খিরা

খিরা

সকালের প্রিয় একটি সবজি খিরা। খিরা খেতে পছন্দ করো না এমন কোন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। সকলের প্রিয় এই সবজিটি ইংরেজি নাম হল cucumber. cucurbitaceae পরিবারদের অন্তর্ভুক্ত এই সবজিটির বৈজ্ঞানিক নাম Cucumis sativus.

চাষের উপযুক্ত সময়

শসা চাষের উপযুক্ত সময় হল ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত। প্রায় সারা বছর বছরে বিভিন্ন জাতের হাইব্রিড শসার চাষ করা হয়।

খিরা চাষের জন্য উপযোগী মাটি

খিরা বা শসা চাষের জন্য একটু উঁচু এবং যে জমি দিয়ে সহজে পানি নিষ্কাশন করা যায় এবং সেচ দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে এমন জমিয়ে নির্বাচন করুন যেখানে সূর্যের আলো সারাদিন থাকে। যদি আপনার জমিতে হয় দোআঁশ বা বেলে দোআঁশ তাহলে তো কোনো কথাই নেই। কারণ দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটিতে খিরায় খুব ভালো ফলন পাওয়া যায়।

বীজের পরিমাণ

আপনি যদি খির চাষ করতে চান তাহলে আপনার প্রতি প্রতি শতকে খিরা বীজের প্রয়োজন হবে দেড় গ্রাম এবং হেক্টর প্রতি ১৫০ গ্রাম বীজের প্রয়োজন হবে। তাই আমি আপনি যতটা জমিতে খিরা চাষ করতে চান সে অনুযায়ী বীজ সংগ্রহ করুন।

হাইব্রিড খিরা জাত 

বাজারে বিভিন্ন ধরনের হাইব্রিড বীজ পাবেন। হাইব্রিড বীজগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে শতাব্দি শীতল, শতাব্দি প্লাস, সুফলা ১, পায়রা, সুপ্রিয়, নওগাঁ কুইন, সেঞ্চুরি ,মধুমতি উন্নত জাতের এ হাইব্রিড বীজগুলোর মধ্য থেকে আপনি আপনার পছন্দমত জাতটি বেছে নিতে পারেন।

চারা তৈরি

আপনি সরাসরি বিজয় জমিদারের গোপন করতে পারেন অথবা বীজ থেকে চারা তৈরি করেও আপনি আপনার জমিতে রোপন করতে পারেন। এক্ষেত্রে যে কোন একটি পাত্রে কিছুটা পানি দিয়ে বীজগুলো বীজের প্যাকেট থেকে বের করে সেই পানির মধ্যে 24 ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। 24 ঘন্টা ভিজিয়ে রাখার পর
বীজগুলো পানি থেকে ছেঁকে নিয়ে একটি পরিষ্কার সুতার কাপড় অথবা টিস্যু দিয়ে ঢেকে ঢাকনা দুটো একটি পাত্রে ঢেকে রাখুন। এবার 24 ঘন্টা পর দেখবেন বীজ থেকে অঙ্কুরো গম জন্মাচ্ছে। সে বীজগুলো আপনি পলি থিনের টবে অথবা

বীজ বপন

খিরা চাষের দুইটা পদ্ধতি রয়েছে একটা হল মাজা তৈরি পদ্ধতি আর একটা হল সরাসরি জমিতে চারা রোপন। আপনি যদি মাদার তৈরি করতে চান তাহলে ২ মিটার দূরে দূরে মাদক প্রস্তুত করুন। আর যদি আপনি লাইন করে চাষ করতে চান সে ক্ষেত্রে তিন ফিট দূরে দূরে চারা রোপন করবেন। আপনি যখন খিরার বীজ বোপনের সময় মাটি দোলা হয়ে না থাকে। 

দোলা হয়ে থাকলে মাটিটা ঝুরঝুরে করে নিবেন। আপনি যখন মাথায় বিষ বপন করবেন তখন অবশ্যই তিন থেকে চারটি বীজ হাফ ইঞ্চি গভীরে বোপন করবেন। বীজ বপনের পর হালকা করে পানি দিয়ে দিবেন। পর দেখবেন দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে আপনার ক্ষীরার বীজ থেকে চারা গজিয়েছে।

মাদা তৈরি

আপনাকে সহজেই মাদা তৈরি করে বা জমিতে খিরা চাষ করতে পারেন। আপনি যদি মাদার তৈরি করে খিরা চাষ করেন তাহলে সেটা খুবই ভালো। আপনি যদি মাদার তৈরি করতে চান তাহলে প্রতিটি মাদার জন্য পাঁচ কেজি পরিমাণে গোবর সার, ১০০ গ্রাম পিএসপি, ৫০ গ্রাম এমওপি সার দিয়ে আপনি মাদারি প্রস্তুত করে ফেলুন। মাদার প্রস্তুতিতের এক সপ্তাহ পর উক্তমা দেয় দুই থেকে তিনটি করে খিরাবীজ বা খিরার চারা রোপন করুন। এবং প্রতিটি মাদার দূরত্ব হবে ১ থেকে দেড় লিটার।

জমি তৈরি

আপনি যদি মাদার ছাড়া সরাসরি জমিতে সেরা চাষ করতে চান তাহলে আপনাকে উক্ত জমিতে চার থেকে ছয়টি চার্জ দিয়ে জমিটি তৈরি করে নিতে হবে। তারপরে সেই জমিতে বেড তৈরি করতে হবে এবং বেসটি হবে দেড় মিটার চওড়া দৈর্ঘ্য হবে আপনার জমির দৈর্ঘ্য অনুযায়ী। যখন দেশ তৈরি করবেন তখন অবশ্যই দুই বেডের মাঝখানে 60 সেন্টিমিটার চওড়া এবং 15 সেন্টিমিটার গভীর একটা নালা রাখতে হবে। 

যেটা দিয়ে আপনি পরবর্তীতে পানি সেচ দিতে পারবেন। বেট তৈরি করা হয়ে গেলে প্রতিটি বেডের মাছ বরাবর শাড়ি করে দুই মিটার দূরত্বে চারিদিকে ৪৫ সেন্টিমিটার গভীর করে গর্ত তৈরি করতে হবে। আপনাকে এটি অবশ্যই চারা রোপনের দশ থেকে পনের দিন আগে তৈরি করতে হবে। তখন গর্তটি ভরাট করবেন তখন আপনাকে পরিমাণ মতো গোবর স্যার ও রাসায়নিক সার দিয়ে ভর্তি করতে হবে।

 গর্তটি ভরাট করার এক সপ্তাহ পর আপনি চারা রোপন করতে পারবেন অথবা বীজও রোপন করতে পারেন। আপনি যদি চারা রোপন করতে চান সেক্ষেত্রে বিকেলে চারাটি রোপন করবেন কেননা বিকেলে চারা মরার সম্ভাবনা কম থাকে। এবং চারা লাগানোর সময় খেয়াল রাখবেন যেন চারার গোড়ায় যে পরিমাণ মাটি আছে সেই পরিমাণ গর্ত করে লাগানো হয়। সে মাটির উপরে মাটি দিবেন না সে ক্ষেত্রে আপনারা চারটেই মারা যেতে পারে।

খিরার চারা গাছে সার প্রয়োগ

সচরাচর দেখা যায় আপনি যে হাইব্রিড জাতের খিরা চাষ করবেন সেগুলোতে 25 থেকে 30 দিন বয়সেই কুড়ি এবং ফুল আসে। আপনার চারা রোপনের 15 থেকে 20 দিনের মাথায় চারা গাছটির চারিদিকে রিং তৈরি করে সার প্রয়োগ করুন। সার প্রয়োগের ক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখবেন সার যেন চারার গোড়ায় না পড়ে। চারার গোড়া থেকে ছয় থেকে আট ইঞ্চি দূরে রিং করে সার প্রয়োগ করুন। 

প্রতিটি মাদার জন্য টিএসপি ৬০ থেকে ৮০ গ্রাম, এমওপি ৫০ গ্রাম, ইউরিয়া স্যারের পরিমাণ 40 থেকে 50 গ্রাম, এবং জিপসাম সার ২০ থেকে ৩০ গ্রাম আহারে প্রয়োগ করে পাশের মাটি দিয়ে ঢেকে দিন। এ পড়ো আপনি পানি সেচের ব্যবস্থা করে ফেল। ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই দেখবেন আপনার গাছখুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরিফুল প্লাস এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url