বাংলাদেশের ৮ টি বিভাগের নাম 2025

বাংলাদেশের ৮ টি বিভাগের নাম 2025। আসসালামু আলাইকুম বন্ধুগণ আশা করি সবাই ভাল আছেন। আপনি কি বাংলাদেশের বিভাগ কয়টি এবং কি কি সেটা জানার চেষ্টা করছেন। বাংলাদেশের প্রতিটি বিভাগে উল্লেখযোগ্য কোন কোন জিনিসটি রয়েছে। 
বাংলাদেশের ৮ টি বিভাগের নাম 2025
এ সকল নিয়ে আমরা আপনার সামনে হাজির হয়েছি। আপনি যদি আপনার মূল্যবান সময়ের কিছুটা সময় ব্যয় করে থাকেন তাহলে আপনি বাংলাদেশে কয়টি বিভাগ রয়েছে কোন বিভাগটি কত সালে এবং কোন শাসন আমলে গঠন করা হয়েছে সে সম্পর্কে জানতে পারবে। তাহলে আর দেরি না করে চলুন এখনই শুরু করা যাক।

বিভাগ কি

বিভাগ হল একটি দেশের বৃহত্তম ভৌগোলিক একক বা প্রশাসন অঞ্চল। এই বৃহত্তম ভৌগোলিক একক বা প্রশাসনিক অঞ্চল সাধারণত একটি বৃহত্তম ভৌগলিক এলাকার উন্নয়ন ও প্রশাসন এবং শাসন কার্য পরিচালনার জন্য, জনসেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে গঠন করা হয়। একটি দেশের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক স্তর হিসেবে কাজ করে বিভাগ। বিভাগের আন্ডারে বিভিন্ন জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, গ্রাম থাকে।

বিভাগের বৈশিষ্ট্য

একটি নির্দিষ্ট এলাকা বিভাগ হিসেবে পরিগণিত হতে হলে তার নির্দিষ্ট কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে। তাহলে চলুন বিভাগের বৈশিষ্ট্য গুলো ‌জেনে নেই।

প্রশাসনিক কাঠামো
আপনি যখন একটি নির্দিষ্ট বৃহত্তম অঞ্চলকে বিভাগ বলে গণ্য করবেন তখন তার একটি নির্দিষ্ট স্বর বা সদর দপ্তর থাকবে। সেই বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা হল বিভাগীয় কমিশনার। এই বিভাগীয় কমিশনারয় সরকারের নীতি বাস্তবায়ন ও তার প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

ভৌগলিক অবস্থা
একটি বিভাগের বিস্তীর্ণ ভৌগোলিক অবস্থা থাকবে। এই ভৌগলিক অবস্থা রে একটি বিভাগের আন্ডারে বেশ কয়েকটি জেলা থাকবে।

উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড
একটা বিভাগের বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড যেটি সরকার থেকে বরাদ্দ হয় সেগুলোর অবকাঠামো নির্মাণ ও পরিকল্পনা সেই বিভাগ দ্বারা পরিচালিত হবে।

বিচার ব্যবস্থা
বিভাগীয় পর্যায়ে কোন কোন ক্ষেত্রে দেখা যায় যে উচ্চ পর্যায়ে আদালতের বেঞ্চ বা শাখা থাকে। জেটির মাধ্যমে বিচার ব্যবস্থা পরিচালিত হয়।

নাগরিক সেবা
একটি নির্দিষ্ট বিভাগের অন্তর্গত নাগরিকদের স্বাস্থ্য শিক্ষা চিকিৎসা যোগাযোগ এবং অন্যান্য নাগরিক সেবামূলক কার্যক্রম বিভাগীয় পর্যায়ের মাধ্যমে সমন্বয়ের সাধন করা হয়।

রাজস্ব আদায়
একটি নির্দিষ্ট বিভাগের বিভাগীয় পর্যায়ে কর এবং রাজস্ব আদায়ের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্য
প্রতিটি প্রতিটি বিভাগের সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্য রয়েছে যেটা অন্যান্য বিভাগ থেকে আলাদা করে চিহ্নিত করে।

বাংলাদেশের ৮ টি বিভাগের নাম 2025

পাকিস্তান শাসনামলে বাংলাদেশকে প্রধানত চারটি বিভাগে বিভক্ত করা হয়েছিল। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বর্তমানে বাংলাদেশে আটটি বিভাগ রয়েছে। এই প্রতিটি বিভাগের সাংস্কৃতি বৈশিষ্ট্য ইতিহাস ঐতিহ্য এবং ভৌগোলিক অবস্থা রয়েছে। তাহলে চলুন জেনে নিই আটটি বিভাগের নাম।
  1. ঢাকা বিভাগ
  2. চট্টগ্রাম বিভাগ
  3. রাজশাহী বিভাগ
  4. খুলনা বিভাগ
  5. বরিশাল বিভাগ
  6. সিলেট বিভাগ
  7. রংপুর বিভাগ
  8. ময়মনসিংহ বিভাগ

প্রতিটি বিভাগের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

বাংলাদেশকে আটটি বিভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি বিভাগের রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু বৈশিষ্ট্য এবং সাংস্কৃতিক ও উল্লেখযোগ্য কিছু ব্যবস্থাপনা। তাহলে চলুন আমরা জেনে নেই প্রতিটি বিভাগ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত কিছু রূপরেখা।

ঢাকা বিভাগ

ঢাকা বিভাগকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক এবং বাণিজ্যিক কেন্দ্র বলে অভিহিত করা হয়। বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ বিবাহ হলো ঢাকা বিভাগ। ঢাকা বিভাগ ১৯৬০ সালে পূর্ব পাকিস্তান শাসন আমলে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি বাংলাদেশের মধ্যপদ স্থানে অবস্থিত। ঢাকা বিভাগের রাজধানী শহর হচ্ছে ঢাকা। ঢাকা বিভাগ সর্বমোট ১৩ টি জেলা নিয়ে গঠিত। 

বিভাগের মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রধান নদীগুলো হল বুড়িগঙ্গা মেঘলা ধলেশ্বরী শীতলক্ষ্যা। ঢাকা বিভাগে রয়েছে উল্লেখযোগ্য কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি। এছাড়া ঢাকা শহরের রয়েছে কিছু ঐতিহাসিক স্থান যেগুলো মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে। 

ঐতিহাসিক স্থান গুলোর মধ্যে রয়েছে আহসান মঞ্জিল, লালবাগ কেল্লা, সোনারগাঁও সহ আরো বেশ কিছু অঞ্চল। ঢাকা শহরের লোকজন অনেকটাই সংস্কৃতিমনা তারা সাধারণত পহেলা বৈশাখ একুশে ফেব্রুয়ারির মতো আরো অন্যান্য উৎসব খুবই ধুমধাম করে পালন করে। 

ঢাকা বিভাগে রয়েছে উল্লেখযোগ্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থান যেগুলো বাংলাদেশের প্রাণ ভোমরা হিসেবে পরিচিত। যেমন জাতীয় সংসদ ভবন, শহীদ মিনার এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধের মতো বিখ্যাত স্থান। ঢাকা বিভাগকে এই দেশটির অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি বলেও অভিহিত করা যেতে পারে।

চট্টগ্রাম বিভাগ

বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র হলো চট্টগ্রাম বিভাগ। এই বিভাগটি বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলে অবস্থিত। এই চট্টগ্রাম বিভাগটিও ১৯৬০ সালে পূর্ব পাকিস্তানের আমলে প্রতিষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম বিভাগটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বা সবচেয়ে বড় বিভাগ বলে পরিচিত। এই বিভাগে রয়েছে 11 টি জেলা। চট্টগ্রাম বিভাগের প্রধান সহ হলো চট্টগ্রাম যেটি বাংলাদেশের প্রধান বাণিজ্যিক শহর হিসেবেও পরিচিত।

 বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্র বন্দরটি চট্টগ্রাম বন্দরে অবস্থিত। চট্টগ্রাম বিভাগের উল্লেখযোগ্য নদী গুলো হল কর্ণফুলী সাঙ্গু এবং হালদা মতো বিখ্যাত নদী। এই চট্টগ্রাম বিভাগটি পর্যটন বিভাগ নামে অভিহিত করা যেতে পারে কারণ এখানে রয়েছে বৃহৎ বৃহৎ পর্যটন কেন্দ্র যেমন কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ির মতো এলাকা। 

এছাড়াও এখানে রয়েছে মহেশখালীর মত একটি চমৎকার সুন্দর দ্বীপ। শুধু পর্যটন কেন্দ্র দিকেই নয় চট্টগ্রামে রয়েছে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যেমন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশলী ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিভাগে বেশ কয়েকটি উপজাতীয় বসবাস করে যেমন চাকমা ,মারমা, ত্রিপুরা।

রাজশাহী বিভাগ

বাংলাদেশের যে আটটি বিভাগ রয়েছে সে বিভাগ গুলোর মধ্যে রাজশাহী বিভাগের অবস্থান মাঝারি আকারের। এ বিভক্তি বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমা অঞ্চলে অবস্থিত। এটি মোট আটটি জেলা নিয়ে গঠিত। রাজশাহী বিভাগের মেইন শহর রাজশাহী শহর। রাজশাহী শহর আম ও সিল্কসিটির জন্য বিখ্যাত। 

রাজশাহী বিভাগের বিখ্যাত আমের মধ্যে রয়েছে হিমসাগর, ল্যাংড়া এবং ফজলি জাতের আম। রাজশাহী বিভাগটি মূলত কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি ঐতিহাসিক স্থাপনা এবং শিক্ষা ও সংস্কৃতির জন্য বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ। রাজশাহী বিভাগের প্রধান নদী হচ্ছে পদ্মা নদী ও মহানন্দা নদী। শুষ্ক ও উষ্ণ জলবায়ুর অঞ্চল। এখানে গ্রীষ্মকালে তীব্র গরম পড়ে। 

বাংলাদেশের উষ্ণতম স্থানটি এই বিভাগ এই অবস্থিত। বাংলাদেশের উষ্ণতম স্থানের নাম হচ্ছে নাটোরের লালপুর যেটি এ রাজশাহী বিভাগে অবস্থিত। রাজশাহীতে বেশ কিছু ঐতিহাসিক ও পর্যটন স্থান রয়েছে যেমন পুঠিয়ার রাজবাড়ী ,বাঘা মসজিদ এবং বরেন্দ্র জাদুঘরের মত স্থান। এছাড়াও রাজশাহীতে অবস্থিত রয়েছে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, হাসি প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ। রাজশাহীকে শিক্ষা নগরী বলা হয়।

খুলনা বিভাগ

বাংলাদেশের পঞ্চম বৃহত্তম বিভাগ হচ্ছে খুলনা। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে অবস্থিত। এ বিভাগ ১৯৬০ সালে পূর্ব পাকিস্তান শাসনামলে প্রতিষ্ঠিত হয়। খুলনা বিভাগ সর্বমোট দশটি জেলা নিয়ে গঠিত। খুলনা বিভাগের রাজধানী শহর হচ্ছে খুলনা শহর। খুলনা বিভাগ সুন্দরবন এবং মৎস্য শিল্পের জন্য খুবই বিখ্যাত। 

খুলনা বিভাগের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে যে নদী সেই নদীগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল পদ্মা নদী, ঘাগড়া নদী এবং শিবসা নদী। এখন বিভাগে রয়েছে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনভূমি সুন্দরবন এই সুন্দরবনের সাধারণত বিভিন্ন প্রজাতি প্রাণী ও সবচাইতে আকর্ষণীয় প্রাণী রয়েল বেঙ্গল টাইগার দেখা যায়। 

খুলনাতে প্রচুর পরিমাণ চিংড়ি চাষ করা হয় যেগুলো বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা দেশ সমৃদ্ধি লাভ করছে। খুলনা বিভাগে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং খুলনা মেডিকেল কলেজ।

বরিশাল বিভাগ

নদীবাহিত বাহিত বিভাগ হিসেবে পরিচিত বিবাহ হচ্ছে বরিশাল বিভাগ। বরিশাল বিভাগকে বাংলার ভেনিস বলে অভিহিত করা হয়। এ বিভাগটি ১৯৩০ এর সাল থেকে খুলনা বিভাগ থেকে আলাদা করে গঠন করা হয়। বরিশাল বিভাগ বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলে অবস্থিত। এটি সর্বমোট ছয়টি জেলা নিয়ে গঠিত। বরিশাল বিভাগের প্রধান শহর হচ্ছে বরিশাল শহর। বরিশাল বিভাগের প্রধান অর্থনীতি হচ্ছে মৎস্য ও কৃষিভিত্ত। 

এভাবে প্রচুর পরিমাণে পাট, ধান, গম এবং বিভিন্ন ধরনের ফলমূল উৎপন্ন হয়। বরিশাল বিভাগের উল্লেখযোগ্য নদী হল পদ্মা ,বিষখালী এবং কীর্তনখোলা নদী। এ বিভাগে বেশ কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেমন চামড়া শিল্প এবং মাল্টি প্রোডাক্ট কোম্পানি। বরিশাল বিভাগের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং বরিশাল মেডিকেল কলেজ অন্যতম।

সিলেট বিভাগ

চা বাগান ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত বিভাগ হচ্ছে সিলেট বিভাগ। এ বিভাগটি ১৯৯৫ সালের চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে আলাদা করে গঠন করা হয়। বাংলাদেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত সিলেট বিভাগ। এ বিভাগটি সর্বমোট চারটি জেলা যেমন সিলেট ,মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ এবং সুনামগঞ্জ নিয়ে গঠিত। সিলেট বিভাগের রাজধানী শহর হচ্ছে সিলেট শহর। 

সিলেট বিভাগের প্রধান অর্থনীতি হচ্ছে চাষ শিল্প। বাংলাদেশের সর্বমোট চা উৎপাদনের বেশিরভাগ উৎপন্ন হয় এই বিভাগেই। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রেমিটেন্স যোদ্ধা বসবাস করে এই বিভাগটিতে। এসলেট বিভাগের উল্লেখযোগ্য নদীগুলো হল সুরমা , কুশিয়ারা এবং পিয়াইন নদী। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এ বিভাগটি অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। 

এবিফার্থের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হল হযরত শাহজালাল (রা) এবং হযরত শাহ পরান (রা) মাজার শরীফ। এছাড়াও ভালো রয়েছে জাফলং ,বিছানাকান্দি ,রাতারকুল , সোয়াম্ফ ফরেস্ট এর মত এলাকা। এছাড়াও এখানে রয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সিলেট মেডিকেল কলেজের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

রংপুর বিভাগ

বাংলাদেশের বুকে কৃষি প্রধান বিভাগ হল রংপুর বিভাগ। এছাড়াও বেটি শিক্ষা ঐতিহাসিক ঐতিহ্য দিক থেকেও বিখ্যাত। ২০১০ সালে রাজশাহী বিভাগ থেকে আলাদা করে গঠন করা হয় রংপুর বিভাগ। রংপুর বিভাগটি মোট আটটি উপজেলা এবং তিনটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। রংপুর বিভাগের প্রধান শহর রংপুর শহর। রংপুর বিভাগের অন্যতম শিল্প গুলোর মধ্যে রয়েছে পাট শিল্প চিনি শিল্প এবং তাঁত শিল্প উল্লেখযোগ্য। 

রংপুর বিভাগের বুক চিরে বয়ে গেছে তিস্তা ,করতোয়া , ঘাঘট নদী। এই রংপুর বিভাগেই জন্মগ্রহণ করেন বাংলার মহীয়সী নারী বেগম রোকেয়া বেগম। এ বিভাগ রয়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং কার মাইকেল কলেজের মতো বিখ্যাত কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও এখানে প্রতি বছরই অনুষ্ঠিত হয় পিঠাপুলের মহোৎসব।

ময়মনসিংহ বিভাগ

শিক্ষা এবং কৃষি গবেষণার জন্য বিখ্যাত বিভাগ হচ্ছে ময়মনসিংহ বিভাগ। এই বিভাগটি ২০১৫ সালে ঢাকা বিভাগ থেকে আলাদা করে গঠন করা হয়। এ বিভাগটি ময়মনসিংহ জামালপুর শেরপুর এবং নেত্রকোনা এই চারটি জেলা নিয়ে গঠিত। ময়মনসিংহ বিভাগের প্রধান রাজধানী সহ হল ময়মনসিংহ। ময়মনসিংহ বিভাগে রয়েছে বৃক্ষ গোত্র মেঘনা ও সোমেশ্বরী নদী। 

এ বিভাগে রয়েছে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর মতো বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিভাগে বেশ কিছু পর্যটন স্থান রয়েছে যেমন শশী লজ, গারো পাহাড়, বিরিশিরি ইত্যাদি। ময়মনসিংহ জেলার উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে লোকসংগীত এবং বাউল গান। এছাড়াও এখানে বাস করে গারো, হাজং ও কোচ নামক আদিবাসী জনগোষ্ঠী।

শেষ কথা: বাংলাদেশের ৮ টি বিভাগের নাম 2025

বাংলাদেশের ৮ টি বিভাগের নাম 2025 নিয়ে লেখা আর্টিকেলটি যদি আপনি শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকেন তাহলে আপনি বাংলাদেশ কয়টি বিভাগ নিয়ে গঠিত এবং কোন বিভাগটি কত সালে গঠিত হয়েছে এবং প্রতিটি বিভাগের উল্লেখযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন। 

তাই আপনি যদি আমাদের আর্টিকেলটি এখনো না পড়ে থাকেন তাহলে এখনি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। এবং বাংলাদেশের প্রতিটি বিভাগ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত কিছু জ্ঞান অর্জন করুন। আমাদের এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধুদের নিকট শেয়ার করুনল।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরিফুল প্লাস এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url