ডায়াবেটিস মেশিনের দাম কত ২০২৬ – কোন ডায়াবেটিস মেশিন ভালো

ডায়াবেটিস মেশিনের দাম কত: বর্তমান যুগে ডায়াবেটিস এখন একটি সাধারণ, কিন্তু একই সাথে বেশ গুরুতর রোগ। এই রোগটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে নিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। ভালো খবর হলো, ডায়াবেটিস মাপার মেশিন, যা আমরা গ্লুকোমিটার নামে চিনি, তা বাড়িতে ব্যবহার করেই এই পরীক্ষাটা সহজে করা যায়।

ডায়াবেটিস মেশিনের দাম কত

এই যন্ত্রটি আপনাকে ঘন ঘন ডাক্তারের কাছে না গিয়েও ঘরে বসে রক্তের শর্করার মাত্রা নির্ণয় করতে সাহায্য করে। তবে অনেকেই ডায়াবেটিস মাপার মেশিন কিনতে চান, কিন্তু সঠিক দাম ও কোয়ালিটি সম্পর্কে ঠিক ততটা সচেতন নন।

ডিজিটাল ডায়াবেটিস মাপার মেশিনের দাম কিন্তু কয়েকটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে যেমন এটি কোন ব্র্যান্ডের তৈরি, এতে কী ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে এবং এর ফিচারগুলো কেমন। চলুন তাহলে, বাজারে এখন যে কয়েকটি ভালো কোয়ালিটির ডায়াবেটিস মাপার মেশিন পাওয়া যায়, সেগুলোর দাম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

ডায়াবেটিস মাপার মেশিন কী?

ডায়াবেটিস মাপার মেশিন হলো মূলত একটি ছোট ইলেকট্রনিক ডিভাইস, যা খুব সহজে ব্যবহার করা যায় এবং এর প্রধান কাজ হলো রোগীর রক্তের গ্লুকোজ লেভেল পরিমাপ করা।

এই যন্ত্রটি ব্যবহার করে রোগীরা ডাক্তারের কাছে না গিয়েও ঘরে বসেই তাদের রক্তের শর্করা বা গ্লুকোজের পরিমাণ জানতে পারেন। বিশেষ করে যারা নিয়মিত ডায়াবেটিসের চিকিৎসা নিচ্ছেন, তাদের জন্য এটি খুবই কার্যকর একটি সরঞ্জাম।

ডায়াবেটিস মেশিনের দাম কত ২০২৬

বর্তমানে আমাদের প্রযুক্তি অনেক উন্নত, আর আমরা এখন প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশে বাস করছি। সময়ের সাথে এবং প্রযুক্তির তালে তালে গ্লুকোজ মিটারও কিন্তু বেশ আপডেট হয়েছে। এখনকার ডিজিটাল ডায়াবেটিস মাপার মেশিনগুলো দিয়ে খুব সহজেই ডিজিটাল পদ্ধতিতে ডায়াবেটিস মাপা যায়।

📌আরো পড়ুন👉সিঙ্গার এলইডি স্মার্ট টিভি 32, 24 ও 43 ইঞ্চি দাম ২০২৬

আপনি যদি এই ডিজিটাল মেশিন কিনতে চান, তাহলে এর আনুমানিক দাম সর্বনিম্ন প্রায় ৮০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় ৩২০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তবে হ্যাঁ, অনেক খুচরো দোকানে কিন্তু অফার প্রাইজে এর থেকেও অল্প টাকায় ডিজিটাল ডায়াবেটিস মাপার মেশিন বিক্রি করা হয়ে থাকে।

বাংলাদেশে পাওয়া এই ডায়াবেটিস মাপার মেশিনগুলো কিন্তু বেশ কার্যকরী এবং সাশ্রয়ী মূল্যের। চলুন, তাহলে নিচে কয়েকটি জনপ্রিয় ডায়াবেটিস মেশিনের দাম উল্লেখ করা হলঃ 

  • Sinocare Safe-Accu Easy ব্লাড গ্লুকোজ মিটার এর দাম ৮৯৯ টাকা
  • Accu-Chek ইনস্ট্যান্ট এস ব্লাড গ্লুকোজ মনিটর এর দাম ২,৬০০ টাকা
  • Gateway Fast ব্লাড সুগার চেক এর দাম ১,৬৯৯ টাকা
  • Accu-Chek সক্রিয় ব্লাড গ্লুকোজ মনিটরিং সিস্টেম এর দাম ৩,১৯৯ টাকা
  • NTI BGM-208 ব্লাড গ্লুকোজ মনিটরিং সিস্টেম এর দাম ৭৯৯ টাকা
  • Bionime Rightest GM700SB Bluetooth মেশিন এর দাম ১,২৯৯ টাকা
  • Glucoleader Blue ব্লাড সুগার টেস্টার মেশিন এর দাম ১,৪৫০ টাকা
  • Bioland G-425-3 সহজ ব্লাড গ্লুকোজ মনিটর এর দাম ১,০৫০ টাকা
  • Okmeter 1B ম্যাচ ব্লাড গ্লুকোজ মনিটরিং সিস্টেম এর দাম ১,২৬০ টাকা
  • EZ II ব্লাড গ্লুকোজ মিটার এর দাম ১,৬৯০ টাকা

ডায়াবেটিস মেশিনের স্ট্রিপ এর দাম ২০২৬

আসলে ডায়াবেটিস মাপার জন্য কিন্তু স্ট্রিপ অপরিহার্য। এটা ছাড়া কোনোভাবেই রক্ত পরীক্ষা করা যায় না। কারণ, এই স্ট্রিপেই রক্ত লাগিয়ে গ্লুকোমিটারে ঢোকাতে হয়, তখনই আপনি ডায়াবেটিসের মাত্রা দেখতে পান। বাজারে তো অনেক ধরনের স্ট্রিপ পাওয়া যায়, তাই এদের দামের মধ্যেও বেশ পার্থক্য থাকে। 

ডায়াবেটিস মেশিনের দাম কত

সাধারণত ৪০০ টাকা থেকে ৯০০ টাকার মধ্যে স্ট্রিপ বিক্রি হয়। এই দামের কম-বেশি হওয়ার কারণ হলো প্যাকেটে স্ট্রিপের সংখ্যা। আপনি যদি সাধারণ মানের স্ট্রিপ কেনেন, তাহলে সেটা মোটামুটি ৩৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকার মধ্যেই পেয়ে যাবেন।

  • ২৫ পিসের প্যাকেট এর দাম ৪০০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা
  • ৫০ পিসের প্যাকেট এর দাম ৯০০ টাকা থেকে ১,০০০ টাকা

নিচে কয়েকটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের ডায়াবেটিস স্ট্রিপের তালিকা ও তাদের দাম উল্লেখ করা হলো:

Accu-Chek Active Test Strips:

  • ২৫ পিস: ৪২০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা
  • ৫০ পিস: ৯৫০ টাকা থেকে ১,০০০ টাকা

OneTouch Select Test Strips:

  • ২৫ পিস: ৪৩০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা
  • ৫০ পিস: ৯০০ টাকা থেকে ৯৫০ টাকা

Contour Plus Test Strips:

  • ২৫ পিস: ৪৪০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা
  • ৫০ পিস: ৯৫০ টাকা থেকে ১,০০০ টাকা

Dr. Morepen BG-03 Test Strips:

  • ২৫ পিস: ৪০০ টাকা থেকে ৪৩০ টাকা
  • ৫০ পিস: ৯০০ টাকা থেকে ৯৫০ টাকা

ডায়াবেটিস স্ট্রিপ কেনার জন্য আপনার কাছে বেশ কয়েকটি পথ খোলা আছে। আপনি খুব সহজে যেকোনো ডাক্তারের দোকান বা ফার্মেসি থেকেই স্ট্রিপ কিনতে পারেন। এছাড়াও, এখন যেহেতু অনলাইন শপিং খুব জনপ্রিয়, তাই আপনি বিভিন্ন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম থেকেও স্ট্রিপ সংগ্রহ করতে পারবেন।

কোন ডায়াবেটিস মেশিন ভালো

বাজারে তো অনেক ধরনের ডায়াবেটিস মাপার মেশিন পাওয়া যায়, কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো সব মেশিন কিন্তু ভালো নয়। ভালো মেশিন ব্যবহার না করলে কিন্তু আপনি সঠিক তথ্যও পাবেন না। তাই, নির্ভুল ফলাফলের জন্য নিচে ভালো মানের ও নির্ভরযোগ্য কিছু মেশিনের নাম উল্লেখ করা হলো:

📌আরো পড়ুন👉ভিশন ফ্রিজ ৮, ১০ ও ১২ সেফটি দাম কত ২০২৬

  • Viva Chek Ino Blood Glucose Monitoring System.
  • Getwell Fast Blood Sugar Check.
  • NTI BGM-208 Blood Glucose Monitoring.
  • Care Chek Diabetes Glucometer.
  • Accu-Chek Performa Blood Glucose Meter.
  • Quick Check Blood Glucose Monitor.
  • Sinocare Safe AQ Diabetes Test Machine.

আসলে, আপনার জন্য কোন গ্লুকোমিটারটা সেরা হবে, সেটা নির্ভর করবে কয়েকটি জিনিসের ওপর—যেমন মেশিনের নির্ভুলতা, স্ট্রিপের মূল্য, ব্যবহারবিধি এবং অন্যান্য ফিচারের ওপর। আপনি যদি কম খরচের মধ্যে একটি ভালো গ্লুকোমিটার চান, তাহলে Dr. Morepen বা Accu-Chek আপনার জন্য খুব ভালো বিকল্প হতে পারে।

ডায়াবেটিস মাপার মেশিনের ব্যবহার 

বর্তমানে ডায়াবেটিস মাপার মেশিনের দাম কিন্তু প্রায় সবারই নাগালের মধ্যে। তাই বাড়িতে ডায়াবেটিসের রোগী থাকলে অনেকেই এখন এই মেশিন কিনে নিচ্ছেন। তবে একটা সমস্যা হয়, কেনার পর অনেকে ঠিকভাবে এটি ব্যবহার করতে পারেন না, কারণ তাঁরা ব্যবহারের সঠিক নিয়ম জানেন না।

ডায়াবেটিস মেশিনের দাম কত

চলুন তাহলে, আমরা ধাপে ধাপে জেনে নেই এই ডায়াবেটিস মাপার মেশিনের ব্যবহার পদ্ধতি!

  • ডায়াবেটিস মাপার জন্য প্রথমে হাত ভালোভাবে পরিষ্কার করে জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে। 
  • এরপর ডায়াবেটিস মাপার মেশিনে নির্দিষ্ট স্ট্রিপটি লাগান। 
  • রক্ত বের করার জন্য আঙুলে সূঁচ বা ল্যানসেট দিয়ে হালকা ফোটা করুন। 
  • এরপর, স্ট্রিপের মধ্যে এক ফোঁটা রক্ত দিন। 
  • রক্ত দেওয়ার পর চার থেকে পাঁচ সেকেন্ডের মধ্যেই মেশিনটি আপনার ডায়াবেটিসের মাত্রা প্রদর্শন করবে।

১. সুস্থ মানুষের জন্য রক্তের শর্করার স্বাভাবিক মাত্রা

সুস্থ মানুষের রক্তের শর্করার স্বাভাবিক মাত্রা জানতে হলে দুটি ভিন্ন সময়ের রিডিং জানা জরুরি। 

  • খালি পেটে এই মাত্রা সাধারণত ৪ থেকে ৬ পয়েন্ট (মিমি/লিটার) হওয়া উচিত। 
  • আর খাবার খাওয়ার ২ ঘণ্টা পরে রক্তের শর্করার মাত্রা ৮ পয়েন্টের নিচে (মিমি/লিটার) থাকা বাঞ্ছনীয়।

২. ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য রক্তের শর্করার স্বাভাবিক মাত্রা

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

  • এই রোগীদের ক্ষেত্রে রক্তের শর্করার স্বাভাবিক মাত্রা হলো: খালি পেটে এটি ৪ থেকে ৭ পয়েন্ট (মিমি/লিটার)-এর মধ্যে থাকা উচিত। 
  • আর খাবার খাওয়ার ২ ঘণ্টা পরে রক্তের শর্করার মাত্রা সাধারণত ৮ থেকে ৯ পয়েন্ট (মিমি/লিটার) রাখা হয়।

কেন গ্লুকোমিটার ব্যবহার করবেন?

গ্লুকোমিটার ব্যবহার করা ডায়াবেটিস রোগীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

  • এটি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা সম্পর্কে কিছু জরুরি তথ্য দেয়, যা চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় সাহায্য করে।
  • গ্লুকোমিটার থেকে জানা যায় ডায়াবেটিসের ওষুধ রক্তে গ্লুকোজের মাত্রাকে কীভাবে প্রভাবিত করছে।
  • এটি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রার আকস্মিক পরিবর্তন, তা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে কি না, এবং লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো গেল কি না, সেই বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা দেয়।
  • খাদ্য ব্যবস্থাপনা ও ব্যায়ামের ফলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রার উপর কেমন প্রভাব পড়ছে, তাও এর মাধ্যমে বোঝা যায়।
  • গ্লুকোজের মাত্রার নিয়মিত রেকর্ড রাখলে ভবিষ্যতে চিকিৎসার ধরন ঠিক করতে সুবিধা হয়।
  • এছাড়াও, অসুস্থতা, মানসিক চাপ (স্ট্রেস) বা হাইপোগ্লাইসেমিয়ার (রক্তে শর্করা কমে যাওয়া) মতো জরুরি পরিস্থিতিতে গ্লুকোমিটার খুবই দরকারি।

ডায়াবেটিস মেশিন কোথায় পাওয়া যায়

ডায়াবেটিস মাপার মেশিন, যা গ্লুকোমিটার নামে পরিচিত, এখন সর্বত্র সহজলভ্য। যারা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাদের জন্য রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি, আর এর জন্য গ্লুকোমিটার অপরিহার্য। বাংলাদেশে এই প্রয়োজনীয় ডিভাইসটি সংগ্রহ করার জন্য বেশ কিছু নির্ভরযোগ্য উৎস রয়েছে। 

আপনার আশেপাশের মেডিকেল স্টোরগুলোতে সহজেই বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ডায়াবেটিস মেশিন পেয়ে যাবেন। এর মধ্যে VivaChek Ino, Accu-Chek, GlucoLeader, এবং Getwell ব্র্যান্ডগুলো বিশেষভাবে জনপ্রিয়। এগুলোর গ্লুকোমিটারগুলো সাধারণত ভালো মানের হয় এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহারের জন্য নির্ভরযোগ্য।

এছাড়া, বর্তমানে অনলাইনে কেনাকাটাও বেশ জনপ্রিয়। Tista এবং Techno Health এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে অর্ডার করলে আপনি ঘরে বসেই আপনার পছন্দের পণ্যটি হাতে পেয়ে যাবেন। এতে সময় এবং শ্রম দুটোই বাঁচে। অনেক সময় অনলাইনে বিশেষ অফার বা ছাড়ও পাওয়া যায়, যা আপনার বাজেটের মধ্যে ভালো মানের মেশিন কিনতে সাহায্য করতে পারে।

ডায়াবেটিস মাপার মেশিন কেনার সময় কী দেখবেন

নিয়মিত রক্তের গ্লুকোজ পরীক্ষার জন্য ঘরে একটি ডায়াবেটিস মেশিন বা গ্লুকোমিটার রাখা অত্যন্ত কার্যকর। এর ফলে আপনাকে ঘন ঘন ডাক্তারের কাছে যেতে হয় না, যার কারণে আপনার সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হয়। 

এছাড়াও, এটি আপনাকে আপনার রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং প্রয়োজন অনুসারে তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। একটি ভালো গ্লুকোমিটার (রক্তে শর্করা মাপার মেশিন) কেনা খুবই জরুরি। কেনার সময় এই পাঁচটি বিষয় মাথায় রাখলে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন:

  • ১ব্র্যান্ডের বিশ্বাসযোগ্যতা ও নির্ভুলতা: সবার আগে দেখুন আপনি একটি বিশ্বস্ত ব্র্যান্ডের মেশিন কিনছেন কিনা। কারণ, মেশিনের ফলাফল কতটা নির্ভুল তা আপনার চিকিৎসার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • ব্যবহারের সুবিধা: মেশিনটি ব্যবহার করা কতটা সহজ, সেটা দেখুন। বিশেষ করে নিয়মিত ব্যবহারের জন্য জটিল মেশিন এড়িয়ে চলাই ভালো।
  • টেস্ট স্ট্রিপের খরচ ও প্রাপ্যতা: মনে রাখবেন, স্ট্রিপই হলো সবচেয়ে বেশি খরচের জিনিস। তাই স্ট্রিপের দাম কেমন এবং বাজারে তা সহজে পাওয়া যায় কিনা, সে বিষয়ে সচেতন থাকুন।
  • ব্যাটারির স্থায়িত্ব: মেশিনটির ব্যাটারি লাইফ বা চার্জ কতক্ষণ থাকে, তা যাচাই করে নিন। লম্বা সময় ধরে ভালো ব্যাকআপ দিলে সুবিধা হবে।
  • স্মার্ট ফিচারের সুবিধা: কিছু আধুনিক মডেলে স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশনের সাথে সংযোগের সুবিধা থাকে। এই ‘স্মার্ট ফিচার’ থাকলে আপনার ফলাফল সংরক্ষণ এবং ট্র্যাক করা অনেক সহজ হতে পারে।

FAQs

Q1. ডায়াবেটিস মাপার যন্ত্রের নাম কি

ডায়াবেটিস মাপার যন্ত্রের নাম হল গ্লুকোমিটার (Glucometer)।

Q2. ডায়াবেটিস টেস্ট স্ট্রিপ কি বারবার ব্যবহার করা যায়?

না। টেস্ট স্ট্রিপগুলি শুধুমাত্র একবার ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয় এবং ব্যবহারের পর ফেলে দিতে হয়।

Q3. সঠিক ফলাফলের জন্য কখন ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা উচিত?

সাধারণত খালি পেটে (খাওয়ার আগে), খাওয়ার ২ ঘণ্টা পরে, ব্যায়ামের আগে/পরে, অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরীক্ষা করা উচিত।

Q4. গ্লুকোমিটার কি ভুল রিডিং দিতে পারে?

হ্যাঁ, মেয়াদ উত্তীর্ণ টেস্ট স্ট্রিপ, নোংরা হাত, বা ভুল পদ্ধতিতে রক্ত নিলে রিডিং ভুল আসতে পারে।

Q5. ডায়াবেটিস পরীক্ষার জন্য আঙুলের ডগা কি পরিষ্কার করার দরকার?

হ্যাঁ, পরীক্ষা করার আগে সাবান ও জল দিয়ে হাত ভালোভাবে ধুয়ে শুকিয়ে নেওয়া আবশ্যক। অ্যালকোহল সোয়াব ব্যবহার করলে অবশ্যই শুকিয়ে নিতে হবে।

লেখকের শেষ মতামত

ডায়াবেটিস বর্তমানে আমাদের সবার কাছেই অত্যন্ত পরিচিত একটি রোগ। এর কারণ হলো, আজ প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরেই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগী দেখা যায়। এই রোগটি মূলত হয় যখন রক্তে সুগারের মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়।

রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং তা ঠিক আছে কিনা তা জানার জন্য নিয়মিত মাপা জরুরি। আর এই মাপার কাজটি করার জন্যই দরকার হয় একটি গ্লুকোমিটার বা ডায়াবেটিস মাপার মেশিন। এই প্রয়োজনীয়তার কারণে অনেকেই এখন এই মেশিনটি কিনছেন।

Sharing is Caring

Leave a Comment