ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা

ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা সম্পর্কে জানতে হয়তো অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু সঠিক তথ্য পাননি। আশা করি এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে মোবাইল কে আবিষ্কার করেন কত সালে ,উপকারিতা ও অপকারিতা ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতাএবং ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাবেন ।

ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা সম্পর্কে যথেষ্ট পরিমাণ তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আশা করি আপনি উপকৃত হবেন ল

মোবাইল কে আবিষ্কার করেন কত সালে

আমরা বর্তমান সময়ে যে ,ফোন ব্যবহার করছি ,তার আবিস্কার সম্পর্কে আমাদের তেমন কোন ধারনাই নাই। চলুন আমরা এখন মোবাইল ফোন আবিস্কার বিষয়ককিছু তথ্য জানার চেষ্টা করি। মোবাইল আবিস্কার করেন একজন আমেরিকান ইঞ্জিনিয়ার। তিনি সেই সময়ে “মোটোলা” একটি ছোট কম্পানিতে চাকুরী করতেন। তার নাম হল “ মার্টিনকুপার”। 

তিনি ৩ এপ্রিল ১৯৭৩ সালে প্রথম মোবাইল ফোন আবিস্কার করেন। মার্টিন কুপারের নেতৃত্বে ২০-৩০জনের একটি দল ৩০ দিনের মধ্যে মোবাইল ফোন তৈরি করেন। মোবাইল ফোনে প্রথম কথা বলেন মার্টিন কুপার তৎকালীন সময়ে তার প্রতিদ্বন্দ্বী Dr. Joel S. Engel এর সাথে। তৎকালীন সময়ের মোবাইলের গঠন সম্পর্কে জানলে আপনি অবাক হবেন। 

প্রথম ফোনটি ছিল ১০ ইঞ্চি লম্বা , ২ইঞ্চি চওড়া এবং ৪ ইঞ্চি মোটা। ওজন ছিল প্রায় ২ কেজি। আবিস্কৃত মোবাইল ফোনটি দিয়ে ৩০ মিনিট কথা বলার জন্য ১০ ঘন্টা চার্জ দিতে হত। সেই সময় মোবাইলে মাত্র ৩০ টি নাম্বার স্টোর করা যেত। মোবাইল ফোন আবিস্কারের ১০ মাস পর " Motorola Dyna TAC 8000X" মডেলের মোবাইলটি প্রথম সর্ব সাধারণের জন্য বাজার জাত করা হয়। সেই সময়ে মোবাইল ফোনটির দাম শুনলে আপনি তো অবাক হয়ে যাবেন । মোবাইলটির দাম ছিল প্রায় ২,৯৫,৬০০/০০টাকা।

মোবাইল ফোনের ব্যবহার

মোবাইল ফোন এই ছোট শব্দটা বহুল পরিচিত একটা শব্দ। বাচ্চা থেকে বুড়ো মোবাইল শব্দটি শুনে নাই এমন মানুষ খুজে পাওয়াই মুশকিল। যে বলবে আমি মোবাইল শব্দটি শুনি নি। সে আসলে পৃথিবী নামক গ্রহেরমানুষই না। দৈনন্দিন জীবনে মোবাইলের ব্যবহার বলে শেষ করা মুশকিল। চলুন মোবাইল ফোনের কয়েকটা ব্যবহার যানা যাক।
  • বিনোদন
  • ছবি ও ভিডিও
  • ক্ষুদে বর্তা প্রেরণ ও গ্রহণ
  • ঘড়ির সময় দেখা
  • গেমস খেলা
  • ইন্টারনেট ব্যবহার
  • কথা রেকর্ড করা
  • ট্রেনের টিকেট বুকিং করা
  • যোগাযোগের মাধ্যম
  • লাইভ টিভি
  • মোবাইল দিয়ে ইনকাম
  • অনলাইন শপিং
  • খবর দেখা ও পড়া
  • চিকিৎসা বিষয়ক তথ্য জানতে
  • টর্চলাইট
  • মোবাইল ব্যাংকিং
  • জিপিএস
  • শিক্ষা ও গবেষণায়
  • ক্যারকুলেটর হিসাবে
  • বর্তমানে ছোট বাচ্চাদের কান্না থামাতে ও খাবার খাওয়াতে মোবাইলের জুড়ি মেলা ভার। মোবাইল ফোনের উপকারিতা

মোবাইলের উপকারিতা

মোবাইল ফোন প্রায় প্রতিটা মুহূর্তে আমাদের সাথে জোড়িয়ে আছে। এটি ছাড়া আমাদের চলা খুব মুশকিল হয়ে গেছে । মুশকিলটা প্রায় প্রতিটা ক্ষেত্রে । যেমন শিক্ষা, বিনোদন, লোকেশন, কোন কিছু খোজা ইত্যাদি ক্ষেত্রে মোবাইল খুবই উপকার করে। আসুন এক্ষণ আমরা মোবাইল  আবিষ্কার কারার ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা উপকৃত হচ্ছি তা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি।

যোগাযোগের মাধ্যমঃ একজনের সাথে অপর একজনের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা বা সুসম্পর্ক গড়ে তুলার প্রধান মাধ্যম হলো যোগাযোগ করা। এখন এই সম্পর্ক মজবুত করার হাতিয়ার হিসাবে কাজ করছে মোবাইল ফোন। মোবাইল সবার কাছে পৌছানোর আগে মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম ছিল চিঠি। চিঠির মাধ্যমে যোগাযোগ করতে অনেকটা সময় লাগত। 

কিন্তু মোবাইল ফোন আসায় যোগাযোগ মাধ্যমটা কুবই সহজ হয়ে গেছে। এখন আমরা চাইলেই কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে এক এলাকা থেকে আর এক এলাকা, এক শহর থেকে আর এক শহর , এক দেশ থেকে আর এক দেশে যোগাযোগ করতে পারছি। আমাদের মনের ভাব প্রকাশ করতে পারছি। তাহলে বুঝতেই পারছের যোগাযোগের ক্ষেত্রে মোবাইল কতটা গুরুত্ব বহন করছে।

তথ্য আহরণে মোবাইল ফোনঃ আমরা মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। আমরা সাধারনত স্বভাবগত ভাবেই প্রতি নিয়ত অজানাকে জানতে চােই ,অচিনাকে চিনতে চাই। আর এই অজানা ও অচিনাকে জানতে হলে অনেক বই পুস্তক ,নথিপত্র ঘাটাঘাটি করা লাগত ।এতে করে অজানা তথ্য এর সাথে সাথে অন্য তথ্যও জানা হত, কিন্তু সময় লাগত অনেক। 

অপর দিকে বর্তমানে মোবাইলের যুগে যে কোন তথ্য জানা কয়েক মুহুর্তের ব্যাপার। শুধু মাত্র আমরা যে তথ্যটা জানতে চাই সেটা যেকোন সার্চ ইঞ্জিনে লিখে সার্চ দিলেয় কাজ শেষ । আপনার সামনে চলে আসবে এক বিরাট তথ্য ভান্ডার। তাহলে বুঝতেই পারছেন বিভিন্না তথ্য আরোহণের ক্ষেত্রে মোবাইল ফোন কতটা সহায়ক।

শিক্ষার ক্ষেত্রে মোবাইলফোনঃ বর্তমান সময়ে শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি অতি প্রয়েঅজনীয় বস্তু হয়ে পড়েছে মোবাইল ফোন। কোরণা কালীন সময়ে তার প্রমাণ আমরা পেয়েছি। সেই সময় সকলের বাইরে বের হওয়া নিষেধ ছিল ,কিন্তু তবুও শিক্ষা ব্যবস্থা থেমে থাকেনি। সকল ছাত্র ছাত্রিগণ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অনলাইনে লাইভ ক্লাস করেছে । এত করে তারা বিশেষ ভাবে উপকৃত হয়েছে
 
বর্তমান সময়ে শিক্ষকগণ তাদের মেধা থেকে শিক্ষার পরও অতিরিক্ত তথ্য জানানোর জন্য মোবিাইল ফোন ব্যবহার করছেন। এরত করে শিক্ষার্থীগণ অনেক অজানা তথ্য জানতে পারছে। কোরণা কালনি সময়ে তো মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ঘরে বসেই চলেছে অফিস আদালতের বিভিন্ন কাজ কর্মগুলো।

ভিডিও করা ও ছবি তোলায় মোবাইল ফোনঃ অফিস আদালতে ,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছবি প্রয়োজন হয় । পূর্বে আমাদের ছবি তোলার জন্য অনেক বিড়ম্বনায়পড়তে হতো। ছবি তোলা মানেই ছিলবাড়তি টেনশন। অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে আমাদের বিভিন্ন স্টডীওতে গিয়ে ছবি তুলতে হত।কিন্তু বর্তমান সময়ে হ্যাঁ হ্যাঁ ছবি মানে জাস্ট একটা ক্লিক ছবি আপনার কাছে রেডি। এটা কিভাবে সম্ভব হলো ,বুঝলেন কি ? মোবাইল ফোন দিয়ে। এছাড়াও বিভিন্ন আনন্দ ঘন মুহুর্তগুলো মোবাইলের মাধ্যমে ভিডিও করতে মোবাইরের জুড়ি মেলা ভার।

জিপিএস সুবিধায় মোবাইল ফোনঃ বর্তমানে জিপিএস সিস্টাম আমদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ছাপ ফেলেছে। কোন জায়াগা, রেষ্টুরেন্ট , ক্লিনিক , বিল্ডিং আপনি চিনেন না । আপনার কাছে একটা মোবাইল ফোন আছে নো-টেনশন। কারণ বর্তমান সময়ে সকল ফোনে জিপিএস সিস্টাম থাকে ।আপনি আপনারা ফোনের গুগল ম্যাপস Apps এর মাধ্যমে জিপিএস সিস্টাম চালু করে যে কোন জায়াগা, রেষ্টুরেন্ট , ক্লিনিক , বিল্ডিং অতি সহজেই খুজে বের করতে পারেন।

ব্যবসা-বানিজ্যের ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনঃ যেখানে প্রায় সকল ক্ষেত্রে মোবাইলের ছোয়া আছে ,সেখানে ব্যবসা-বানিজ্য সেক্টরটা বাদজাবে এটা কি ভাবা যায়।ভাবা জাইনা , ব্যবসা-বানিজ্য ক্ষেত্রেও মোবাইলের ব্যবহান গুরুত্বপূর্ণ। মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করে ব্যবসা-বানিজ্য বিষয়ে বিবিন্ন তথ্য জানা যায়। এখন কোন ব্যবসাটা শুরু করব ,কিভাবে করব, কি কি উপকরণ লাগনে , কোন দিকটা ভাল করে নজর দিতে হবে ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে আমরা মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করে জানতে পারি। মোবাইলে ইন্টরনেট ব্যবহার করে অনলাইন বিজনেস তো এখন খুবই পরিচিত একটা সেক্টর হয়ে গেছে।

ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা

একটা জিনিসের যে শুধু উপকারিতা থাকবে অপকারিতা থাকবে না এটা ভাবা যায়। ভাবাই জাইনা আসুন এক্ষন আমরা ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা জেনে নিই।

চোখের সমস্যাঃ চোখ আমাদের একটি অমূল্য সম্পদ। কিন্ত আমরা এখন বিভিন্ন ভাবে এই সম্পদের ব্যাপক ভাবে ক্ষতি সাধন করছি। মোবাইল ফোন তাদের মধ্যে অন্যতম। মোবাইল ফোন থেকে এক প্রকার নীল রশ্মি বের হয় , যা আমাদের চোখের রেটিনার ক্ষতি সাধন করে। চক্ষুবিদদের মতে অতিরিক্ত মোবাবলি ফোনের ব্যবহার দৃষ্টিহীনতার কারণ হতে পারে। 

তাই আমাদের সকলে স্ক্রিন ফন্ট সাইজ বড় করে, চোখ থেকে ১৬ ইঞ্চি দূরে রেখে এবং একটু পর পর ২০ সেকেন্ড এর জন্য স্ক্রিন থেকে দৃষ্টি সরিয়ে সবুজ প্রকৃতির দিকে তাকালে এই সমস্যা অরনকটা কমানো সম্ভব । আসুন আমরা সবাই নিয়ম মেনে এবং মোবাইলের স্ক্রিনের আলো কমিয়ে মোবাইল ফোন ব্যবহার করি।

কানের সমস্যায় মোবাইল ফোনঃ কানের শ্রবণ ক্ষমতা আল্লাহর এক অসাধারণ নিয়ামত। যার শুকরিয়া করে আমরা শেষ করতে পরবনা । কিন্তু আমরা বিভিন্ন ভাবে নির দিধায় কানের ক্ষতি করছি। বর্তমান সময়ে কানের ক্ষতি করার পেছনে দায়ী মোবাইল ফোন। কানে হেড ফোন লাগিয়ে গান শুনা , একটা লম্বা সময় ধরে ফোনে কথা বলার ফলে অন্তকর্ণের উপর চাপ বড় । 

এভাবে ক্রমাগত চাপের ফলে কানের শ্রবণ ক্ষমতা হারানোর ভয় থাকে। তাছাড়া কানে হেডফোন দিয়ে গান শুনে ড্রাইভ করলে দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। তাই আসুন আমরা কানের যত্ন নিয়।

শুক্রাণু কমে যেতে পারেঃ আপনি হয়ত কথাটা শুনে অবাক হয়ে গেছেন। মনে করছেন মোবাইল ফোন আবার কি করে শুক্রাণু কমাতে পারে। গবেষকদের মতে , মোবাইল ফোন থেকে হাই ফ্রিকোয়েন্সির ইলেকট্রোম্যাগনেটি রেডিয়েশন নির্গত হয় , যা ক্যান্সারের কারণ হতে পরে। গবেষকদের মতে এই হাই ফ্রিকোয়েন্সির ইলেকট্রোম্যাগনেটি রেডিয়েশন শুক্রাণুর উপর প্রভাব ফেলতে পারে। যার ফলে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যেতে পারে। তাই আসুন মাত্রাতিরিক্ত মোবাইলফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকি।

ডিপ্রেশনে ভোগাঃ ডিপ্রেশন যুবসমাজের মধ্যে একটা কমন সমস্যা। আমরা এখন রাত জেগে মোবাইল ফোন ব্যবহার করি ,ফলে আমার শরীরের জন্য প্রয়োজনী ৪-৬ ঘন্টা ঘুম হয় না। এত করে আমারে ব্রেনের উপর চাপ পড়ে, স্বাস্থ্য গত বিভিন্ন সমস্যা হয় ।ফলে আমরা একধরনে ডিপ্রেশনে ভুগি।

পড়াশোনার জন্য ক্ষতিকর মোবাইল ফোনঃ মোবাইল ফোন এমন একটা জাদুর জিনিস , যেটা হতে পেলে বড় বড় মানুষেরও কোন কিছুই মনে থাকে না । তাহলে ভাবুন তো কোমল মতি শিক্ষার্থীদের কি অবস্থা হবে। তারা মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে পড়ে। তারা বই নিয়ে বসে ঠিকই , কিন্তু পড়ে না । 

বই এর মধ্যে মোবাইল নিয়ে , পড়ার ভান করে মোবাইল দেখে। ফলে পড়াশোনার ব্যাপক ক্ষতি হয়। পড়াশোনার উপর মনোযোগ থাকে না। তাই আমদের অভিভাকদের এই দিকে নজর রাখা উচিত, যেন বাচ্চারা যেন মোবাইল আসক্ত হয়ে না পড়ে।

সময়ের অপচয়ঃ আমরা বাঙালিরা সময়ের মূল্য সম্পর্কে উদাস। আমরা প্রচুর সময় অপচয় করি। আর বর্তমানে সময় অপচয়ে ব্যাপক হারে সহায়ত করছে মোবাইল ফোন। আমরা অনেকেই আছি ,যারা ঘন্টার পর ঘন্টা মোবাইল ফোন নিয়ে পড়ে থাকি। সময়ের সম্পর্কে কোন ধারনাই নাই। ফলে সময়ের কাজসেময়ে শেষ করতে পারি না। তাই আমরা অনর্থক মোবাইলের ব্যবহার কম করি এবং সময়ের কাজ সময়ে করি।

হার্টের সমস্যাঃ গবেষকদের মতে , মোবাইল ফোন থেকে হাই ফ্রিকোয়েন্সির ইলেকট্রোম্যাগনেটি রেডিয়েশন নির্গত হয় ।মোবাইলের উচ্চ শব্দ ও হাই ফ্রিকোয়েন্সির ইলেকট্রোম্যাগনেটি রেডিয়েশন যা হার্টের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। সেইজন্য বয়স্কদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে।

মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক

মোবাইল  আবিষ্কার বর্তমান সময়ের যুগান্তকারী আবিষ্কার। কিন্তু যেকোন জিনিস ব্যবহারের একটি নিয়ম আছে । নিয়মের বাইরে বা অতিরিক্ত ব্যবহার করলে নানা রকম ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। আসুন আমরা জানার চেষ্টা করি মোবাইলফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক।
  •  স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে মোবাইল ফোন।
  •  সম্পর্কে উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে মোবাইল ফোন।
  •  মোবাইল ফোনের উপর নির্ভরতা ও আসক্তি বাড়ে।
  •  ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার ঝুকি বাড়ায়মোবাইল ফোন।
  •  মূল্যবান সময় নষ্ট করেমোবাইল ফোন।
  •  পর্নো আসক্ত করে তুলতে পারেমোবাইল ফোন।
  •  লেখাপড়ায় মনযোগ নষ্ট করতে পারে মোবাইল ফোন।
  •  মেজাজ খিটখিটে করতে পরে মোবাইল ফোন।
  •  অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারে ঘাড় ব্যথা হতে পারে।

মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায় 

মোবাইল বিভিন্ন উপকারিতা থাকার সাথে সাথে রয়েছে মারাত্নক কিছু ক্ষতিকর দিক । এই ক্ষতিকর দিক থেকে আমাদের বাচতে হলে মোবাইল ব্যবহার সীমিত করতে হবে, রাস্তাঘাটে চলাচলের সময় মোবাইল ব্যবহারের ব্যাপারে সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে, ব্যাক্তিগত তথ্যাদি অন্যদের সাথে শেয়ার করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে ,অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন বন্ধ করতে হবে।চলুন এখন আমরা জেনে নেই মাত্রাতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারে আমাদের যে সকল ক্ষতির সম্মখীন হতে হয় তা থেকে বাচার উপায়।

মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচতে যা করতে হবেঃ

*মোবাইল থেকে হাই ফ্রিকোয়েন্সির ইলেকট্রোম্যাগনেটি রেডিয়েশন নির্গত হয়। যেটা আমাদের জন্য মারাত্নক ক্ষতিকর। তাই আমাদের মোবাই েফোন কেনার সময় মোবাইলের এসএআর ভলিউম চেক করে নিতে হতে।
  • আমরা অপ্রয়োজনে মোবাইল ফোন ব্যবহার করি। এই অপ্রয়োজনে মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময়সীমা করতে হবে । অথবা আপনি একটি টাইম টেবল তৈরি করতে পারেন।
  •  রাস্তাঘাটে চলাচলে বা পারাপারের সময় মোবাইল ফোন ব্যবহারের অভ্যাস পরিহার করতে হবে।
  • নানা রকম সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহন করার মধ্যমে আপনার মোবাইল ব্যবহার কমাতে পারেন।
  • আপনি মোবাইলের পেছনে সময় অপচয় না করে যেকোন সৃজনশীল কাজ করতে পারেন।
  • মোবাইলের একটা বড় সমস্যা হলো নোটিফিকেশন।আপনার উচিত এই নোটিফিকেশন গুলো বন্ধ রাখা।
  •  আমরা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের ব্যক্তিগত তথ্যগুলো শেয়ার করার ক্ষেত্রে যত্নশীল না। এদিকে আমাদে নজর দিতে হবে এবং সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্টগুলো তে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে।
  • একটানা দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যাবে না ।বিরতি দিয়ে দিয়ে অল্প সময় ধরে ফোন ব্যবহার করতে হবে।
মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচতে যা করতে আপনি আমি যদি মোটামোটি উপরক্ত দিকগুলো মেনে চলি তাহলে আমরা মোবাইল আসক্তি থেকে ‍মুক্তি পাব ।

শেষ কথাঃ ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা

আপনি আপনার সময় অপচয় করে মোবাইল কে আবিষ্কার করেন এই তথ্য চেনেছেন। মোবাইল  আমাদের জীবনের অমূল্য সম্পদ । সময় একবার চলে গেলে আর আসে না। তাই আসুন আমরা মোবাইলের আসক্তি কমাই , আমাদের পরিবারের সাথে সময় দিয় , সুসম্পর্ক গড়ে সুন্দর আনন্দময় জীবন কাটায়।

এই পোস্টটি পড় যদি আপনি উপকৃত হন , তবে শেযার করুন ও আপনার বন্ধুদেরকে পড়ার জন্য বলু।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরিফুল প্লাস এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url