আর এস খতিয়ান অনুসন্ধান ও ডাউনলোড করার নিয়ম
২টি নিয়মে আরএস খতিয়ান অনলাইন চেকবর্তমান সময়ে আপনাকে আরএস খতিয়ানের জন্য কোথাও দৌড়াদৌড়ি বা ছোটাছুটি করা লাগবে না। আপনি ঘরে বসেই যদি আপনার আর এস খতিয়ান বা আরএস দাগ নাম্বার জানা থাকে তাহলে আপনি অনায়াসেই আরএস খতিয়ান এবং খতিয়ান সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য জানতে পারবেন।
সাধারণত তিনটি নিয়মে আপনি আর এস খতিয়ান চেক করতে পারবেন প্রথমত আপনি যদি আরএস খতিয়ানটি জানেন তাহলে দ্বিতীয়ত আপনি যদি ওই খতিয়ানের যেকোনো একটি দাগ নাম্বার জানেন তাহলে অথবা ওই খতিয়ানটি যে ব্যক্তির নামে সে ব্যক্তির নাম নির্ভুলভাবে জানা থাকে। এখানে আমরা খতিয়ান নাম্বার এবং দাগ নাম্বার দিয়ে খতিয়ান অনুসন্ধানের নিয়মগুলো দেখাবো।
খতিয়ান কি
মৌজা ভিত্তিক এক বা একাধিক ভূমি মালিকের ভু-সম্পত্তির বিবরণ সহ যে ভূমি রেকর্ড জরিপকালে প্রস্তুত করা হয় তাকে খতিয়ান বলে।খতিয়ানের জমির মালিকের নাম প্রজন্ম দাগ নাম্বার খতিয়ান নাম্বার জমির পরিমাণ প্রকৃতি খাজনার হার ইত্যাদি তথ্য থাকে। আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের খতিয়ানের প্রচলন রয়েছে এগুলোর মধ্যে সর্বজন স্বীকৃত খতিয়ান নাম্বার হচ্ছে আর এস খতিয়ান। খতিয়ান হলো জমির মালিকানা ও ব্যবহারের বিস্তারিত তথ্য সংক্রান্ত একটি সরকারি দলিল। যেটি বাংলাদেশ সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত।
খতিয়ানের প্রকার ভেদ
বাংলাদেশের সাধারণত চার ধরনের খতিয়ানের প্রচলন রয়েছে। যথা
- সিএস খতিয়ান
- এস এ খতিয়ান
- আরএস খতিয়ান
- বিএস খতিয়ান
সিএস খতিয়ান
ব্রিটিশ শাসনামলে 1940 সালে সর্বপ্রথম ভূমি জরিপ করে যে খতিয়ান প্রস্তুত করা হয় তাকে সিএস খতিয়ান বলে। সে সময় সরকারে আমিন গন প্রতিটি ভূমি পরিমাপ করে তার পরিমাণ অবস্থান মৌজার নকশা এবং মালিক বা দখল করে বিবরণ সংবলিত খতিয়ান তৈরি করা হয়। এটি হলো সিএস খতিয়ান যেটি বাংলাদেশের সবচাইতে প্রাচীন খতিয়ান।
এস এ খতিয়ান
ভারত উপমহাদেশ বিভাগের পরে ১৯৫০ সালে জমিদারি অধিগ্রহ ও প্রজাতন্ত্র আইন পাশের পর সরকার জমিদারি অধিগ্রহণ করে। ১৯৫৬ সালে তৎকালীন পাকিস্তানের সরকারের অধীনে সিএস খতিয়ান সংশোধন করে নতুন একটি খতিয়ান তৈরি করা হয়। এই খতিয়ান কি খতিয়ান বলে।
আর এস খতিয়ান
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে ১৯৭০ সালে পাকিস্তানি সরকার কর্তৃক প্রদত্ত এস এ খতিয়ানের ভুলগুলো সংশোধন করার লক্ষ্যে একটি জরিপ করা হয়। জরিপ করে একটি নতুন খতিয়ান নিরূপণ করা হয় এই খতিয়ানকে আরএস খতিয়ান বলে। এ আর এস খতিয়ান বাংলাদেশে সর্বজন গৃহীত খতিয়ান নামে অভিহিত।
বিএস খতিয়ান
1998 সাল থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ে পর্যন্ত চলমান ভুমি জরিপ থেকে প্রস্তুতকৃত নথি বা তথ্যকে বিএস খতিয়ান বলা হয়। ১৯৯৮ সালে ঢাকার মহানগর থেকে যদি শুরু হয়। বর্তমান সময়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই ভূমি জরিপ চলমান রয়েছে এবং এই ভূমি জরিপের মাধ্যমে বিএস খতিয়ান প্রস্তুত হচ্ছে।
আর এস খতিয়ান অনুসন্ধান ও ডাউনলোড করার নিয়ম
আপনি যদি ঘরে বসে থেকে আপনার আর এস খতিয়ানটি দেখতে চান তাহলে আপনার যে সকল তথ্যগুলো জানা প্রয়োজন। সেগুলো হলো।
- বিভাগের নাম
- জেলার নাম
- উপজেলার নাম
- খতিয়ানের ধরন
- মৌজার নাম
- আর এস খতিয়ান নাম্বার বা দাগ নাম্বার বা জমির মালিকের নাম ( নির্ভুলভাবে)।
আর এস খতিয়ান অনুসন্ধানের পদ্ধতি
আপনি যদি আপনার আর এস খতিয়ানটি দেখতে চান তাহলে আপনাকে যে তথ্যগুলো জানা প্রয়োজন সেগুলো আমরা উপরে উল্লেখ করেছি। আপনার যদি সকল তথ্য জানা থাকে তাহলে আপনw w land.gov.bd.com ওয়েবসাইট বা কি পর্চা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। তারপর সেখান থেকে সার্ভে খতিয়ান সিলেক্ট করার পর আপনার কাছে কিছু তথ্য নিচে নির্বাচন করতে বলবে ।
সে সমস্ত সে সমস্ত তথ্য ফিলাপ করে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত খতিয়ানটি বিষয় বিস্তারিত দেখতে পারবেন। এছাড়া আপনার জন্য অনলাইনে খতিয়ানটি ডাউনলোড করতে চান তাহলে আপনাকে বিকাশ নগদ রকেট এক কথা যেকোনো মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পরিশোধ করে আপনি সেটা ডাউনলোড করে প্রিন্ট আউট করতে পারবেন।
খতিয়ান অনুসন্ধানের ধরন
আপনি সাধারণত তিনভাবে আপনার কাঙ্খিত খতিয়ানটি অনুসন্ধান করতে পারবেন। প্রথমত আপনার যদি খতিয়ান নাম্বারটি জানা থাকে তাহলে তো কোন সমস্যাই নেই অতি সহজে আপনি আপনার কাঙ্খিত খতিয়ান সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। এখন আপনার যদি খতিয়ান নাম্বার না জানা থাকে শুধু দাগ নাম্বার জানেন । আপনি খতিয়ান নাম্বার দেখতে চাচ্ছেন ।
তাহলে আপনি অতি সহজেই দাগ নাম্বার দিয়ে আপনি খতিয়ান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন এছাড়াও আপনি যদি খতিয়ানের মালিকের নাম নির্ভুলভাবে জানে সেক্ষেত্রে সেক্ষেত্রেও আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত আর এস খতিয়ানটি বিষয়ে জানতে পারবেন কিংবা অনলাইন কপি প্রিন্ট আউট করতে পারবেন। এখন আমরা দুই ভাবে খতিয়ান চেক করার নিয়ম সম্পর্কে জানব। প্রথম মত আর এস খতিয়ান নাম্বার দিয়ে অনুসন্ধান দ্বিতীয়তঃ আরএস দাগ নাম্বার দিয়ে খতিয়ান অনুসন্ধান।
আর এস খতিয়ান নাম্বার দিয়ে অনুসন্ধান
আপনার যদি খতিয়ান নাম্বার জানা থাকে , তাহলে আপনি অতি সহজেই আপনার খতিয়ানটি চেক করতে পারবেন তাহলে চলুন জানা যাক।
দ্বিতীয় ধাপ: আপনি যদি www.land.gov.bd.com সার্চ দিয়ে থাকেন তাহলে একটা পেজ আপনার সামনে ওপেন হবে। সেখান থেকে আপনি eporcha.gov.bd অথবা ই পর্চা যেকোনো একটাতে ক্লিক করুন। আর যদি আপনি সরাসরি eporcha.gov.bd অথবা ই পর্চা লিখে সার্চ দেন তাহলে আপনাকে আপনার কাঙ্খিত পেজে নিয়ে চলে যাবে।
তৃতীয় ধাপ: এবার আমরা সামনে যে পেজটি উপস্থিত হবে সেখান থেকে সার্ভে খতিয়ান সিলেক্ট করুন। তারপর আপনার সামনে বেশ কিছু আসবে সেটা হল আপনার বিভাগ, জেলা, উপজেলা, খতিয়ানের ধরন ,মৌজা নং, এবং খতিয়ানের তালিকা।
চতুর্থ ধাপ: উপরে উল্লেখিত পেজটিতে আপনি আপনার বিভাগ আপনার জেলা আপনার উপজেলা আপনার যে ধরনের খতিয়ান দেখতে চাচ্ছেন সেটি সিলেক্ট করুন। আমরা এখানে আর এস খতিয়ান দেখব তাই আর এস সিলেক্ট করব তারপর আপনার মৌজা নং এবং সর্বশেষ হচ্ছে আপনার খতিয়ানের তালিকা তে আপনার যে খতিয়ানটি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন সেই খতিয়ান নাম্বারটি লিখুন।
পঞ্চম ধাপ: এবার সকল কিছু তথ্য পূরণ করা হয়ে গেলে আপনি এবার খুঁজুন বাটুলে চাপ দিন। চাপ দিলে আপনার সামনে দেখতে পাবেন যে ওই আর এস খতিয়ানটি যার নামে চলছে বা প্রচলিত আছে সেটা দেখতে পাবেন।
ষষ্ঠ ধাপ: এবার এই ফলাফলের উপরে আপনি ডাবল প্রেস বা ডাবল ক্লিক করলে আপনি আর এস খতিয়ান সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য জানতে পারবেন যেমন ওই খতিয়ানটিতে কোন কোন দাগ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, দাগগুলোর শ্রেণী কি , দাগগুলোতে জমির পরিমাণ। যদি আপনি সকল তথ্যগুলো দেখতে না পান তাহলে আপনাকে অনলাইনে আর এস খতিয়ানটির জন্য আবেদন করে ডাউনলোড করতে হবে।
দাগ নাম্বার দিয়ে আর এস খতিয়ান অনুসন্ধান
আমাদের দেশ এখন কতটা উন্নত হয়ে গেছে ভাবুন একবার। আপনি যদি আপনার খতিয়ান নাম্বারটি ভুলে যান শুধু আপনার দাগ নাম্বারটি মনে থাকে তাহলে আপনি আপনার খতিয়ান নাম্বারটি অনায়াসে বের করতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নেই দাগ নাম্বার দিয়ে খতিয়ান বের করার নিয়ম।
আরো পড়ুন ঃ ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকায় 15টি ফল ও সবজি
প্রথম ধাপ: www.land.gov.bd.com অথবা eporcha.gov.bd অথবা ই পর্চা লিখে গুগলে সার্চ দিন।
দ্বিতীয় ধাপ: আপনি যদি www.land.gov.bd.com সার্চ দিয়ে থাকেন তাহলে একটা পেজ আপনার সামনে ওপেন হবে। সেখান থেকে আপনি eporcha.gov.bd অথবা ই পর্চা যেকোনো একটাতে ক্লিক করুন। আর যদি আপনি সরাসরি eporcha.gov.bd অথবা ই পর্চা লিখে সার্চ দেন তাহলে আপনাকে আপনার কাঙ্খিত পেজে নিয়ে চলে যাবে।
তৃতীয় ধাপ: এবার আমরা সামনে যে পেজটি উপস্থিত হবে সেখান থেকে সার্ভে খতিয়ান সিলেক্ট করুন। তারপর আপনার সামনে বেশ কিছু আসবে সেটা হল আপনার বিভাগ জেলা উপজেলা খতিয়ানের ধরন মৌজা নং এবং খতিয়ানের তালিকা।
চতুর্থ ধাপ: উপরে উল্লেখিত পেজটিতে আপনি আপনার বিভাগ আপনার জেলা আপনার উপজেলা আপনার যে ধরনের খতিয়ান দেখতে চাচ্ছেন সেটি সিলেক্ট করুন। আমরা এখানে আর এস খতিয়ান দেখব তাই আর এস সিলেক্ট করব তারপর আপনার মৌজা নং এবং সর্বশেষ হচ্ছে আপনার খতিয়ানের তালিকা এখানে নিচের দিকে দেখতে পাবেন অধিকতর অনুসন্ধান। চাপ দিলে বা ক্লিক করলে আপনি মালিকের নাম বা দাগ নাম্বার অপশন দেখতে পাবেন। এখানে আপনি যে দাগ নাম্বারের তথ্য জানতে চাচ্ছেন সেই দাগ নাম্বারটি লিখুন।
পঞ্চম ধাপ: আপনার দাগ নাম্বারটি লিখা হয়ে গেলে এবার খুঁজুন বাটুলে চাপ দিন। চাপ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার সামনে খতিয়ান নাম্বার সহ ঐ কথাটি কার নামে প্রচলিত সেটা দেখতে পাবেন। এখন তো আপনার খতিয়ান নাম্বারটি জানা হলো এখন যদি আপনি আরো জানতে চান যে উক্ত খতিয়ানে আরো কোন কোন দাগ অর অন্তর্ভুক্ত আছেন তাহলে আপনি ডাবল চাপ বা ক্লিক করুন তাহলে আপনার সামনে বিস্তারিত তথ্য চলে আসবে।
উল্লেখ সহজে আপনি একই ভাবে বা একই ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনা কারো নাম দিয়েও খতেন নাম্বার চেক করতে পারবেন। বিশেষভাবে মনে রাখবেন যে আপনি যার নামে খতিয়ান নাম্বার বের করতে চাচ্ছেন তার নামটি সঠিকভাবে লিখতে হবে কোন ধরনের সমন্বয় ভুল হলেও আপনি সেটা দেখতে পাবেন না।
আর এস খতিয়ান ডাউনলোড করার নিয়ম।
আপনার যদি অনলাইনে ডাউনলোড করতে চান তাহলে আপনার যে তথ্যগুলো জানা প্রয়োজন সেগুলো হলো।
- আপনার এনআইডি কার্ডের নাম্বার
- আপনার জন্ম তারিখ
- ইংরেজিতে আপনার নাম( যেভাবে আইডি কার্ডে লেখা থাকবে)
- আপনার মোবাইল নাম্বার
- আপনার ইমেল নাম্বার (বাধ্যতামূলক নয়)
- আপনার ঠিকানা
- যেকোনো ধরনের মোবাইল ব্যাংকিং নাম্বার
তাহলে চলুন ডাউনলোড করার ধাপসমূহ জেনে নেই।
দ্বিতীয় ধাপ: আপনি যদি www.land.gov.bd.com সার্চ দিয়ে থাকেন তাহলে একটা পেজ আপনার সামনে ওপেন হবে। সেখান থেকে আপনি eporcha.gov.bd অথবা ই পর্চা যেকোনো একটাতে ক্লিক করুন। আর যদি আপনি সরাসরি eporcha.gov.bd অথবা ই পর্চা লিখে সার্চ দেন তাহলে আপনাকে আপনার কাঙ্খিত পেজে নিয়ে চলে যাবে।
তৃতীয় ধাপ: এবার আমরা সামনে যে পেজটি উপস্থিত হবে সেখান থেকে সার্ভে খতিয়ান সিলেক্ট করুন। তারপর আপনার সামনে বেশ কিছু আসবে সেটা হল আপনার বিভাগ, জেলা, উপজেলা, খতিয়ানের ধরন ,মৌজা নং, এবং খতিয়ানের তালিকা।
চতুর্থ ধাপ: উপরে উল্লেখিত পেজটিতে আপনি আপনার বিভাগ আপনার জেলা আপনার উপজেলা আপনার যে ধরনের খতিয়ান দেখতে চাচ্ছেন সেটি সিলেক্ট করুন। আমরা এখানে আর এস খতিয়ান দেখব তাই আর এস সিলেক্ট করব তারপর আপনার মৌজা নং এবং সর্বশেষ হচ্ছে আপনার খতিয়ানের তালিকা তে আপনার যে খতিয়ানটি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন সেই খতিয়ান নাম্বারটি লিখুন।
পঞ্চম ধাপ: এবার সকল কিছু তথ্য পূরণ করা হয়ে গেলে আপনি এবার খুঁজুন বাটুলে চাপ দিন। চাপ দিলে আপনার সামনে দেখতে পাবেন যে ওই আর এস খতিয়ানটি যার নামে চলছে বা প্রচলিত আছে সেটা দেখতে পাবেন।
ষষ্ঠ ধাপ: এবার এই ফলাফলের উপরে আপনি ডাবল প্রেস বা ডাবল ক্লিক করলে আপনি আর এস খতিয়ান সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য জানতে পারবেন যেমন ওই খতিয়ানটিতে কোন কোন দাগ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, দাগগুলোর শ্রেণী কি , দাগগুলোতে জমির পরিমাণ। যদি আপনি সকল তথ্যগুলো দেখতে না পান তাহলে আপনাকে অনলাইনে আর এস খতিয়ানটির জন্য আবেদন করে ডাউনলোড করতে হবে।
সপ্তম ধাপ: এবার আপনি খতিয়ান আবেদন অপশনটিতে ক্লিক করুন।
অষ্টম ধাপ: ক্লিক করার সাথে সাথে আপনার সামনে একটি পেজ ওপেন হবে সেই পেজের সাধারণত দুইটি অংশে বিভক্ত। উপরের অংশ সঠিকভাবে পূরণ করার পরেই কেবল মাত্র নিচের অংশে কাজ করতে পারবেন। তাই মনোযোগ দিয়ে পেজটি পূরণ করুন।
নবম ধাপ: এর প্রথম অংশে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার, আমরা জন্ম তারিখ, আপনার নাম, জাতীয় পরিচয় পত্র অনুসারে এবং আমার মোবাইল নাম্বার লেখা হলে যোগফল প্রদান করুন সেখানে আপনি যোগফল লিখে যাচাই করুন বাটনের ক্লিক করুন। আপনার সকল তথ্য যদি ঠিক থাকে তাহলে আপনাকে দেখাবে ঠিক হয়েছে। এবার ওকে বাটনে ক্লিক করুন।
দশম ধাপ: এবার এই পেইজের দ্বিতীয় অংশের কাজ। আপনার যদি ইমেইল নাম্বার থাকে তাহলে দিতে পারেন না দিলেও কোন সমস্যা নেই। এবার ঠিকানা নিচে আপনার ঠিকানাটি পূরণ করুন। আবেদনের ধরন নির্বাচন করুন। আমরা যেহেতু অনলাইন কপি নিবো তাই অনলাইন কপি সিলেট করব। এর নিচে আপনি ফ্রি পরিশোধের মাধ্যম দেখতে পাবেন। এখানে আপনি যে মাধ্যমে ফ্রি পরিশোধ করবেন সেটা সিলেক্ট করুন। সিলেক্ট করা হয়ে গেলে যোগফল প্রদান করুন এর নিজের ফাঁকা ঘরে যোগফলটি লিখে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
একাদশ ধাপ: এখানে আপনার ফ্রি পরিশোধের মাধ্যমে নাম্বারটি দিবেন। আমি যেহেতু বিকাশের মাধ্যমে ফ্রি পরিশোধ করবো তাই আমি আমার বিকাশ নাম্বারটি দিলাম। নাম্বারটি লেখা হয়ে গেলে নিচের কনফার্ম বাটনে ক্লিক করুন।
দ্বাদশ ধাপ: এবার আপনি যে নাম্বারটি দিয়েছেন সেই নাম্বারে ছয় সংখ্যার একটা ভেরিফিকেশন কোড যাবে। সেই নাম্বারটি এখানে লিখে কনফার্ম বাটনে ক্লিক করুন।
ত্রয়োদশ ধাপ: এবার যে পেস্ট ওপেন হবে সেখানে আপনার পেমেন্ট মাধ্যমে পিন নাম্বারটি লিখে কনফার্ম বাটনে ক্লিক করুন। কনফার্ম বাটনে ক্লিক করলে আপনার পেমেন্ট সফল হয়েছে বলে আপনাকে দেখাবে এবং আপনার আর এস খতিয়ান অনলাইনে ডাউনলোড হয়ে যাবে।
এছাড়া যদি আপনার নাগরিক কর্নারে অ্যাকাউন্ট করা থাকে তাহলে সেখানে লগইন করলেই হয়ে যাবে। আপনাকে বারবার এত কষ্ট করে ফর্মটা পূরণ করা লাগবে না।
শেষ কথা:আর এস খতিয়ান অনুসন্ধান ও ডাউনলোড করার নিয়ম
আর এস খতিয়ান অনুসন্ধান ও ডাউনলোড করার নিয়ম নিয়ে লিখা আর্টিকেলটি ভালো লাগে যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনার নিকটস্থ বোনদের নিকট শেয়ার। করুন পরিশেষে আপনার মূল্যবান মতামত দিতে অবশ্যই ভুলবেন না যেন ধন্যবাদ।
আরিফুল প্লাস এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url