৭টি উপকারিতা ও খাবার নিয়ম।

আর্টিকেলটি যদি আপনি উপকৃত হন তাহলে আপনার নিকটস্থ বন্ধুদের নিকট শেয়ার করুন। এবং অবশ্যই মতামত জানাতে ভুলবেন না। কারণ আপনার মন্তব্যয় ভবিষ্যতে আমাদের আরো আরো নিত্য নতুন বিষয় নিয়ে লিখার অনুপ্রেরণা পায় ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরিফুল প্লাস এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url